মেঘ দেখে কেউ করিসনে ভয় by শরীফুল ইসলাম খান

সাভারের রানা প্লাজা ধসের পর বাংলাদেশজুড়ে রফতানির ভবিষ্যৎ নিয়ে ভেঙে পড়েছি আমরা। বিশেষ করে কর্মের বৈরী পরিবেশ, শ্রমিকদের জঘন্যতম জীবন মান, সর্বনিম্ন মজুরি প্রদানের অজুহাত দেখিয়ে বিশ্বে আমাদের প্রধান প্রধান ক্রেতা কোম্পানি এবং ক্রেতা দেশ ভীষণ হইচই ফেলে দিয়েছে। অতি সম্প্রতি ওবামা প্রশাসন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের জিএসপি সুবিধা স্থগিত করায় আমরা আমাদের রফতানির ভবিষ্যৎ দুশ্চিন্তায় আরও হতাশ হয়ে পড়েছি। একক দেশ হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আমাদের পণ্য রফতানির সবচেয়ে বড় দেশ হওয়ায় আমাদের অর্থনীতি শিকেয় উঠবে এ ধারণা নিয়ে কান্নাকাটি করছি। রাজনীতির দুই মেরুতেও চলছে কার দোষে আমরা রসাতলে যাচ্ছি সেটি নির্ণয়ে পাল্লা পাথরে মাপজোখ। বাস্তব প্রেক্ষাপট যদিও অনেকটা ভিন্ন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের যে গার্মেন্টস পণ্য রফতানি হয়, তার উপরে উচ্চ হারে শুল্ক বসিয়ে রেখেছে। যেখানে সে দেশে গড় শুল্ক হার ১% সেখানে আমাদের গার্মেন্টের শুল্ক হার ১৫%, অন্যদিকে যেসব পণ্যে জিএসপি সুবিধা বিদ্যমান সেসব পণ্য আমাদের দেশ থেকে মার্কিন মুল্লুকে রফতানি হয় সামান্য। তদুপরি বিশ্বের মুরুব্বি খোদ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সিদ্ধান্ত সারাবিশ্বে আমাদের ইমেজ সংকটে ফেলে দিতে পারে, এ ভয় অমূলক নয়। অনেক ক্রেতা কোম্পানি ও দেশ এই সুযোগে আমাদের কোণঠাসা করে শ্রমিক সংঘ, শ্রমিক পরিবেশ, কারখানার কমপ্লায়েন্স ইত্যাদি বিষয় শুধরে দিতে চাইছেন। আমরাও টালমাটাল ও দিশেহারা অবস্থায় একটি বিরাট মনস্তাত্ত্বিক চাপ বহন করে বেড়াচ্ছি। রানা প্লাজা ধসের পর ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতের মন্তব্য, আল জাজিরা, দ্য টেলিগ্রাফসহ কিছু পত্রিকার বিরূপ মন্তব্য, পোপ ফ্রান্সিসের উদ্বেগ, স্পেনের নাগরিকদের অভিনব কায়দায় প্রতিবাদ ইত্যাদি কারণে আমরা আরও বেশি নাজেহাল। উপরন্তু আমাদের রফতানি আয়ের যে বিরাট অংশ প্রবাসীদের রেমিটেন্স থেকে প্রেরিত হয়, সেই জনশক্তি রফতানিও হুমকির মুখে আছে। এর প্রধান বাজারগুলোর দরজা একে একে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে প্রবাসী বাংলাদেশীদের নানা অনৈতিকতা ও অনিয়মে জড়িয়ে যাওয়ার কারণে। সংযুক্ত আরব আমিরাত, কুয়েত, সৌদি আরব কার্যত বাংলাদেশ থেকে লোক নেয়া বন্ধ করে দিয়েছে। কিন্তু তাই বলে হুমড়ি খেয়ে মাটিতে শুয়ে পড়ব, সে রকমটি মনে না করে আমরা একটু ঘুরে দাঁড়াতে পারি।
