বিদায় কীর্তিমান!

স্কয়ার গ্রুপের চেয়ারম্যান, দেশের অন্যতম শিল্প উদ্যোক্তা, জনহিতৈষী ব্যক্তিত্ব—এ রকম নানা পরিচয়েই পরিচিত হতে পারেন তিনি। দীর্ঘ পাঁচ দশক ধরে দেশের অর্থনীতিতে তাঁর যে অবদান, সেটি এককথায় তুলনা রহিত। তবে, এসবের বাইরেও স্যামসন এইচ চৌধুরী স্মরণীয় হয়ে থাকবেন সম্ভবত তাঁর অসাধারণ জীবনসংগ্রামের জন্য।


১৯২৬ সালে জন্ম তাঁর। সেই ষাটের দশকে পাবনার আতাইকুলায় তাঁর উদ্যোগে ছোট্ট একটি ঘর থেকে যাত্রা শুরু করেছিল স্কয়ার। সে সময়কার দিনগুলো কেমন ছিল, তার নমুনা মিলবে একটি জীবন ও নিরলস সংগ্রাম বই থেকে। বইয়ের ভূমিকায় স্যামসন এইচ চৌধুরী সম্পর্কে শোভা অধিকারী লিখেছেন—‘একাধারে তিনি মালিক-ম্যানেজার, হিসাবরক্ষক, টাইপিস্ট, কেরানি, শ্রমিক ও মেডিকেল রিপ্রেজেনটেটিভ। ওপর থেকে নিচ পর্যন্ত এমন কোনো কাজ নেই যা তাঁকে করতে হয়নি। এ দেশের প্রায় সব কটি শহর, বন্দর ও গঞ্জে স্কয়ারের তৈরি ওষুধ বাজারজাতকরণের উদ্দেশ্যে নিরলসভাবে ঘুরেছেন।’
বহু চড়াই-উতরাই পেরিয়ে স্কয়ার এখন বাংলাদেশের এক গর্বের নাম। স্কয়ার শিল্পগোষ্ঠীর অধীনে কাজ করছে ওষুধ, পোশাক, গণমাধ্যম, সেবা খাতসহ ১৯টি প্রতিষ্ঠান। যেখানে কর্মসংস্থান হয়েছে হাজারও মানুষের।
স্যামসন এইচ চৌধুরী মেট্রোপলিটন চেম্বার, ওষুধ শিল্প সমিতির সভাপতি ছিলেন। যুক্ত ছিলেন ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স বাংলাদেশের সঙ্গে।
স্যামসন এইচ চৌধুরী নেই। তাঁর অসামান্য কীর্তি আমাদের বারেবারে মনে করিয়ে দেবে স্যামসন এইচ চৌধুরীর মতো মানুষের দেখা খুব কমই পেয়েছে বাংলাদেশ।
আমাদের এবারের মূল আয়োজন তাঁর জন্য উৎসর্গ।

No comments

Powered by Blogger.