অসমান দাঁত ক্ষতিকরও বটে by অধ্যাপক অরূপ রতন চৌধুরী

দাঁতের অসমান অবস্থা বা আঁকাবাঁকা থাকাটা যে কেবল সৌন্দর্যহানি করে তা নয়, তা স্বাস্থ্যহানিও করতে পারে। দাঁতের এই অসমান অবস্থার জন্য প্রধান দুটি কারণ: দুধদাঁত স্বাভাবিক সময়ে না পড়া বা না ওঠা এবং চোয়ালের স্বাভাবিক গড়নে তারতম্য।
একটি বা দুটি দাঁত অনেক ক্ষেত্রে স্বাভাবিক সময়ে না পড়ে দেরিতে বা আগে পড়ে যায় বা উঠে যায়। ফলে স্থায়ী দাঁতটি নির্দিষ্ট স্থানে না উঠে ভিন্নপথে বেরিয়ে আসে। কখনো বা বাড়তি দাঁত বা সুপার নিউমোরারি দাঁত বেরিয়ে আসে। এই বাড়তি দাঁত স্থায়ী দাঁতের ওপরে বা নিচে অবস্থান করে। এ ছাড়া আক্কেলদাঁত সবশেষে গজায় (১৮ বছর বয়সে বা পরে) এবং অস্বাভাবিক অবস্থানে থেকে দাঁতগুলোর বিন্যাস নষ্ট করতে পারে। চোয়ালের গঠন স্বাভাবিকের চেয়ে ছোট হলেও দাঁতের অবস্থানে পরিবর্তন আসতে পারে।
এ ছাড়া শারীরিক অসুস্থতার কারণে বা ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় দাঁতের গঠন অসমান হতে পারে।
প্রাথমিক পর্যায়ে এক্স-রে করে দাঁতের বিন্যাসের অবস্থান নির্ণয় করা হয়। অতিরিক্ত দাঁত তুলে ফেলা প্রয়োজন। যেসব স্থায়ী দাঁত অন্য আরও একটি বা দুটি দাঁতের ওপরে বা নিচে অবস্থান করে, সেগুলোকেও তুলে ফেলা প্রয়োজন হতে পারে। কারণ, এগুলো চিবানোর কাজে সহায়তা করে না, বরং অসমান থাকায় তার ফাঁকে খাদ্যকণা জমা থাকে।
আক্কেলদাঁত অসমান ও অস্বাভাবিক থাকলে এবং পার্শ্ববর্তী দাঁতকে ক্ষতিগ্রস্ত করার আশঙ্কা থাকলে সেগুলোও তুলে ফেলা প্রয়োজন। তবে অসমান দাঁতকে স্বাভাবিক অবস্থানে ফিরিয়ে আনতে আজকাল আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতিও রয়েছে।  দন্ত বিভাগ, বারডেম হাসপাতাল।

No comments

Powered by Blogger.