কৃষক লীগের কাউন্সিলে প্রধানমন্ত্রী-বিএনপির দুটি পদ্মা সেতু বানানোর কথা ধোঁকাবাজি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু নিয়ে বিরোধী দলের বক্তব্যের সমালোচনা করে বলেছেন, বিএনপি বলছে, ক্ষমতায় গেলে তারা দুটি পদ্মা সেতু বানাবে। যেখানে পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকতে একটি সেতুও বানাতে পারেনি, সেখানে তারা দুটি সেতু বানাবে কীভাবে? ধোঁকাবাজির একটা সীমা আছে।


রাজধানীতে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র প্রাঙ্গণে গতকাল বৃহস্পতিবার কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় কাউন্সিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। তিনি জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে কাউন্সিলের উদ্বোধন করেন। সারা দেশের সাংগঠনিক জেলার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকেরা আলাদাভাবে সংগঠনের পতাকা উত্তোলন করেন।
নয় বছরের বেশি সময় পর অনুষ্ঠিত এ কাউন্সিলে আওয়ামী লীগের অন্য সহযোগী সংগঠনগুলোর কাউন্সিলের তুলনায় লোকসমাগম হয় অনেক কম। কাউন্সিলর ও ডেলিগেটদের অনেক চেয়ারও ফাঁকা দেখা গেছে। কাউন্সিল ঘিরে নেতা-কর্মীদের উৎসাহ-উদ্দীপনাও তেমন ছিল না। প্রথম অধিবেশন শেষে খাবারের কুপন নিয়ে বেশ কিছু নেতা-কর্মীকে হট্টগোল করতে দেখা গেছে।
উদ্বোধনী অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, বিশ্বের অন্যান্য সংসদীয় পদ্ধতির সরকারব্যবস্থার দেশগুলোতে যেভাবে নির্বাচন হয়, এখানেও সেভাবেই নির্বাচন হবে। তিনি বলেন, ‘এ সেতুর জমি অধিগ্রহণ ও সমীক্ষার জন্য আমরা দেড় হাজার কোটি টাকা খরচ করেছি। দাতা সংস্থাগুলো এ খরচে কোনো দুর্নীতি খুঁজে পায়নি। সেখানে বিশ্বব্যাংকের ঋণের একটি টাকা ছাড় না হওয়ার পরও দুর্নীতি হয় কীভাবে? কী উদ্দেশ্যে এই অভিযোগ করা হয়েছে, সেটাই বড় বিষয়।’
কারও নাম উল্লেখ না করে শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপির এক নেতা, যিনি দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত ও রাষ্ট্রপতির ক্ষমাপ্রাপ্ত, তাঁর কাছ থেকেও দুর্নীতির কথা শুনতে হয়। এর চেয়ে দুঃখের কী আছে! এই নেতা একসময় আওয়ামী লীগেও ছিলেন। পরে জাতীয় পার্টিতে এবং বিএনপি ক্ষমতায় এলে সেই দলে যান। আগামী দিনে কারা ক্ষমতায় আসে, সেটি দেখতে গলা উঁচু করে আছেন। তিনি বলেন, দুর্নীতির দায়ে চাকরি চলে যাওয়া এবং বঙ্গবন্ধুর অনুকম্পায় চাকরি ফিরে পাওয়া বিএনপির আরেক নেতাও দুর্নীতির বিরুদ্ধে বড় বড় কথা বলছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুর্নীতিবাজ ও লুটেরাদের বিচার হবেই। সন্ত্রাসী ও জঙ্গিবাদীদের আশ্রয় এ দেশে আর হবে না।
কৃষক লীগের সভাপতি মির্জা আবদুল জলিলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কাউন্সিলে বক্তব্য দেন কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, সর্বভারতীয় কিষাণ সভার সাধারণ সম্পাদক অতুল কুমার অঞ্জন, মোতাহার হোসেন মোল্লা। কাউন্সিলের শুরুতে জারি, লোকগান ও নৃত্য পরিবেশিত হয়।
পরে কৃষক লীগের সভাপতি পদে মোতাহার হোসেন মোল্লা ও সাধারণ সম্পাদক পদে খন্দকার শামসুল হক রেজা মনোনীত হন। কাউন্সিলের দ্বিতীয়অধিবেশনে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ তাঁদের নাম ঘোষণা করেন।

No comments

Powered by Blogger.