চাকরি পেলো হার্পার!

বয়স মাত্র নয় মাস। আর এরই মধ্যে চাকরির প্রস্তাব আসাতে শুরু করেছে হার্পার সেভেন বেকহামের জন্য। কেনই বা আসবে না? যার বাবা একজন আন্তর্জাতিক ফুটবল তারকা আর মা বিশ্বখ্যাত ফ্যাশন ডিজাইনার, তার বাজার দর এই দুর্মূল্যের বাজারে যে কতো বেশি তা ঠিকই আঁচ করতে পেরেছে সবাই।

এজন্যই তো সম্প্রতি নিজের জীবনের প্রথম ‘জব অফার লেটার’টি গ্রহণ করলেন হার্পার, যেখানে এখনো তিনি ‘জব’র মানেই বুঝে উঠতে পারেননি! বৃটেনের ‘ওকে!’ ম্যাগাজিন সম্প্রতি জানিয়েছে, মাই ফার্স্ট ইয়ার’ নামে একটি বেবি গিফট কোম্পানি হার্পারকে তাদের দূত হিসেবে নিয়োগ দিতে চায়। এজন্য তারা হার্পার বরাবর একটি প্রস্তাবপত্রও পাঠিয়েছে। যেখানে তারা লিখেছে, “তোমার মা-বাবা দুজনই হালের ফ্যাশন আইকন। তাছাড়া তারা স্ব স্ব ক্ষেত্রেও সাফল্যের ছাপ রেখেছেন। তাই আমাদের সবার ধারণা তুমিও নিঃসন্দেহে এই জগতে সফলতা লাভ করবে। সেই যোগ্যতা তোমার রক্তেই আছে। তাই আমাদের হাত ধরে তোমাকে এই জগতে আসার জন্য স্বাগত জানাচ্ছি।”
হার্পারের সম্মানির ব্যাপারে তারা ওই ‘অফার লেটারে’ লেখে, “শিশুশ্রম আইনের কারণে আমরা সরাসরি তোমার সঙ্গে তোমার সম্মানি নিয়ে কথা বলতে পারছি না। এটা নিয়ে তোমার মা-বাবার সঙ্গে আলোচনা করবো। তবে আমরা তোমাকে যোগ্য সম্মানি দিতে প্রস্তুত। কারণ আমাদের নতুন রেঞ্জের প্রধান মুখ হবে তুমি।”

হার্পারের পাশাপাশি তারা মা ফ্যাশন ডিজাইনার ভিক্টোরিয়া বেকহাম এবং বাবা ফুটবলার ডেভিড বেকহামের কাছে একটি অফার লেটার পাঠানো হয়। যেখানে হার্পারকে ‘মাই ফার্স্ট ইয়ার’ কোম্পানির ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে নিয়োগ করার কথা উল্লেখ করা হয়।

উল্লেখ্য, হার্পারের মতো নয় মাস বয়সে না হলেও খুব অল্প বয়সেই নিজেদের ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন ডেভিড এবং পশ। মাত্র ১৭ বছর বয়সে ফুটবলার হিসেবে নিজের স্বতন্ত্র একটি পরিচয় গড়ে তোলেন ডেভিড বেকহাম। অন্যদিকে মাত্র সাত বছর বয়সে গান গেয়ে পরিচিত ও জনপ্রিয়তা অর্জন করেন হার্পারের মা পশও। তবে এবার মা-বাবাকেও ছাড়িযে গেল তাদের মেয়ে। মাত্র নয় মাস বয়সেই সে পেল তার প্রথম চাকরির প্রস্তাবটি।

No comments

Powered by Blogger.