ডেনভারে সিনেমা হলে গুলি, নিহত ১৪

যুক্তরাষ্ট্রের একটি সিনেমা হলে ব্যাটম্যান সিরিজের 'দ্য ডার্ক নাইট রাইজেজ' সিনেমার প্রিমিয়ার শোতে অস্ত্রধারীর হামলায় কমপক্ষে ১৪ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে ৫০ জন। নিহত ব্যক্তিদের বেশির ভাগই শিশু-কিশোর। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে একজনকে আটক করা হয়েছে।


কলোরাডো অঙ্গরাজ্যের ডেনভার নগরীর অরোরা শপিং মলের সেঞ্চুরি থিয়েটার হলে গত বৃহস্পতিবার মধ্য রাতের শো চলাকালে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে স্থানীয় কেওএ রেডিও জানিয়েছে, ব্যাটম্যান সিরিজের সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্রের প্রদর্শনী চলাকালে গ্যাসমাস্ক পরা এক অস্ত্রধারী এলোপাতাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে। প্রথমে লোকজন বিষয়টি বুঝে ওঠতে পারেনি। তারা ভেবেছিল, এটা সিনেমারই অংশ। পরে গুলিতে কয়েকজনকে মাটিতে লুটিয়ে পড়তে দেখে হৈচৈ শুরু হয় এবং লোকজন হল থেকে বেরিয়ে আসে।
পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গুলিতে ঘটনাস্থলেই ১০ জন নিহত হয়। বাকিরা হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা যায়। আহত ব্যক্তিদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় অনলাইন নাইন-নিউজকে এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, হামলাকারী ধূম্র-বোমা ব্যবহার করেছে। হামলাকারী যখন গুলি চালাচ্ছিল, তখন চারপাশে ধোঁয়ায় ছেয়ে যায়।
স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন ছিল। সিনেমা হলে গুলি করা শেষে একপর্যায়ে অস্ত্রধারী ব্যক্তি গুলি ছুড়তে ছুড়তে সিঁড়ি দিয়ে নেম যায়। যদিও অসমর্থিত সূত্র দাবি করেছে, হামলাকারী একজন নয়, দুজন ছিল। তবে পুলিশ এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ওই মলের পার্শ্ববর্তী একটি ভবনের গাড়ি পার্কিংয়ের জায়গা থেকে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে। অরোরা পুলিশ বিভাগের কর্মকর্তা ফ্রাঙ্ক ফানিয়া বলেছেন, গ্রেপ্তার করা ব্যক্তির বয়স বিশের কোঠায়। যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরো_এফবিআই জানিয়েছে, ঘটনার কারণ অনুসন্ধানের জন্য তারা স্থানীয় পুলিশের সঙ্গে কাজ করছে। এ বিষয়ে আরো তথ্য দিতে তারা জনগণকে অনুরোধ জানিয়েছে। তবে এ ঘটনার সঙ্গে সন্ত্রাসীদের কোনো যোগসাজশ নেই বলে তারা জানিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা গুলির ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। গতকাল শুক্রবার এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, 'অরোরার মানুষের জন্য অত্যন্ত কঠিন এই সময়ে আমার প্রশাসন সম্ভব সব কিছুই করবে। এ ঘটনার জন্য দায়ী ব্যক্তিকে অবশ্যই বিচারের আওতায় আনা হবে।' সূত্র : বিবিসি, এএফপি, টেলিগ্রাফ।

No comments

Powered by Blogger.