যুক্তি তর্ক গল্প-স্বদেশে মর্যাদা পেলে বিদেশেও পাবে শ্রমিকেরা by আবুল মোমেন

সম্প্রতি তিনটি গুরুত্বপূর্ণ দেশের সরকারের তিনজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি বাংলাদেশ সফর করে গেলেন। সবদিক থেকে এসব ব্যক্তির সফর এতই গুরুত্বপূর্ণ ছিল যে আপসহীন নেত্রীও চলমান আন্দোলনের লাগাম টানাই সংগত মনে করেছেন। জাপান আমাদের সবচেয়ে বড় অর্থনৈতিক সহায়তাকারী, যুক্তরাষ্ট্র আমাদের রপ্তানিপণ্যের বড় অংশীদার এবং ভারত আমাদের সবচেয়ে বড় প্রতিবেশীই শুধু নয়, ঐতিহাসিক,


সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক যোগাযোগ এ দেশের সঙ্গেই সবচেয়ে বেশি। মানবিক যোগাযোগ এবং যাতায়াতও এ দুই দেশের মধ্যে সবেচেয়ে বেশি। তবুও সচেতন মর্যাদা সচেতন নাগরিক কি এঁদের সফরের সময় একটু অস্বস্তিতেও ভোগেন না? কারণ, এসব অতিথি প্রায়ই কি আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে অযাচিত হস্তক্ষেপ কিংবা চাপ সৃষ্টি করেন না? তবে এর দায় কতটা ওঁদের আর কতটা আমাদের সেটাও নিশ্চয়ই ভাবতে হবে।
ভারতের অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখার্জির বাংলাদেশ সফরের কারণে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের বিষয়টি আবারও আলোচনায় উঠে এসেছে। ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ-সংলগ্ন রাজ্য পশ্চিমবঙ্গের সরকার ও জনগণের মনোভাব প্রভাবক ভূমিকা পালন করে থাকে। ১৯৪৭-পূর্ববর্তী সময়ে বাংলাদেশ ভারতবর্ষের অংশ ছিল এ কথা যেমন সত্য, তারও চেয়ে বড় সত্য হচ্ছে বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গ একই ভাষাভাষী ও একই নাগরিক সংস্কৃতির উত্তরাধিকারী। ১৯৪৭-এর দেশভাগের আগে ও পরে এ দেশ থেকে লক্ষ-কোটি মানুষ কেউ স্বেচ্ছায় কেউ অনিচ্ছায়, মূলত এই পশ্চিমবঙ্গে বসতি গড়েছে। ’৪৭-পরবর্তীকালে পাকিস্তান ও বাংলাদেশ উভয় আমলেই এই ভূখণ্ডের রাজনৈতিক-প্রশাসনিক অস্থিরতা ও অনিশ্চয়তা বরাবর সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়কে অপেক্ষাকৃত স্থিতিশীল ও নিরাপদ বিকল্প আবাস হিসেবে পশ্চিমবঙ্গ আকৃষ্ট করেছে। আজকের পশ্চিমবঙ্গে জনসংখ্যার দিক থেকে পূর্ববঙ্গ-পূর্ব পাকিস্তান-বাংলাদেশ থেকে আগত বাঙালের সংখ্যা কেবল উল্লেখযোগ্য পরিমাণই নয়, সেখানকার রাজনীতি-সমাজ-শিল্প-সংস্কৃতি-ব্যবসা অর্থাৎ সর্বক্ষেত্রে তারাই অগ্রণী ভূমিকায় আছে।
এসব কারণে পশ্চিমবঙ্গবাসীর দিক থেকে বাংলাদেশ সম্পর্কে দুই ধরনের প্রতিক্রিয়া লক্ষ করি। উভয় পক্ষই পূর্বপুরুষের ভিটেমাটি ও ফেলে যাওয়া জীবন নিয়ে স্মৃতিকাতর অর্থাৎ নস্টালজিয়ায় ভোগে, তবে এর প্রতিক্রিয়া ঘটে দুইভাবে। একদল আছে যারা স্বেচ্ছায় আগে থেকেই বাংলার রাজধানী কলকাতা-কেন্দ্রিক জীবন বেছে নিয়েছিল কিংবা পাকিস্তান হওয়ার পর বাধ্য হয়ে পশ্চিমবঙ্গে পাড়ি দিলেও এখন প্রতিষ্ঠিত ও নিশ্চিত জীবনের অধিকারী। এদের নস্টালজিয়ার বোধ ইতিবাচক আবেগেই প্রকাশ পায় এবং তাদের