শেয়ারবাজার-বিপর্যয় ঠেকাতে চাই ধৈর্য ও বিচক্ষণতা by ফারুক মঈনউদ্দীন

আমাদের শেয়ারবাজারের হালচাল নিয়ে আশঙ্কা করতে করতেই একটা মহাধস পুরো দেশকে কাঁপিয়ে দিয়ে গেল হঠাৎ। বিনিয়োগকারীদের বেপরোয়া আচরণ এবং দেশজুড়ে বিভিন্ন ব্রোকারেজ হাউসের মাধ্যমে নতুন নতুন বিনিয়োগকারীর বাজারে প্রবেশ পুরো ২০১০ সালকে করে রেখেছিল চাঙা।


কিন্তু একই সঙ্গে বাজার বিশ্লেষকদের সাবধানবাণী উচ্চারণ এবং আশঙ্কাও বাড়ছিল। কারণ, বাজারের হালচাল, শেয়ারের মূল্যায়ন—সবকিছু মিলিয়ে বাজারকে খুব স্বাস্থ্যবান মনে হচ্ছিল না। গত শতাব্দীর বিশের দশকের শেষে (১৯২৯) আমেরিকার শেয়ারবাজারে যে বিশাল ধস নেমেছিল, তার আগে সেখানেও দেখা গিয়েছিল ঠিক এ রকম নব্য বিনিয়োগকারীর ভিড় এবং এর ফলে শেয়ারের অতিমূল্যায়ন। সেই দশকের বেশ কিছু প্রযুক্তিসফল আবিষ্কার অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছিল বলে অর্থনীতিতে ছিল স্বাভাবিক তেজি ভাব। এর প্রভাব পড়েছিল শেয়ারবাজারেও। আমাদের দেশের বিনিয়োগকারীরা শেয়ারে বিনিয়োগকে দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ হিসেবে গ্রহণ করতে অভ্যস্ত নন। হয়তো আমাদের জাতিগত বৈশিষ্ট্যের কারণেই দ্রুত বিত্তশালী হওয়ার একটা প্রবণতা থেকে বিনিয়োগকারীরা অগ্র-পশ্চাৎ বিবেচনা না করে, শুধু গুজবের ওপর ভিত্তি করে স্বল্পমেয়াদি লাভের পেছনে ছুটতে গিয়ে পুরো বাজারকে করে তোলেন অস্থিতিশীল। কিন্তু ইতিহাস বলে, সে সময় আমেরিকার বিনিয়োগকারীরাও বাজারকে আর দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগের ক্ষেত্র হিসেবে দেখছিলেন না। শেয়ারে বিনিয়োগ মানেই অবশ্যম্ভাবী দ্রুত অর্থশালী হওয়া—এটাই ছিল বেশির ভাগ বিনিয়োগকারীর ধারণা। এখন যেমন সর্বত্র শেয়ারবাজারের আলোচনা শোনা যায়, সে সময় আমেরিকায়ও ঠিক তা-ই ঘটছিল। বিভিন্ন পেশার সাধারণ মানুষ কেউ কেউ হঠাৎ শেয়ারবাজার থেকে বিপুল লাভ ঘরে তুলে আনলে সংবাদপত্রগুলো ফলাও করে সেসব ছাপছিল, ফলে সব শ্রেণী-পেশার মানুষের মধ্যে একধরনের উন্মাদনা পরিলক্ষিত হয়।
শেয়ারবাজারের একটা মূলনীতি হচ্ছে, ঋণের কিংবা নিত্যব্যবহারের অর্থ শেয়ারে লগ্নি না করা। শেয়ারে খাটানো উচিত সেই সঞ্চয়, যার কোনো ব্যবহার নিকট ভবিষ্যতে নেই। আমাদের দেশের বিনিয়োগকারীরা যে রকম জুয়া খেলার মতো নিজের জীবন বাজি ধরে প্রায় সর্বস্ব বিনিয়োগ করে বসে থাকেন, তেমনি প্রাতিষ্ঠানিক ঋণ, এমনকি অন্য ব্যবসার জন্য নেওয়া ব্যাংকঋণও নীতিবহির্ভূতভাবে দ্রুত লাভের হাতছানিতে শেয়ারে বিনিয়োগ করে থাকেন। ১৯২০ সালের শেষ ভাগে আমেরিকাতেও বিনিয়োগকারীরা এমনকি ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ পর্যন্ত মার্জিন ঋণ নিয়ে শেয়ার কিনেছিলেন। কোনো কোনো ব্যাংক আমানতকারীদের না জানিয়েই তাঁদের টাকা শেয়ারবাজারে খাটিয়ে রেখেছিল।
