মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার ২০১১-সমালোচকদের রায়ে মনোনীত যাঁরা

মেরিল-প্রথম আলো সমালোচক পুরস্কার ২০১১-এর জন্য বিচারকদের রায়ে মনোনয়ন পাওয়া তারকাদের অনুভূতি জানতে তাঁদের মুখোমুখি হয়েছিল আনন্দ সেরা টিভি অভিনয়শিল্পী (পুরুষ) আ খ ম হাসান (এ জার্নি বাই পলিটিক্স)
সমালোচক বিভাগে মনোনয়ন পেয়ে অনেক ভালো লাগছে।


বিজ্ঞ বিচারকরা আমার কাজ দেখে মনোনীত করেছেন এটি অনেক সম্মানের। মনে হয়েছে তাহলে কাজটি হয়তো ভালো করেছি।
আবুল হায়াত (শনিবার রাত ১০টা ৪০ মিনিট)
আমি বিস্মিত। পুরস্কার না পেলে মনে হবে এটিই স্বাভাবিক। পেলে ভীষণ অবাক হব।
অ্যালেন শুভ্র (হলুদ)
মনোনয়ন পেয়ে অনেক ভালো লাগছে। পুরস্কার পেলে আরো ভালো লাগবে।

সেরা টিভি অভিনয়শিল্পী (নারী)
জয়া আহসান (কয়েকটি নীল রঙের পেন্সিল)
নাটকটির গল্প এবং আমার চরিত্রটি অনেক ভালো ছিল। মনোনয়ন পাওয়াতে নিজের ভালো লাগা কাজ করছে। এ পরিচালকের সঙ্গে প্রথম কাজ এটি। জুরি বোর্ডে যাঁরা নাটকটি দেখে আমাকে মনোনয়ন দিয়েছেন তাঁদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।
তিশা (তহমিনার দিনযাপন)
সমালোচক পুরস্কারের জন্য যাঁরা আমাকে মনোনীত করেছেন তাঁদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আর নাটকটির পরিচালক আলভী আহমেদকেও ধন্যবাদ, উনি এত সুন্দর একটা পাণ্ডুলিপিতে আমাকে দিয়ে কাজ করানোর কথা মনে করেছেন।
শশী (নেকলেস)
এত অভিনেত্রীর ভিড়ে আমি মনোনয়ন পেয়েছি, তিনজনের একজন হতে পেরেছি। এ জন্য আমি অনেক অনেক খুশি। পুরস্কার পাব কি পাব না জানি না। তবে মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কারের মতো এত সম্মানজনক পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন পেয়েছি, এতেই আমি খুশি।

সেরা চলচ্চিত্র অভিনয়শিল্পী (পুরুষ)
আলমগীর (মাটির ঠিকানা)
আমি একটু অসুস্থ। বেশি কিছু বলতে পারব না। শুধু বলব, মনোনয়নের খবরটা শুনে ভালো লাগছে।
চৌধুরী যাওয়াতা আফনান (আমার বন্ধু রাশেদ)
চলচ্চিত্রে অভিনয় করব—এটা ছিল স্বপ্নেরও বাইরে। আবার মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কারের মতো সম্মানজনক পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন পেয়েছি। আমি আসলে ভাবতেই পারছি না। অভিনয়, মনোনয়ন পাওয়া—এগুলো কখনো চিন্তাই করিনি। মোরশেদুল ইসলাম এবং আমার বন্ধু রাশেদ-এর পুরো দলের কাছে আমি কৃতজ্ঞ।
শাকিব খান (আদরের জামাই)
প্রথমে বলব, বাণিজ্যিকভাবে সফল একটা ছবি যখন মনোনয়ন পায়, তখন বিষয়টি ছবির পুরো কলাকুশলীদের জন্য আনন্দ বয়ে আনে। এই ছবিটির জন্য আমি শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র শিল্পীর মনোনয়ন পেয়েছি। এ জন্য জুরি বোর্ডের কাছে আমি কৃতজ্ঞ।

