অদেখা সৌন্দর্য by সালমান সাইদ

সেন্ট মার্টিন। পরিচিত নারিকেল জিঞ্জিরা নামেও। সাজানো-গোছানো দ্বীপটির প্রাকৃতিক মাধুর্য মুগ্ধ করবেই। দ্বীপটির ওপরের সৌন্দর্য তো আছেই। তবে নারকেলগাছের মায়াময় পরিবেশের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে যাচ্ছে দ্বীপটির চারপাশে পানির নিচের দুনিয়া।


পরিষ্কার স্বচ্ছ পানি। কোথাও নীলাভ রং, কোথাও বা হালকা সবুজ আভা। যত দূর চোখ যায়, পানির নিচের সবকিছুই স্পষ্ট। এ এক অপূর্ব দৃশ্য। কখনো বা বিভিন্ন রঙের ডোরাকাটা রঙিন মাছ দেখা যাচ্ছে, কখনো বা সবুজ কোরাল, ব্রেইল কোরাল উঁকি দিচ্ছে। ভাগ্য ভালো থাকলে বাংলা চ্যানেলের আশপাশে ডলফিন কিংবা জেলি ফিশের দেখাও মিলে যেতে পারে। নভেম্বর থেকে মার্চ, এই সেন্ট মার্টিনেই কচ্ছপের ডিম পাড়া দেখা যায়। দ্বীপের মূল অংশেই ছোট ছোট কচ্ছপের খুদে পায়ে সাগরের দিকে এগিয়ে যাওয়া দেখতে পাবেন। তবে এ সময় ধৈর্য ধরে চুপ হয়ে থাকতে হবে। সময়টা হলো খুব ভোরে অথবা সন্ধ্যায়।
স্কুবা ডাইভিং ও স্নোরকেলিং দুটোই করা যাবে। পানির গভীরে অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে পুরোদস্তুর তৈরি হয়ে তবেই স্কুবা ডাইভিং করা যাবে। এ জন্য সাঁতার জানতেই হবে। অন্য দিকে স্নোরকেলিংয়ের জন্য অতটা প্রস্তুতির দরকার নেই। লাইফ জ্যাকেট এবং চোখ ও নাক ঢাকার মাস্ক হলেই চলবে। পানির খুব একটা গভীরেও যেতে হবে না। হেঁটেই পানির নিচে সব কিছু দেখতে পারবেন। সাঁতার না জানলেও চলে। তবে স্নোরকেলিংয়ের জন্য সবচেয়ে ভালো জায়গা হলো ছেঁড়াদ্বীপ। এর জন্য সেন্ট মার্টিন থেকে ট্রলারে করে যেতে হবে ছেঁড়াদ্বীপে। ওশেনিক স্কুবা ডাইভ সেন্টার এবং ঢাকা ডাইভারস ক্লাব সাহায্য করবে রোমাঞ্চকর এ দুটি অভিযান করার জন্য। স্কুবা ডাইভিংয়ের জন্য খরচ পড়বে পাঁচ হাজার টাকার মতো। স্নোরকেলিংয়ের জন্য লাগবে দুই হাজার টাকার মতো। তবে দরদাম করলে এর কমেও পাওয়া যেতে পারে। যোগাযোগ: ওশেনিক স্কুবা ডাইভ সেন্টার ০১৭১১৫৬৭৯৯১ এবং ঢাকা ডাইভারস ক্লাব ০১৭১১৬৭১১৩০

No comments

Powered by Blogger.