বেশির ভাগই বাংলাদেশের প্রতি সহানুভূতিশীল ও সমব্যথী থাকতে চায়। আরেক দল আছে যারা প্রধানত একাত্তরের পরে বিভিন্ন সময় দেশ ছেড়েছে এবং যাদের প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম এখনো শেষ হয়নি। তিক্ত অভিজ্ঞতা নিয়ে এদের নস্টালজিয়া এখনো আত্মকেন্দ্রিক, এ দেশে যে অন্যায়-অবিচারের শিকার হয়েছে তার তিক্ততা ও ক্ষোভ মনে এখনো জ্বলন্ত। আমার ধারণা, প্রথমোক্ত দলের সমর্থন বেশি ছিল সিপিএম-কংগ্রেসের দিকে, সিপিএমের দীর্ঘদিনের নেতা ও পশ্চিমবঙ্গের দীর্ঘতম মেয়াদের মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু স্পষ্টতই বাংলাদেশের প্রতি সহানুভূতিশীল ছিলেন বরাবর। তৃণমূল কংগ্রেস দ্বিতীয় ধারার মানুষদের প্রতিনিধিত্ব করে। ফলে এ দলের তৃণমূল থেকে বাংলাদেশ সম্পর্কে যে বারতা আসে তা মোটেও অনুকূল নয়। ভোটারদের একটি বড় অংশের এই প্রভাব অগ্রাহ্য করা তৃণমূল নেত্রীর পক্ষে কঠিন হওয়ারই কথা।
ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভারতের ভূমিকায় আমাদের সন্তুষ্ট থাকার কোনো কারণ নেই। এর মূল কারণ আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর পর সম্পর্কোন্নয়নে যে পদক্ষেপগুলো নিয়েছে, তা ভারতকে যথেষ্ট স্বস্তি দিলেও তার প্রতিদান বাংলাদেশ আশানুরূপ পায়নি। বাংলাদেশের এসব পদক্ষেপের কারণে পূর্বভারতীয় বিভিন্ন রাজ্যের বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন কেবল দুর্বল হয়নি, প্রায় নিশ্চিহ্ন হওয়ার পথে। ট্রানজিট বা বন্দর-সুবিধার ক্ষেত্রেও বাংলাদেশ সুস্পষ্ট জনমতের অপেক্ষা না করেই ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক সুবিধা ও দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের সুবিধা বিবেচনা করে ইতিবাচক মনোভাব জানিয়ে রেখেছে। এর বিপরীতে বাংলাদেশের কিছু বড় প্রত্যাশা ছিল—১. সীমান্তে বিএসএফের তৎপরতা—বিশেষত সাধারণ বাংলাদেশি নিপীড়ন ও হত্যা প্রশমিত হবে, ২. তিস্তা চুক্তি অন্তত দুই দেশের সমসুবিধার ভিত্তিতে সম্পাদিত হয়ে যাবে, ৩. ছিটমহল সংক্রান্ত মুজিব-ইন্দিরা চুক্তি বাস্তবায়িত হবে, ৪. সাশ্রয়ী মূল্যে বিদ্যুৎ মিলবে এবং ৫. শুল্কমুক্ত পণ্যসুবিধার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ঐতিহ্যগতভাবে যেসব পণ্য রপ্তানি করে থাকে তা-ই তালিকাভুক্ত হবে।
বারবার আলোচনা, এমনকি কোনো কোনো বিষয়ে চুক্তি হওয়া বা সুস্পষ্ট ঘোষণা হওয়া সত্ত্বেও কার্যত ফলাফলে তার প্রতিফলন নেই। সীমান্তে মানুষ মরছে ও নির্যাতিত হচ্ছে, অধিকাংশ ছিটমহলবাসী এখনো প্রায় অবরুদ্ধই আছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তিস্তা চুক্তি ঠেকিয়ে রেখেছেন, শিগগির বিদ্যুৎ পাওয়ার কোনো সম্ভাবনাই দেখা যাচ্ছে না, পণ্যসুবিধা ঘোষিত হলেও ব্যবসায়ী সমাজের বড় অংশ এতে শুভংকরের ফাঁকি দেখতে পাচ্ছে।
