ইমার সঙ্গে নিরবের অনৈতিক সম্পর্ক?

পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হওয়া প্রতারক মডেল ইমার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন চিত্রনায়ক ও মডেল নিরব।
বৃহস্পতিবার একটি পত্রিকার সঙ্গে সাক্ষাৎকারে তিনি ইমার ফ্ল্যাটে নিয়মিত যাতায়াতের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

সাক্ষাতকারটি হবহু প্রকাশ করা হলো : পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হওয়া প্রতারক মডেল ইমার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন চিত্রনায়ক ও মডেল নিরব। বৃহস্পতিবার একটি পত্রিকার সঙ্গে সাক্ষাৎকারে তিনি ইমার ফ্ল্যাটে নিয়মিত যাতায়াতের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

নিরব বলেন, ২০১১ সালের দিকে পল্লী মালেক পরিচালিত একটি চলচ্চিত্রের কাজ করছিলাম। আমার সঙ্গে চলচ্চিত্রটিতে নায়িকা হিসেবে ছিলেন চিত্রনায়িকা কেয়া। চলচ্চিত্রটির কাজ ৫০ ভাগ হওয়ার পরই বন্ধ হয়ে যায়। এ চলচ্চিত্রটির প্রডিউসার ছিলেন তানভীর খালেদ। তার সঙ্গে মিটিং করতে তার বাসায় গিয়েছিলাম। সেখানে আমার সঙ্গে ইমার দেখা হয়। তানভীর খালেদ আমাদের পরিচয় করিয়ে দেন। তার বোন হিসেবেই ইমাকে পরিচয় করিয়ে দেন। এতটুকুই। এরপর তানভীর খালেদের বাসায় আমাদের দুই থেকে তিনদিন দেখা হয়।

মডেল ইমার সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্ক কেমন ছিল জানতে চাইলে নিরব বলেন, তাকে আমি তানভীর খালেদের বোন ছাড়া অন্য কোনোভাবে দেখিনি। সাম্প্রতিক সময়ে মিডিয়ায় প্রকাশিত সংবাদের অভিযোগটি অস্বীকার করে নিরব বলেন, ইমার ফ্ল্যাটে তো দূরের কথা, তানভীর খালেদের বাসার বাইরে কোথাও কখনও তার সঙ্গে আমার দেখা হয়নি।

সম্প্রতি, একজন তরুণ নাট্য নির্মাতার অভিযোগের সূত্র ধরে রাজধানীর হাতিরঝিল এলাকা থেকে মডেল রেজওয়ানা খালেদ ইমাকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। পরে তাকে প্রতারণার দুই মামলায় দু’দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে ইমার রহস্যময় জীবনে প্রতারণার অনেক বিস্ময়কর তথ্য বেরিয়ে আসে। সেখানে চিত্রনায়ক নিরবের সঙ্গেও তার অনৈতিক সম্পর্কের বিষয়টি সামনে চলে আসে।

প্রসঙ্গত: গ্রেপ্তারের পরপরই ইমা, তার ভাই তানভীর ও পিতা আলমগীর খালেদের অসংখ্য প্রতারণার অভিযোগ জমা হতে থাকে পুলিশের কাছে। কখনও ফ্যাশন ডিজাইনার, কখনও ব্যবসায়ী, কখনও সরকারি কর্মকর্তার পরিচয় দিতো তারা। এছাড়া বিনোদন পত্রিকার সম্পাদক, চিত্র নির্মাতা, ভিওআইপি, গাড়ি ব্যবসায়ী, আদম বেপারী ও মৎস্য খামারী হিসেবেও পরিচয় দিতো। ইমা কখনও মডেল ও নায়িকার ছদ্মবেশে ঘনিষ্ঠ হতো প্রভাবশালী লোকজনের সঙ্গে। এভাবে পরিবারটি গত ৭ বছর ধরে অন্তত ১০ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে।

No comments

Powered by Blogger.