১৯২৯ সালে কালো মঙ্গলবারই (২৯ অক্টোবর) যে কেবল ধস নেমে এসেছিল তা নয়, এটার বেশ কিছু আগাম সংকেত যে পাওয়া যায়নি, তা নয়। সে বছরের মার্চ মাসে একটা ধস নেমেছিল, সেটা হূদেরাগের মাইল্ড অ্যাটাকের মতো বড় বিপর্যয়ের পূর্বাভাসও দিয়ে গিয়েছিল। ব্রোকারেজ হাউস আর মার্চেন্ট ব্যাংকগুলো সে সময় তাদের দেওয়া মার্জিন লোন ফেরত দেওয়ার জন্য বিনিয়োগকারীদের নোটিশ দিলে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তবে দু-একটি ব্যাংক সে পরিস্থিতিতে লোন দেওয়া অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিলে মানুষের মধ্যে আস্থা ফিরে আসে, বাজার আবার স্থিতিশীল হয়। তবে ঠিক এই কৌশল অক্টোবর মাসের মহাধসের সময় আবার প্রয়োগ করা হলেও তা কাজে আসেনি।
সেদিন বাংলাদেশের ইতিহাসের দ্রুততম এবং বৃহত্তম ধসের পর বাজারকে অনেকটা কৃত্রিম উপায়ে চাঙা করার জন্য কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, যেগুলো হয়তো কিছুদিন আগেও নিষেধ করা হয়েছিল। ১৯২৯ সালের অক্টোবরেও ঠিক তেমনটিই করা হয়েছিল মহাধসের কয়েক দিন আগে। বাংলাদেশ ব্যাংক যেমন দরপতন ঠেকাতে ব্যাংকগুলোকে শেয়ার কেনার জন্য নির্দেশ দিয়েছে, সেদিন আমেরিকাতেও বিক্রির চাপ বেড়ে গেলে কয়েকটি ব্যাংক তাদের নিজেদের বিপুল তহবিল খাটিয়ে শেয়ার কিনতে শুরু করে, ফলে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মধ্যে স্বস্তি ফিরে আসে, চাপ কমে যায় বিক্রির। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। অক্টোবরের ২৯ তারিখ, কালো মঙ্গলবার স্টক মার্কেটের ইতিহাসের এক দুঃস্বপ্নের দিন। শেয়ার বিক্রির চাপের সঙ্গে তাল মেলাতে পারছিল না টিকার (স্টক মার্কেটের বাজারমূল্য মুদ্রিত করার জন্য টেলিপ্রিন্টারের একধরনের ফিতা), সাধারণত এটি বাজারের কেনাবেচার সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলে। বাজারে ক্রেতা নেই, শুধু বিক্রেতা—আতঙ্কিত বিনিয়োগকারীরা বিষাক্ত বস্তুর মতো হাতে থাকা শেয়ার ছুড়ে ফেলে দিয়ে কমাতে চাইছিলেন ক্ষতির পরিমাণ। ব্যাংকগুলো যেখানে বিনিয়োগকারীদের পড়তি বাজারে শেয়ার কেনার জন্য উৎসাহ জোগাচ্ছিলেন, সেখানে উল্টো গুজব রটে যে তারাও শেয়ার ছেড়ে দিচ্ছে। ফলে যা হওয়ার তা-ই ঘটে। গুজব এবং আতঙ্ক—দুটোই শেয়ারবাজারের জন্য ক্ষতিকর হলেও এ দুটোরই কবলে পড়েন পুরো দেশের বিনিয়োগকারীরা। সর্বস্বান্ত হয়ে যাওয়া কমপক্ষে ১১ জন বিনিয়োগকারী এক দিনেই ওয়াল স্ট্রিটের বিভিন্ন সুউচ্চ ভবন থেকে লাফিয়ে পড়ে আত্মাহুতি দিয়েছিলেন বলে শোনা যায়।
শেয়ারবাজারের উত্থান-পতন খুব স্বাভাবিক ঘটনা। কারণ, অসহিষ্ণু বিনিয়োগকারীদের ইচ্ছা বা চাহিদা অনুযায়ী, বাজার কেবল বেড়ে যেতে পারে না। অবশ্য কোনো কোনো অর্থনীতিবিদের মতে, পুঁজিবাদী অর্থনীতিতে এ রকম উত্থান ও মন্দার একটা চক্র আছে এবং ইতিহাসের অমোঘ নিয়মে এটা ঘটতেই থাকবে নির্দিষ্ট সময় পরপর। কথাটা হয়তো একেবারে উড়িয়ে দেওয়ার মতো নয়। শেয়ারবাজার শুধু নয়, অর্থনীতিতেও এই উত্থান-পতনের কালচক্র আবর্তিত হতে দেখা যায়, যার কোনোটা দৃষ্টিগ্রাহ্য হওয়ার মতো বিধ্বংসী, আবার কোনোটা নীরব।