সেরা চলচ্চিত্র অভিনয়শিল্পী (নারী)
জয়া আহসান (গেরিলা)
সম্মানিত সমালোচকেরা গেরিলা ছবিটি দেখে আমাকে মনোনয়ন দিয়েছেন। আমি খুবই খুশি হয়েছি। যাঁরা জুরি বোর্ডে ছবিটি দেখেছেন, তাঁরা চলচ্চিত্রের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন মানুষ। তাঁরা আমাকে মনোনীত করেছেন— এটা আমার জন্য অনেক বড় পাওয়া। আমি এই ছবিতে দর্শক জরিপেও মনোনয়ন পেয়েছি। আমি মনে করি গেরিলা একটা ভালো ছবি বলেই সব জায়গাতেই এর জয় হয়েছে।
নিপুণ (আদরের জামাই)
এই প্রথম আমি মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন পেলাম। তাও আবার সমালোচক ক্যাটাগরিতে। আমি মনে করি, এই ক্যাটাগরিতে মনোনয়ন পাওয়া কঠিন ব্যাপার। বিজ্ঞ জুরি সদস্যরা অনেক বিচার-বিশ্লেষণ করে মনোনয়ন দেন। এ ছাড়া ছবির পরিচালককে আমি শুভেচ্ছা জানাতে চাই। ছবিটিতে আমার চরিত্র ও গল্প দুটোই ভালো ছিল।
মৌসুমি (প্রজাপতি)
প্রজাপতিতে আমার অভিনয় সমালোচকদের ভালো লেগেছে এটা এক ধরনের স্বীকৃতি। পুরস্কার পাব কিনা জানি না। তবে আগামীতে ভালো অভিনয় করার ইচ্ছা আরো বেড়ে যাবে।

সেরা চলচ্চিত্র
ফরিদুর রেজা সাগর (আমার বন্ধু রাশেদ, গেরিলা)
ইমপ্রেস সবসময় ভালো ছবি নির্মাণ করার চেষ্টা করে। আমরা সেই দিক বিবেচনা করে মুক্তিযুদ্ধের দুটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছি। এবং দুটিই ছবিই মেরিল প্রথম আলো পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন পেয়েছে। এ জন্য অনুভূতি খুবই ভালো।

সেরা পরিচালক
নাসির উদ্দীন ইউসুফ (গেরিলা)
গেরিলা সবার পরিশ্রমের একটি ছবি। অনেক সময় নিয়ে, অনেক গবেষণা করে, অনেক পরিশ্রম করে কাজটি করা হয়েছে। এটি মুক্তিযুদ্ধের একটা কাজ, মুক্তিযুদ্ধের একটা চলচ্চিত্র। এই চলচ্চিত্রের পরিচালক হিসেবে মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কারের জন্য আমাকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। আমি আনন্দিত এবং খুশি।
মোরশেদুল ইসলাম (আমার বন্ধু রাশেদ)
এটা অবশ্যই আনন্দের অনুভূতি। আমাদের এখানে মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার অনুষ্ঠানটি খুব সম্মানের। যদিও আমার মনে হয়, মাঝখানে, বিশেষ করে চলচ্চিত্রের ক্ষেত্রে, এর মর্যাদা রক্ষা করা হয়নি। তার পরও আমি মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কারের জন্য চলচ্চিত্রে পরিচালক হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছি। আমি আনন্দিত।
শাহ আলম কিরণ (মাটির ঠিকানা)
মাটির ঠিকানা একটা ভিন্নধর্মী গল্প নিয়ে নির্মাণ করেছিলাম। সমালোচকদের দৃষ্টিতে ছবিটির জন্য আমি শ্রেষ্ঠ পরিচালকের মনোনয়ন পেয়েছি। অবশ্যই আমার জন্য আনন্দের।