এ কথা সত্য যে, বাংলাদেশের রফতানিতে নিয়োজিত শ্রমিকদের বেতন, ভাতা, প্রণোদনা এগুলো এখনও অতি নিু পর্যায়ে। কিন্তু আমরা দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন এনে সাম্প্রতিককালে আমাদের ইমেজের যে করুণ পরিণতি হয়েছে তা থেকে মুক্তি পাওয়ার দরজা আমরাই খুলতে পারি। আমাদের এই অর্থবছরেও রফতানির প্রবৃদ্ধি ১০.৬৭ ভাগ। বহির্বিশ্বে মন্দা, আমাদের বৈরী পরিস্থিতি এগুলো সত্ত্বেও এই অর্থবছরে মে মাস পর্যন্ত রফতানি প্রায় ২৪ বিলিয়ন ডলার। আমাদের রেমিটেন্সও ২০১২-১৩ অর্থবছরে ১১ মাসে ১৩৩৯.৫০ কোটি ডলার। যা গত অর্থবছরের পুরো সময় থেকে ৫৫.১৬ কোটি ডলার বেশি। স্বাধীনতা-পরবর্তীকাল থেকে অদ্যাবধি কোনো নেতৃত্বই কৃষি বা শিল্পে উন্নয়নের অবকাঠামো খুব একটা এগিয়ে নিয়ে যেতে পারেননি। বরং আমাদের অবকাঠামো খুবই নাজুক। তা সত্ত্বেও ১৯৭২-৭৩ সালের রফতানির তুলনায় ২০১৩ সালের অক্টোবর পর্যন্ত আমাদের ৫২ থেকে ৫৩ গুণ রফতানি বৃদ্ধি পেয়েছে। বাংলাদেশের নেতৃত্ব, রাজনীতি ও সামাজিক ব্যবস্থার এই বেহাল পরিস্থিতিতে এ উন্নয়ন বিশ্বের কোনো উন্নত দেশের তুলনায় অনেক ভালো। এটা কোনো পরিমাণগত তথ্য হয় তো নয়, কিন্তু মনস্তাত্ত্বিক ভিত্তিতে সুদৃঢ়ভাবে এটা বলতে পারি। বিষয়টি পরিষ্কার হবে এভাবে- দক্ষিণ কোরিয়া ৬০ দশকের শুরুতে পূর্ব পাকিস্তানের মাথাপিছু আয় থেকেও পিছিয়ে ছিল। ৪০ বছরের মধ্যে তারা তাদের মাথাপিছু আয় বাড়িয়েছে বাংলাদেশের ৩৮ গুণ। রফতানিতেও প্রায় ৩৮/৪০ গুণ বেশি রফতানি করেছে (বিশ্ব উন্নয়ন রিপোর্ট-২০০৮ পর্যন্ত তথ্য অনুযায়ী)। এর মূলে ছিল প্রেসিডেন্ট পার্ক চুং হি ব্যক্তিগত পর্যায়ে নেতৃত্ব দিয়েছেন দেশের রফতানিকে বাড়ানোর জন্য এবং এর অনুকূল পরিস্থিতি তৈরির জন্য। এই সময়ে তাদের বাণিজ্য উদ্বৃত্ত ছিল প্রায় ১৬ বিলিয়ন ডলার, যেখানে বাংলাদেশের ছিল ৭.৫ বিলিয়ন ডলার বাণিজ্য ঘাটতি। আমাদের দুর্ভাগ্য স্বাধীনতার ঊষালগ্ন থেকে বিচক্ষণ কোনো নেতৃত্ব আমরা পাইনি, যিনি অর্থনীতির উন্নয়নে সরাসরি তদারকি করতে পেরেছেন এবং বাণিজ্য পরিবেশ তৈরি করতে পেরেছেন। তারপরও আমার আশাবাদ এখানেই, রাষ্ট্র বা সরকার আমাদের রফতানি উন্নয়নে তাদের ভূমিকা অতি নিম্ন পর্যায়ে রাখা সত্ত্বেও এ দেশের শ্রমিক, ব্যবসায়ী ও সাধারণরা অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে গেছে আমাদের দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে। পরিস্থিতি যদি ৪০/৫০ ভাগও অনুকূলে আসে বিশ্বে আমাদের রফতানি মাত্রা দাঁড়াবে অনেক উঁচুতে।
বিশ্ববরেণ্য নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস সম্প্রতি ব্লুমবার্গ টিভির সঙ্গে সাক্ষাৎকারে বলেছেন, মজুরি বৃদ্ধির কারণে আমাদের পোশাকের কিছু মূল্য বাড়লেও বিদেশী পোশাক ক্রেতারা আমাদের ছেড়ে যাবেন না। যদিও আমাদের রফতানি খাতে সাময়িক মনস্তাত্ত্বিক বিশ্বচাপ আছে, তা সত্ত্বেও আমাদের রফতানি টিকে থাকবে এবং তা ভালোভাবে। তবে আমাদের চারিত্রিক পরিবর্তন ও দৃষ্টিভঙ্গি প্রসারিত হওয়ার বিষয়টি এ ক্ষেত্রে খুবই জরুরি। আমি আগেই বলেছি সাভারে রানা প্লাজা ধসের পর আমরা কম্পিত ছিলাম আমাদের রফতানির ভবিষ্যৎ নিয়ে। এটা থেকে শিক্ষা নিয়ে কর্ম পরিবেশে নজর দেয়ার একটি সুযোগ আমাদের