নিকট প্রতিবেশীদের মধ্যে সম্পর্কে টানাপোড়েন অবশ্য অভিনব কোনো বিষয় নয়। এমনকি প্রবল বৈরিতাও দেখা যায়। ভারত-পাকিস্তান, ইরান-ইরাক, যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো, অতীতের ফ্রান্স-জার্মানি বিখ্যাত পারস্পরিক বৈরিতার জন্য। অধিকাংশ ক্ষেত্রে কারণটি হয় রাজনৈতিক, নয়তো অর্থনৈতিক। অনেক ক্ষেত্রে পার্শ্ববর্তী অপেক্ষাকৃত বড় ও শক্তিশালী অর্থনীতির সুবিধা নিতে চায় অন্যান্য ছোট ও দুর্বল অর্থনীতির দেশ। সে রকম শান্তিপূর্ণ প্রতিবেশী সম্পর্কের কথাও আমরা জানি। মালয়েশিয়ার জোহরবারু থেকে প্রতিদিন শ্রমজীবীরা সিঙ্গাপুরে যায় কাজ করতে। দক্ষিণ আফ্রিকায় অনেকগুলো প্রতিবেশী দেশের শ্রমিকেরা কাজের সূত্রে অভিবাসী জীবন যাপন করে।
বাংলাদেশকে তার বিশাল শ্রমজীবীর ভবিষ্যৎ নিয়ে গুরুত্বের সঙ্গে ভাবতে হবে। দেখা যাচ্ছে, বাংলাদেশের উদ্বৃত্ত শ্রমজীবীর বিষয়টি যেকোনো দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে একটি বড় ইস্যু হয়ে দাঁড়াচ্ছে। আমাদের অবৈধ অভিবাসীর উপস্থিতি বিশ্বের উন্নত বা উন্নয়নশীল প্রায় সব দেশেই আছে এবং এ সংখ্যা উত্তরোত্তর বেড়েই চলেছে। অনেকেই জনসংখ্যাকে সম্পদ বলে এ সমস্যার যে বহুমুখী দিক আছে তা খেয়াল করতে চান না।
বাংলাদেশ আয়তনেই কেবল ছোট দেশ নয়, তার রয়েছে বিশাল জনসংখ্যা, যাদের খাদ্যনিরাপত্তা এবং দেশের সার্বিক অর্থনীতির জন্য মূলত নির্ভর করতে হয় কৃষির ওপর। জনবিস্ফোরণ এভাবে চলতে থাকলে কেবল কৃষিজমির ওপরই চাপ পড়বে না, ক্রমেই আমাদের হাইব্রিড ফসল উৎপাদন, অস্বাস্থ্যকর পন্থায় ফসল সংরক্ষণ এবং বিপণনে আরও নানা অসাধু কারসাজির ফাঁদে পড়তে হবে। এসবই জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকিবিশেষ। দুর্ভাগ্যের বিষয়, এসব অপরাধ বাড়ার প্রবণতাই সমাজে স্পষ্ট। শিল্পের বিকাশ সেভাবে না হওয়ায় এবং কয়লা ও গ্যাস ভিন্ন তেমন কোনো মৌলিক খনিজ সম্পদ না থাকায় আমাদের অর্থনীতির কৃষি-নির্ভরতা অব্যাহত থাকবে। কৃষি খাত ও আমদানি-নির্ভর বাণিজ্য থেকে নিজস্ব বড় মূলধন সৃষ্টি অত্যন্ত কঠিন কাজ। বাংলাদেশ অব্যাহতভাবে এ রকম একটি চাপের মধ্যেই আছে।
আমরা যদি বাংলাদেশ অঞ্চলের জনমিতির ইতিহাস পর্যালোচনা করি তবে দেখব এ অঞ্চল কখনো তার সব মানুষকে জীবনধারণ ও খাওয়া-পরার নিশ্চয়তা দিতে পারেনি। এখান থেকে বরাবর মানুষ আশপাশের বিভিন্ন অঞ্চলে পাড়ি দিয়েছে। সিলেটের মানুষ তো আসাম ছাড়াও সাতসমুদ্র পাড়ি দিয়েছে, কুমিল্লা-নোয়াখালীর মানুষ গেছে ত্রিপুরায়, চট্টগ্রামের মানুষের গন্তব্য ছিল আকিয়াব-রেঙ্গুন, ময়মনসিংহের মানুষ যেত আসামে, উত্তরবঙ্গ থেকে জলপাইগুড়ির দিকে যেত ভাগ্যান্বেষী মানুষ, আর পদ্মার পশ্চিমতীরের মানুষ ছিল কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলমুখী।