সেরা টিভি চিত্রনাট্যকার
আলভী আহমেদ (তহমিনার দিনযাপন)
আমি আনন্দিত। জাকির তালুকদারের একটা গল্প থেকেই এটি চিত্রনাট্য করেছি। আমি বিশ্ববিদ্যালয় পড়ার সময় এ গল্পটি পড়ি। তখন আমার ভেতর গল্পটি নিয়ে স্বপ্ন ছিল। মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার ২০১১তে এসে গল্পটির চিত্রনাট্য বিভাগে মনোনয়ন পেয়ে সেই স্বপ্নের বাস্তবায়ন ঘটল। সত্যিই এ বিভাগে মনোনয়ন পেয়ে খুবই খুশি হয়েছি।
আশরাফুল চন্চল (শনিবার রাত ১০টা ৪০ মিনিট)
মোট চারবার আমি এই নাটকটির চিত্রনাট্যের কাজ করেছি। এবং এভাবে আট মাস ধরে আমি নাটকটির চিত্রনাট্য নিয়ে কাজ করেছি। লেখার পর একাধিকজনকে নাটকটি পড়ে শুনিয়েছি। শোনানোর পর তাঁদের পরামর্শমতো পুনরায় লিখেছি। এভাবে চিত্রনাট্যটা একটা পর্যায়ে গিয়ে দাঁড়িয়েছে। মেরিল প্রথম আলো সমালোচক পুরস্কারের জন্য চিত্রনাট্যটি মনোনয়ন পেয়েছে। আমি মনে করি আমার শ্রম সার্থক হয়েছে। আমি খুবই খুশি।
মনোয়ার কবীর (হলুদ)
আমার জীবনে প্রথম লেখা নাটক এটি। আমি যখন মনোনয়নের চিঠি পাই তখন অবাক হয়েছি। পুরস্কার পাওয়াটা বড় কথা না। মনোনয়ন পেয়েছি, এতেই আমি খুশি হয়েছি। এই মনোনয়ন আমাকে সামনে নাটক লেখার জন্য আরও বেশি উৎসাহিত করবে।

সেরা টিভি নাটক নির্দেশক
অনিমেষ আইচ (হলুদ)
হলুদ নাটকটি অনেক ভালো একটা নাটক। মনোনয়ন পেয়েছি, ভালো লাগছে। আমার কাছে মনে হয় মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কারের মনোনয়ন পাওয়াটা আমার নিয়তি হয়ে দাঁড়িয়েছে। যত বছর ধরে কাজ করছি, ততবারই আমি মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন পেয়ে আসছি। নিজের কাছে খুবই ভালো লাগে।
আলভী আহমেদ (তহমিনার দিনযাপন)
আমরা নানা প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে নির্দেশনার কাজ করি এবং বৈরী পরিবেশের মধ্য দিয়ে কাজ করলেও প্রতিনিয়তই কাজ নিয়ে স্বপ্ন দেখি। এবার মেরিল-প্রথম আলো সমালোচক পুরস্কারের শ্রেষ্ঠ নির্দেশকের মনোনয়ন পেয়ে স্বপ্ন সত্যিই হয়ে গেল। যেসব সম্মানিত বিচারক আমার নাটকটি দেখে আমার কাজের মূল্যায়ন করেছেন, তাঁদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। এই মনোনয়ন পাওয়ার মাধ্যমে আমি মনে করি আমি সঠিক পথেই এগোচ্ছি।
আশরাফুল চন্চল (শনিবার রাত ১০টা ৪০ মিনিট)
লেখালেখি অনেক করেছি। কিন্তু আমার জীবনের প্রথম নির্দেশনার কাজ এটি। প্রথম কাজেই মেরিল প্রথম আলোর মত সম্মানজনক পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন পেয়েছি। এর অনুভূতি কীভাবে প্রকাশ করব বুঝতে পারছি না। প্রথম নির্দেশনা হিসেবে ভালো কাজের চেষ্টা করেছি। তবে তৃপ্তি পাইনি। হয়তো ভালো বাজেট থাকলে আরও ভালো করা যেত।

No comments

Powered by Blogger.