এসেছে। এটাকে উন্নত করতে পারলে আমাদের আরও সুযোগ আসবে। যে ইতিবাচক দিকগুলো আমাদের রফতানির ক্ষেত্রে আশার ঝলক, সেগুলো হচ্ছে- এইচএন্ডএম, ইন্ডিটেক্স, টেসকো ও প্রাইমার্কের মতো ইউরোপের বড় বড় প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের পোশাক শিল্পে নিরাপত্তা সহায়তা দিতে সম্মত হয়েছে। খুচরা বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান ওয়াল মার্ট বাংলাদেশে আগামী ৬ মাসে ২৭৯টি কারখানা পরিদর্শন করবে। নরওয়ে ইতিমধ্যে নিরাপত্তা সহায়তা হিসেবে ২৫ লাখ ডলার প্রদানের চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। ইইউ বাংলাদেশের কর্মসংস্থান ও অর্থনীতির ওপর বিরূপ প্রভাবের বিষয় বিবেচনায় এনে ইতিমধ্যে ঘোষণা দিয়েছে জিএসপি প্রত্যাহার না করার এবং মার্কিন রাষ্ট্রদূত জিএসপি ফের চালু হতে পারে বলে আশ্বাস দিয়েছে। এগুলো থেকে প্রতীয়মান, এদের কড়াকড়ি আরোপের বিষয়টি শিথিল হয়ে আসবে। এর অন্যতম কারণ বলে আমি মনে করি, আমাদের সস্তা মজুরি ও গুণগতমান এই সব নামিদামি প্রতিষ্ঠানগুলোকে বিরাট ব্যবসায়িক সাফল্য এনে দিয়েছে। তামিলনাড়ুর তীরপুর আমাদের দেশের রফতানির বিকল্প হতে পারে এমন ভয়ও আমাদের ছিল। তীরপুর থেকে প্রায় ১৬ হাজার কোটি রুপির পোশাক সামগ্রী রফতানি হয় ইউরোপে। তাদের শিল্প পরিবেশ মানসম্মত কিন্তু তাদের মজুরি বাংলাদেশের তুলনায় অনেক বেশি এবং বিদ্যুতের কারণে আরও ৭ ভাগ মূল্যবৃদ্ধি ঘটতে পারে এটা জানার পর আমরা আশ্বস্ত হই।
সাভার ধসের পরে চায়না ন্যাশনাল গার্মেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি ফেংগ ডেউ বাংলাদেশের গার্মেন্ট খাতে বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। তাদের প্রতিনিধি বাংলাদেশে ৯টি গার্মেন্ট কারখানা পরিদর্শনের পর এ মতামত ব্যক্ত করেন। বর্তমান বিশ্ববাজারে তৈরি পোশাকের বাজার ৪৫০ বিলিয়ন ডলারের, তার মধ্যে চীনের বাজার প্রায় ৩১০ বিলিয়ন ডলার, বাংলাদেশের প্রায় ২২.৫ বিলিয়ন ডলার। ২০১২ সালের আগস্টের পর চীনে বাংলাদেশের রফতানি হয়েছে প্রায় ১০০ মিলিয়ন ডলার। ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বের মোট বিনিয়োগের প্রায় ২০ ভাগ হবে চীনের। অন্যদিকে ১৯৭৮ সালে ১ সন্তান নীতি প্রণয়নের কারণে চীনে ১৫ থেকে ২৯ বছর বয়সী লোকের সংখ্যা ২০১১ থেকে কমতে শুরু করেছে। ২০১৬ সালের মধ্যে চীনে প্রায় ৮.৫ কোটি কর্মসংস্থান উদ্বৃত্ত হবে। চীনের সঙ্গে আমাদের কূটনৈতিক সম্পর্ক ভালো। দক্ষভাবে কৌশল খাটিয়ে চীনকে আমাদের অর্থনীতির উন্নয়নে বিরাট খাত হিসেবে ব্যবহার করা সম্ভব। বরং মার্কিননির্ভরতা আমাদের ভবিষ্যৎকে আরও অনিশ্চয়তায় ফেলতে পারে কারণ যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি ঋণ প্রায় ১৬.