যুবরাজের ঘর ভাঙল

থাইল্যান্ডের যুবরাজ ভাজিরালংকর্ন তাঁর স্ত্রী শ্রীরাসমিকে তালাক দিয়েছেন। গতকাল শনিবার থাই রাজপ্রাসাদের পক্ষ থেকে এ ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এর আগে রাজ উপাধি ত্যাগ করেন যুবরাজের স্ত্রী শ্রীরাসমি। খবর বিবিসি ও এএফপির।
খবরে বলা হয়, শ্রীরাসমি রাজকীয় উপাধি ত্যাগ করায় যুবরাজের সঙ্গে তাঁর ১৩ বছরের বিবাহিত জীবনের অবসান ঘটল। দুর্নীতির অভিযোগে সম্প্রতি শ্রীরাসমির পরিবারের সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাঁদের নাম থেকে রাজকীয় পদবি বাদ দিতে সরকারের কাছে আবেদন করেন যুবরাজ।
রাজপ্রাসাদের বিবৃতিতে বলা হয়, রাজা ভূমিবল আদুলিয়াদেজের কাছে রাজ উপাধি ত্যাগের অনুমতি চেয়ে লিখিত পদত্যাগপত্র দেন প্রিন্সেস শ্রীরাসমি। রাজা তাঁর পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন।
শ্রীরাসমি যুবরাজ ভাজিরালংকর্নের তৃতীয় স্ত্রী। ২০০১ সালে তাঁদের বিয়ে হয়। তাঁদের একটি ছেলেসন্তান রয়েছে। শ্রীরাসমিকে ভবিষ্যৎ রানি বিবেচনা করা হচ্ছিল। ইতিমধ্যে তাঁরা বিচ্ছিন্ন হয়ে বসবাস করছিলেন। তবে অনুষ্ঠানে একসঙ্গে যেতেন।
থাইল্যান্ডের রাজা ভূমিবল ১৯৪৬ সাল থেকে সিংহাসনে আছেন। দেশে তিনি অত্যন্ত শ্রদ্ধেয় ব্যক্তি। থাইল্যান্ডে রাজা এমনকি রাজপরিবারের অন্য সদস্যদের সম্পর্কে কোনো বিরূপ মন্তব্য করা অপরাধ। দেশের প্রচারমাধ্যম রাজপরিবারের বিষয়ে অনেক খবর প্রকাশ করতে পারে না। রাজপরিবারের সম্মানহানি করে, এমন খবর প্রকাশ দণ্ডনীয় অপরাধ।

No comments

Powered by Blogger.