আজও বাংলাদেশ থেকে সাধারণ অদক্ষ মানুষ কেবল শ্রম বিক্রির জন্য কী রকম মরিয়া হয়ে সামান্য খড়কুটো ধরে অচেনা মানুষকে বিশ্বাস করে চরম ঝুঁকির মধ্যে সম্পূর্ণ অনিশ্চয়তার পথে পাড়ি দিচ্ছে তা আমরা লক্ষ করছি। চরম উদ্বেগের ব্যাপার হলো, দারিদ্র্যে জর্জরিত পরিবারের মেয়েরাও পিছিয়ে নেই এই সর্বনাশা পথের হাতছানি থেকে। এমনকি অনেক ক্ষেত্রে খোদ বাবা-মা সন্দেহজনক দূরভিসন্ধিমূলক বিয়েতে নিজ তরুণী কন্যাকে ঠেলে দিচ্ছে। এরা প্রচুর মূল্য গুনে যেকোনো মূল্যে ভাগ্য ফেরানোর জন্য বিদেশে পাড়ি দিয়ে থাকে। কিন্তু এদের একটা বড় অংশের স্বপ্নভঙ্গ হয় নিঃসম্বল, নিঃশেষ হওয়ার পর। ভাগ্যের এই বিপর্যয় মেনে নেওয়া যায় না বলে তখন একজন মানুষের মানবিক বোধ, মূল্যবোধ তছনছ হয়ে পড়ে। এমনকি যারা বৈধ পথে যাচ্ছে তারাও মধ্যস্বত্বভোগীদের মুনাফাবাজি-প্রতারণার শিকার হয়ে প্রবাসে হতাশায় দুঃসহ মানবেতর বাস্তবতায় দিন কাটায়। তারা স্বাভাবিকভাবেই তপ্ত তাওয়া থেকে জ্বলন্ত চুলায় গিয়ে পড়ে। স্বপ্নসহ সব হারানো এসব মরিয়া মানুষের যেকোনো অপরাধে জড়িয়ে পড়া একদম অস্বাভাবিক নয়।
বাংলাদেশ যদি একদিকে নিজ দেশে সিংহভাগ মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে না পারে এবং অন্যদিকে যদি ভারতসহ অন্যান্য দেশে বৈধ শ্রমিক হিসেবে কাজের ব্যবস্থাটা শ্রমিকদের অনুকূলে রাখতে না পারে, তবে এ সমস্যা বাড়বে। ভারত আমাদের সীমান্ত-সংলগ্ন প্রতিবেশী হওয়ায় তার সঙ্গে সীমান্ত-বাণিজ্য বা দৈনন্দিন ভিত্তিতে বাণিজ্যিক ও বৈধ কর্মসূত্রে যাতায়াতের বৈধ ব্যবস্থা না থাকলে এ সংকট বাড়বে। মিয়ানমারের সঙ্গে চট্টগ্রাম-সংলগ্ন নাফ নদীর অপর তীরের মংডু শহরে এভাবে বৈধ বাণিজ্যিক যাতায়াতের ব্যবস্থা তো চালু আছে।
তবে এসবই সহজ হবে যদি—১. বাংলাদেশ জনসম্পদের একটি সংখ্যাগত ও মানগত আদর্শ পরিমাণ ঠিক রেখে পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করে এবং ২. প্রবাসী শ্রমিক হিসেবে বিদেশ যেতে আগ্রহীদের কাজের জন্য ভাষা ও পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধির ব্যবস্থা গ্রহণ করে এবং এই প্রক্রিয়াকে সুলভ ও দুর্নীতিমুক্ত করতে পারে।
এটা না করলে মধ্যপ্রাচ্যে শিরশ্ছেদ, সীমান্তে বিএসএফের গুলিচালনা ইত্যাদি বর্বরতার শিকার হওয়ার ঘটনা বন্ধ করা মুশকিল হবে। এতে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হবেই। আর ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের ক্ষেত্রে এর সঙ্গে দেশের অভ্যন্তরে সংখ্যালঘু নির্যাতন স্থায়ীভাবে বন্ধ করতে হবে। প্রশাসনিক প্রয়াসের বাইরে সামাজিক নিরাপত্তার নিশ্চয়তাও বাড়াতে হবে।
যে দেশের নাগরিকেরা স্বদেশে মর্যাদার সঙ্গে বাস করতে পারে, তারা বিদেশেও মর্যাদা রক্ষা করে চলবে এটাই স্বাভাবিক। আর তাতে যেমন রাজনীতিও সুস্থ হয়ে উঠবে, দুর্নীতি ও অপরাধসহ অন্যান্য সমস্যাও তেমনি কমবে। তখন কারও পক্ষে যেমন আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলানো, হস্তক্ষেপ করার অবকাশ থাকবে না, তেমনি দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে নিজেদের পক্ষে দর-কষাকষির ক্ষমতাও আমাদের বাড়বে।
 আবুল মোমেন: কবি, প্রাবন্ধিক ও সাংবাদিক।

No comments

Powered by Blogger.