কী দোষ ছিলো কৃষ্ণচূড়ার!

কী দোষ ছিলো কৃষ্ণচূড়া গাছ দুটির। ঝড়ে সামান্য কাত হয়েছিলো। দু’একটি ছোটো ডালও হয়তো ভেঙ্গে পড়েছিলো কোনো বাসভবনের ছাদে। কিন্তু তাতেই কতল হতে হলো ঢাকা মেডিকেল কলেজের ড. ফজলে রাব্বী আবাসিক হলের সীমানা প্রাচীরের মধ্যে বেড়ে ওঠা দুটি কৃষ্ণচূড়া গাছকে।

শনিবার হলটির একাধিক আবাসিক শিক্ষার্থী বাংলানিউজকে ফোন করে জানালেন তাদের কষ্টের কথা।
গাছ দুটিতে লাল ফুলের যেনো আগুন লেগেছিলো। গোটা এলাকা সৌন্দর্যমণ্ডিত করে তুলেছিলো কৃষ্ণচূড়া ফুল। কিন্তু এখন সেখানে খাঁ-খাঁ করছে ফুলহীন শূন্যতা।

একটি গাছ কেটে মাটিতে ফেলা হয়েছে। অপরটির ডালপালা কেটে ফেলা হয়েছে। এ দুটি ফুলেল গাছের গায়ে করাত চালিয়ে একটুও মনখারাপ  নয় কর্তৃপক্ষ। বৃক্ষকে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে তারা বেশ নির্ভার।

হলের আবাসিক ছাত্রদের অভিযোগের তর্জনী সহকারী প্রভোস্ট ড. হাসানের দিকেই।

দু’একজনতো অভিযোগ করেই বসলেন অকারণেই গাছ দুটি নগদ ২০ হাজার টাকায় বিক্রি করে দিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।

অবশ্য এই অভিযোগের সত্যতা যাচাই করতে ড. ফজলে রাব্বী হলের অ্যাসিসট্যান্ট প্রভোস্ট ড. হাসানকে পাওয়া যায়নি। তবে হলের নিরাপত্তারক্ষীদের দাবি, গাছ দুটি কাত হয়ে পড়ায় না কেটে উপায় ছিলো না।

No comments

Powered by Blogger.