‘ঈশ্বর কণা’র অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়ার দাবি

হিগস বোসন বা ঈশ্বর কণার অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়ার দাবি করেছেন বিজ্ঞানীরা। সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় অবস্থিত লার্জ হার্ডন কোলইডারের (এলএইচসি) গবেষকেরা এ দাবি করেছেন। হিগস বোসন বা ‘ঈশ্বর কণা’ হচ্ছে একধরনের অতি পারমাণবিক কণা (সাব অ্যাটোমিক পার্টিকেল), যার অস্তিত্ব রয়েছে বলে অনুমান করা হয়।
তবে আজ পর্যন্ত সেটা কোনো পরীক্ষাতেই প্রমাণ করা সম্ভব হয়নি। এই ‘ঈশ্বর কণা’র অস্তিত্ব সত্যি সত্যিই পাওয়া গেলে মহাবিশ্বের সৃষ্টিরহস্য উদঘাটনে বিজ্ঞানীদের দীর্ঘদিনের প্রচেষ্টার পথে সেটা হবে এক বিরাট অগ্রগতি। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, এলএইচসিতে পরিচালিত দুটি পরীক্ষায় একই ভরের ‘ঈশ্বর কণা’র ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। এটা বিজ্ঞানীদের ভেতরে আশার সঞ্চার করেছে। তবে এলএইচসির কাছে এখন পর্যন্ত পর্যাপ্ত তথ্য নেই, যা দিয়ে তারা ‘ঈশ্বর কণা’র অস্তিত্ব আবিষ্কারের দাবি করতে পারে।
হিগস বোসন বা ‘ঈশ্বর কণা’র আবিষ্কার সত্যি হলে সেটা হবে, গত ষাট বছরের ইতিহাসে বিজ্ঞানীদের সবচেয়ে বড় সাফল্যের মধ্যে অন্যতম। মহাবিশ্বের সৃষ্টিরহস্য উন্মোচনে এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে আজ পর্যন্ত যতগুলো পরীক্ষা চালানো হয়েছে, তার কোনোটাতেই ‘ঈশ্বর কণা’র অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়নি।
মহাবিশ্বের সৃষ্টির মূলে যে কণা রয়েছে, সেটি একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্যের নিরুদ্দিষ্ট উপাদান, যেটা নির্দিষ্ট করে বলতে পারে, কীভাবে কণা ও শক্তি একে অপরের ওপর প্রভাব বিস্তার করে থাকে।
এলএইচসিতে পরিচালিত দুটি দুটি এটলাস ও সিএমএস নামে পরীক্ষায় স্বতন্ত্রভাবে ‘ঈশ্বর কণা’র অস্তিত্ব খোঁজা হচ্ছে। আজ মঙ্গলবার সুইজারল্যান্ডের সার্ন গবেষণাগারে আয়োজিত এক সেমিনারে এটলাস ও সিএমএসের দুই প্রধান তাঁদের পরীক্ষায় যেসব বিষয় ধরা পড়েছে, সেগুলো উপস্থাপন করেন। তবে তাঁরা বলেন, এ বিষয়ে আরও সুনির্দিষ্ট তথ্য উদঘাটন করতে হবে। বিবিসি অনলাইন।

No comments

Powered by Blogger.