বস্তুত বাজারের ধস দুভাবে আসতে পারে। একটি হচ্ছে ক্ষণস্থায়ী অথচ বিধ্বংসী, যার সূত্রপাত ঘটে কোনো আকস্মিক বিপর্যয়, দুর্ঘটনা কিংবা নিছক গুজবসৃষ্ট আতঙ্ক থেকে। এ জাতীয় ধস ক্ষণস্থায়ী বলে কম ক্ষতিকারক। বিনিয়োগকারীরা বিচক্ষণতা, ধৈর্য ও সাহসের পরিচয় দিলে সহজেই কাটিয়ে ওঠা যায় এগুলোকে। এ জাতীয় আকস্মিক ধসকে কেউ কেউ বাজার সংশোধন বলেও আখ্যায়িত করে থাকেন।
তবে ভয়াবহ হচ্ছে দীর্ঘস্থায়ী পতন। এ রকম ক্ষেত্রে দরপতনের গতিটা হয়তো দৃশ্যমান হয় না, মাঝেমধ্যে কিছুটা চাঙা ভাবও দেখা যায়, কিন্তু দীর্ঘ মেয়াদে চোরাবালির মতো বিনিয়োগকারীর পায়ের নিচ থেকে সরিয়ে নেয় মাটি। এ রকম ক্ষেত্রে বিনিয়োগকারীদের ধৈর্য কিংবা বিচক্ষণতা খুব বেশি একটা সাহায্য করতে পারে না। গত শতাব্দীতে এ রকম কিছু দীর্ঘস্থায়ী পতনের বিবরণ হয়তো বাজারের ইতিহাসে লেখা নেই, কিন্তু এতে নীরবে পুঁজি হারিয়েছিলেন বহু বিনিয়োগকারী। ১৯২৯ সালের কালো মঙ্গলবারের পর থেকে আমেরিকায় শোনা যাচ্ছিল মহামন্দার পদধ্বনি। সেই মহামন্দা যদিও চল্লিশের দশকে আমেরিকার দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে অবতীর্ণ হওয়ার আগ পর্যন্ত কাটেনি, শেয়ারবাজারের সবচেয়ে বড় এবং দীর্ঘস্থায়ী দরপতনের ঘটনাটা ঘটেছিল ১৯৩০-এর প্রথম দিক থেকে শুরু হয়ে পুরো ১৯৩১-১৯৩২ সালের প্রায় তিন-চতুর্থাংশ জুড়ে। এই দীর্ঘ সময়, দুই বছরেরও বেশি সময়ে শেয়ারের অবমূল্যায়ন ঘটে ৮৬ শতাংশ, অর্থাৎ ২৯ সেপ্টেম্বরে ১০০ ডলারের শেয়ারের দাম ১৯৩২ সালের আগস্টে এসে দাঁড়ায় ১১ ডলারেরও কমে। এরপর বিভিন্ন সময়ে আমেরিকার শেয়ারবাজার দীর্ঘমেয়াদি দরপতন প্রত্যক্ষ করেছে, সেগুলোর কারণও ছিল বহুবিধ। ১৯৩৯ থেকে ’৪২ পর্যন্ত দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ, জাপান কর্তৃক পার্ল হারবার আক্রমণ, ১৯৭৩-৭৪ সালে পেট্রলের মূল্যবৃদ্ধি, ভিয়েতনাম যুদ্ধ, প্রেসিডেন্ট নিক্সনের ওয়াটারগেট কেলেঙ্কারি আর ২০০০-০২ সময়ে ডটকম বুদ্বুুদের বিস্ফোরণ, টুইন টাওয়ার ধ্বংস—এ জাতীয় বিভিন্ন কারণে বারবার পুঁজি ক্ষয় করেছেন বহু বিনিয়োগকারী সরবে বা নীরবে।
দরপতনের ঘটনা বিশ্লেষণ করে খুব কম সময়ই একটিমাত্র কারণ খুঁজে পাওয়া গেছে। সাধারণত ফাটকা বাজারির উদ্দেশ্যে যেসব বিনিয়োগকারী স্বল্প মেয়াদে বাজি ধরার মতো বিনিয়োগ করেন, তাঁদের আত্মবিশ্বাস ও ধৈর্য হয় ডিমের খোসার মতো পাতলা ও ভঙ্গুর, ফলে সামান্যতম ঘটনা এবং গুজব থেকে জন্ম নেয় আতঙ্কের।