৪ ট্রিলিয়ন ডলার যা দেশটির মোট দেশজ উৎপাদনের ১০০ শতাংশের বেশি। তাই যুক্তরাষ্ট্রের সামনে সবচেয়ে বড় ঝুঁকি ফিসক্যাল ক্লিফ। জাপানের সঙ্গে চীনের বাণিজ্য সম্পর্ক বৈরিতায় পর্যবসিত হয়েছে, ফলে জাপান এশিয়া অঞ্চলে বিনিয়োগের কৌশল হিসেবে বাংলাদেশকে অগ্রগণ্য মনে করছে এবং বাংলাদেশের পোশাক ও চামড়া শিল্পে বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। রাশিয়ায় আমাদের পণ্য যাচ্ছে বেলারুশ হয়ে শুল্কমুক্ত সুবিধায়। জাপান, অস্ট্রেলিয়া, ভারত ও ল্যাটিন আমেরিকা আমাদের নতুন রফতানি বাজার হতে পারে। ইতিমধ্যে তৈরি পোশাকের ১০ শতাংশ আসছে আমাদের নতুন বাজার থেকে। আমাদের চিংড়ি খাতে ২০১২-১৩ অর্থবছরে রফতানি আয় কমেছে ক্রেতা দেশের লোকদের দামি মাছ খাওয়ার ক্ষমতা কমে যাওয়ায়, কিন্তু আমাদের চিংড়ি রফতানির পরিমাণ হ্রাস পায়নি বরং বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতি কেজিতে ২ ডলার কমে যাওয়ায় গত বছর ১৪.১৬ শতাংশ রফতানি আয় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কমেছে। ভেন্নামি কম খরচে পাওয়া যায় বলে এদিকে ঝুঁকেছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরো জোন। মাছের ক্ষেত্রে রেডি টু ইট বা খাদ্যের জন্য প্রস্তুত পদ্ধতিতে রফতানি করে এ ক্ষেত্রে ঘাটতি আমরা পূরণ করতে পারি। পাট খাতকে শক্তিশালী করার যথেষ্ট সুযোগ আমাদের রয়েছে। পাটের রফতানির শতভাগ বৈদেশিক মুদ্রা দেশে থেকে যায়। চামড়ায় ফিনিশড প্রোডাক্ট তৈরি করার মাধ্যমেও এ খাতে প্রবৃদ্ধি অর্জন করা যাবে।
আমাদের প্রক্রিয়াজাত চামড়া কিনে নিয়ে ইতালি, বেলজিয়াম পণ্য উৎপাদন করে ৭/৮ গুণ বেশি আয় করে। আমাদের মানবসম্পদ রফতানির ৪৯ থেকে ৫০ ভাগ অদক্ষ, ১৫ থেকে ১৮ ভাগ অর্ধদক্ষ এবং ৩০ ভাগের মতো দক্ষ, ৪ শতাংশের মতো রয়েছে পেশাজীবী, হজ ক্যাম্পের অনুকরণে তাদের প্রবাসে প্রেরণের আগে বা বিদেশে আমাদের দূতাবাসের মাধ্যমে চালচলন ও নীতি-নৈতিকতার ওপর ট্রেনিং দিয়ে ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে। অদক্ষ শ্রমিকের ভাগ কমিয়ে এনে অর্থাৎ এদের দক্ষতা দিয়ে বিদেশে প্রেরণ করলে আমরা ভালো ফলাফল পেতে পারি। নার্সিং পেশার মতো পেশাকে উপযুক্ত ট্রেনিং দিয়ে উন্নত বিশ্বে প্রেরণে একটি বিরাট খাত তৈরি করা যেতে পারে। কৃষিতে কিছু পণ্য বাছাই করে রফতানি পণ্য হিসেবে উৎপাদন করতে হবে। তিল ইতিমধ্যে রফতানির একটি বিশেষ অংশ নিয়ে নিয়েছে। এ খাতে নজর দেয়া প্রয়োজন। বিশ্ববাজারে আমাদের বিপণন স্ট্র্যাটেজি তৈরি করতে হবে। এ ক্ষেত্রে বাংলার নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস হতে পারেন বিরাট একটি কৌশল। সারাবিশ্বের বহু উন্নত দেশ ওনার প্রতি শ্রদ্ধাশীল। রফতানি উন্নয়নে আরও বেশকিছু দিক রয়েছে। উপরের আলোচনায় যা তুলে ধরতে চেয়েছি তাতে আমাদের হতাশ হওয়ার কিছু নেই। বরং রফতানিতে আমরা সামনে বিরাট অর্জন করব। শুধু প্রয়োজন দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার মানসিকতাসম্পন্ন নেতৃত্ব।
শরীফুল ইসলাম খান : ব্যাংকার

No comments

Powered by Blogger.