মোদির নতুন লড়াই মাদকের বিরুদ্ধে

নরেন্দ্র মোদি
লড়াইয়ের নতুন একটা ফ্রন্ট খুললেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এ লড়াই মাদকের বিরুদ্ধে। মোদি বললেন, ‘মাদক হলো থ্রিডি। ডার্কনেস বা অন্ধকার, ডেসট্রাকশন বা ধ্বংস এবং ডিভাস্টেশন বা বিপর্যয়।’ ক্ষমতায় আসার পর দেশের ছাত্রছাত্রী ও তরুণদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী মোদি সরাসরি কথা বলা শুরু করেছেন রেডিও ও টেলিভিশন মারফত। সেই অনুষ্ঠানের নামও তাঁরই দেওয়া, ‘মন কি বাত’। অর্থাৎ মনের কথা। গতকাল রোরবার সেই অনুষ্ঠানেই তিনি শুরু করলেন মাদকের বিরুদ্ধে নতুন যুদ্ধ। বললেন, ‘সব সময় শুনি, দুঃখের সময় মানুষের পাশে দাঁড়ালে দুঃখ ভাগাভাগি হয়ে যায়। আর আনন্দের সময় পাশে থাকলে আনন্দ অনেক বেড়ে যায়।’ মাদকাসক্তির সমস্যায় আক্রান্ত পরিবারগুলোর পাশে দাঁড়ানোর অঙ্গীকারের কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের মাদকাসক্ত যুব সম্প্রদায়ের জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে সরকার শিগগিরই একটা চব্বিশ ঘণ্টার হেল্প লাইন চালু করবে।
এ কাজে তিনি বিনোদন জগতের নামীদামি ব্যক্তিদেরও সাহায্য নেবেন। মাদকাসক্ত ব্যক্তিদের উদ্দেশে প্রশ্ন করলেন মোদি, ‘তোমরা যে টাকা মাদকের জন্য খরচ করো, তা কোথায় যায় জানো কি? আমাদের জওয়ানদের দিকে যে গুলিগুলো ছুটে আসে, যে গুলিতে আমাদের সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরীদের মৃত্যু হয়, তা ওই মাদক বেচার টাকাতেই কেনা।’ সরকার পরিচালিত আকাশবাণী ও দূরদর্শন মারফত প্রধানমন্ত্রী মোদি প্রথম স্বচ্ছতার অভিযানের কথা জানিয়েছিলেন। পরের ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে জোর দিয়েছিলেন কালোটাকা উদ্ধারের ওপর। গতকাল তৃতীয়বারের অনুষ্ঠানে মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে তিনি বলেন, গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী থাকার সময় দেখতেন, তাঁর দপ্তরের কেউ কেউ আচমকা ছুটি নিচ্ছেন। খোঁজ নিয়ে দেখা গেল, তাঁরা মাদকাসক্ত ছেলেমেয়েদের নিয়ে বিপর্যস্ত। মোদি বলেন, মাদককে বর্জন করতে হবে, মাদকাসক্তদের নয়। মাদকের হাত থেকে ছেলেমেয়েদের রক্ষা করতে মা-বাবার দায়িত্ব যে অনেক, প্রধানমন্ত্রী তাও মনে করিয়ে দিয়েছেন। বলেছেন, পাঁচ বছর বয়স পর্যন্ত বাচ্চাদের আদরে-ভালোবাসায় রাখতে হয়। ১০ বছর বয়স থেকে শৃঙ্খলাপরায়ণতার ওপর জোর দিতে হয়। আর ছেলেমেয়ের বয়স ১৬ হয়ে গেলে তাদের সঙ্গে বন্ধুর মতো মিশতে হয়। মোদি বলেন, এই বয়ঃসন্ধির সময়েই তাদের গতিবিধির ওপর নজর রাখা দরকার। কাদের সঙ্গে মিশছে, সেই নজরও রাখতে হবে। দূরত্ব সৃষ্টি না করে তাদের ভালো লাগা, সমস্যা নিয়ে কথা বলতে হবে। মোদি বলেন, যাদের জীবনে কোনো লক্ষ্য থাকে না, তাদেরই মাদক আকর্ষণ করে। যুব সম্প্রদায়কে লক্ষ্যস্থির করে এগোতে হবে; ঠিক যেভাবে খেলোয়াড়েরা এগোয়।

No comments

Powered by Blogger.