তবে দরপতনের কিছু সাধারণ কারণ সব সময় একই রকম প্রভাব বিস্তার করে। এর মধ্যে একটা হচ্ছে অতিমূল্যায়িত শেয়ার কেনা। একটা অতিচাঙা বাজারে বিনিয়োগকারীরা পূর্বাপর বিবেচনা না করে যেকোনো মূল্যে যখন কিনতে থাকেন, তখনই সৃষ্টি হয় একটা অবশ্যম্ভাবী পতনের কারণ। অনেক সময় গুজব, ইনসাইডার ট্রেডিংয়ের মতো অনৈতিক কর্মকাণ্ডও শেয়ারবাজারকে উসকে দেয়, যার অনিবার্য পরিণতি হচ্ছে একটা ভয়াবহ পতন। আমাদের দেশের বাজার নিকট অতীতে, ১৯৯৬ সালে ঠিক এমনটিই প্রত্যক্ষ করেছিল। মানুষের হাতে শেয়ার কেনার জন্য যথেষ্ট সঞ্চয় না থাকলে শেয়ারবাজার চাঙা থাকে না। তবে এর বিকল্প পন্থা হিসেবে মার্জিন ঋণের বিপরীতে শেয়ার কেনার টাকা যখন সহজলভ্য হয়, তখন মানুষ মূল এবং অন্যান্য আনুষঙ্গিক বিবেচ্য বিষয়গুলো উপেক্ষা করে ক্রমাগত কিনতে থাকে, এতেও শেয়ারের চাহিদা বেড়ে গিয়ে বাজার অপ্রয়োজনীয় রকম উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। সে কারণে ১৯২০-৩০-এর দশকে আমেরিকার কেন্দ্রীয় ব্যাংক মুদ্রানীতি কঠোর করেছিল, যাতে সহজলভ্য ঋণের টাকায় শেয়ারবাজার অতিমূল্যায়িত হয়ে বাজারকে ক্ষতিগ্রস্ত না করে। একই উদ্দেশ্যে সে সময় ব্রোকার হাউসগুলোকে দেওয়া ব্যাংকঋণের সুদের হারও বাড়ানো হয়েছিল। বাংলাদেশেও অনুরূপ ব্যবস্থা নেওয়ার মাধ্যমে তেজি বাজারকে শান্ত করার একটা প্রয়াস কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিয়েছিল। কিন্তু অনেক সমালোচনার মুখে (হয়তো সাময়িকভাবে) সে অবস্থান থেকে সরে আসতে হয়েছে আমাদের। ১৯২৯ সালের মহাধসের পর আমেরিকার কেন্দ্রীয় ব্যাংককেও এ রকম সমালোচনার মুখোমুখি হতে হয়েছিল, সে কারণে ধসের পর থেকে ১৯৩০ সাল পর্যন্ত ক্রমেই সুদের হার কমিয়ে আনতে হয়েছিল প্রায় ২ শতাংশ, আর এর ফলে বাজারে অর্থ সরবরাহ বেড়ে যায়, বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো স্টক ব্রোকার এবং ডিলারদের আবারও ঋণ দেওয়া শুরু করে। বলা হয়, ১৯২৯ সালের মহাধসের পর প্রায় চার হাজার ব্যাংকে লালবাতি জ্বলে এবং এর মূল কারণ ব্যাংকগুলোর হাতে আমানতকারীদের ফেরত দেওয়ার মতো পর্যাপ্ত অর্থের অভাব। সে কারণে বাণিজ্যিক ব্যাংক এবং পুঁজিবাজার-সংক্রান্ত কর্মকাণ্ডের মধ্যে সুস্পষ্ট ভেদরেখা থাকা উচিত, আমেরিকান সরকার সে সময়ই এই মর্মে আইন প্রণয়ন করেছিল।
ওপরের সংক্ষিপ্ত আলোচনা থেকে একটা সিদ্ধান্তে পৌঁছা যায় যে, জীবনের সর্বস্ব বাজি ধরে, নিত্যব্যবহার্য মূলধন দিয়ে অতিমূল্যায়িত বাজার থেকে দুর্বল প্রতিষ্ঠানের শেয়ার না কিনলে, কোনো সংকটের সময় বিনিয়োগকারীরা দেখাতে পারেন ধৈর্য ও বিচক্ষণতা, ফলে বাজারে দরপতনের আভাস দেখলেও আতঙ্কিত হয়ে বিক্রি করে দিয়ে পতনশীল বাজারকে আরও অস্থিতিশীল করার প্রবণতা থেকে বিরত থাকা যায়। কারণ, একটি স্থিতিশীল বাজার বজায় রাখার জন্য নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর যেমন রয়েছে দায়িত্ব, তেমনি বিনিয়োগকারীদের আচরণেও থাকতে হবে দক্ষতা ও পরিপক্বতার ছাপ। তা হয়তো আমরা ভবিষ্যতের যেকোনো সংকটের সময় দেখতে পাব।
ফারুক মঈনউদ্দীন: লেখক ও ব্যাংকার।
ই-মেইল: fmainuddin@hotmail.com

No comments

Powered by Blogger.