সমঝোতায় পেঁৗছতে পারাটাই ডারবান সম্মেলনের সাফল্য-সাক্ষাৎকার by ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ

সাক্ষাৎকার গ্রহণ : শেখ রোকন সমকাল : কোপেনহেগেন ও কানকুনে আমরা দেখেছি, জলবায়ু বিষয়ক শীর্ষ সম্মেলনের আগে বিপুল প্রত্যাশা তৈরি হয়; কিন্তু সম্মেলন শেষ হয় হতাশার মধ্য দিয়ে। ডারবান সম্মেলন কি প্রত্যাশা পূরণ করতে পেরেছে? কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ :সবার প্রত্যাশা যে পূরণ হয়েছে, তা নয়। খুঁটিনাটি বিষয়ে সব পক্ষ ছাড় দিয়েছে। ফলে মূল বিষয়গুলো ঠিক রেখে একটি সমঝোতায় পেঁৗছা সম্ভব হয়েছে।


সমঝোতায় যে পেঁৗছা সম্ভব হয়েছে, সেটাই একটি বড় সাফল্য। শেষ দিনেও মনে হচ্ছিল ডারবান সম্মেলন ব্যর্থ হয়ে যাচ্ছে। অনেকে ডারবান ছেড়ে চলেও গিয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত সবার চেষ্টায় সফলই হয়েছে।
সমকাল : আগের দুটি সম্মেলনের সঙ্গে তুলনা করলে এবারের সাফল্য কতটা বেশি বলে আপনি মনে করেন?
কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ :আগের দুটির সঙ্গে এটিকে বোধহয় তুলনা করা ঠিক হবে না। প্রকৃতপক্ষে কোনো সম্মেলনের সঙ্গেই কোনোটি তুলনীয় নয়। কোপেনহেগেনের বিষয় ছিল জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় বিশ্ব সম্প্রদায় কী করবে। কানকুনে বেশি জোর দেওয়া হয়েছিল তহবিল সংক্রান্ত বিষয়ে। ডারবানে সবাই জোর দিয়েছে কিয়োটো প্রটোকলের ভবিষ্যতের ওপর। কারণ, ২০১২ হচ্ছে এর শেষ বছর।
সমকাল : কিয়োটো প্রটোকল তাহলে শেষ পর্যন্ত টিকে গেল? জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবেলার বিষয়ে আইনগত দিক থেকে আমরা আসলে কতটা অগ্রসর হলাম?
কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ :আপনি জানেন, কিয়োটো প্রটোকল হচ্ছে এনেক্স ওয়ান দেশ বা উন্নত বিশ্বের জন্য গ্রিনহাউস গ্যাস উদ্গিরণ সংক্রান্ত আইনগত দিক থেকে বাধ্যতামূলক চুক্তি। ২০১২ সালের মধ্যে এর কার্যকারিতা শেষ হয়ে যাবে। খুশির কথা হচ্ছে, ডারবানে এই চুক্তির মেয়াদ বৃদ্ধি সম্ভব হয়েছে। এটি হবে দ্বিতীয় বাস্তবায়ন কাল বা 'সেকেন্ড কমিটমেন্ট পিরিয়ড'। এর মেয়াদ ২০১৩ থেকে ২০১৫ সাল।
তবে এই দলিলের প্রভাব যে কমে গেছে, সেটাও বলতে হবে। যুক্তরাষ্ট্র আগে থেকেই কিয়োটো প্রটোকল অনুসমর্থন করেনি। এবার তার সঙ্গে আরও কয়েকটি দেশ_ কানাডা, রাশিয়া, জাপান বাইরে থেকে গেছে। অবশ্য কার্যকারিতা কমে গেলেও কিয়োটো প্রটোকলের দ্বিতীয় মেয়াদে যে টিকে থাকল, সেটাই হচ্ছে আশার কথা। এখন পর্যন্ত এটিই হচ্ছে আইনগত দিক থেকে বাধ্যতামূলক একমাত্র প্রটোকল। এর ওপর ভিত্তি করে ভবিষ্যতের দিকে এগোনো সহজ হবে।
সমকাল : ডারবানে আর কী বিষয় অর্জিত হয়েছে?
কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ : ডারবানে দ্বিতীয় অর্জন হচ্ছে গ্রিনহাউস গ্যাস উদ্গিরণ কমানোর ক্ষেত্রে রোডম্যাপের ব্যাপারে ঐকমত্য। ২০১৫ সালের মধ্যে একটি দলিল চূড়ান্ত হবে, যাতে বিশ্বের সব দেশই থাকবে। ২০২০ সাল থেকে সেটা কার্যকর হবে। তবে এটা কিয়োটো প্রটোকলের মতো 'লিগ্যালি বাইন্ডিং' হবে না, 'লিগ্যাল ফোর্স' থাকবে। সব পক্ষই নতুন চুক্তিটির ব্যাপারে একমত হয়েছে। কে কোন মাত্রায় গ্রিনহাউস গ্যাস উদ্গিরণ কমাবে, আগামী এক বছরের মধ্যে তা ঠিক করা হবে।
সমকাল : ২০১৫ সালের মধ্যে কি সবাইকে নিয়ে নতুন চুক্তি করা বাস্তবে সম্ভব হবে?
কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ : সবাই যেহেতু একমত হয়েছে, ধরে নিচ্ছি সম্ভব। সব জটিলতা কাটিয়ে চুক্তিকে পেঁৗছা কঠিন; কিন্তু অসম্ভব নয়। আর জলবায়ু পরিবর্তন যে ঘটছে, সেটা তো সবাই দেখছে এবং সব দেশই কোনো না কোনোভাবে এফেকটেড হবে। এই পরিবর্তন যেহেতু সবাইকে স্পর্শ করবে; কারও বসে থাকার অবকাশ নেই। আমার অবশ্য মত হচ্ছে, ২০২০ সাল থেকে কার্যকর হওয়ার বিষয়টি একটু দেরি হয়ে যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই যথেষ্ট দেরি হয়ে গেছে। এখন যে গতিতে ভূপৃষ্ঠের তাপমাত্রা বাড়ছে, তাতে করে এই শতাব্দীর শেষ নাগাদ সাড়ে তিন ডিগ্রি সেলসিয়াসে পেঁৗছে যাবে। যদি এর মধ্যে কার্যকর ব্যবস্থা আমরা না নেই। অথচ লক্ষ্য হচ্ছে, এই শতাব্দীর শেষ নাগাদ তাপমাত্রা দুই ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা। ২০২০ সালে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া শুরু হলে লক্ষ্য পূরণ করা সম্ভব হবে কি-না, আমার সন্দেহ রয়েছে।
সমকাল : জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবেলায় প্রয়োজন বিপুল অর্থ। এ নিয়ে গত তিন বছর অনেক কথা হয়েছে। ডারবানে সেই তহবিলের ব্যাপারে কতটা অগ্রগতি হয়েছে?
কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ : কোপেনহেগেনে তহবিল সংক্রান্ত আলোচনা শুরু। সেখানে বলা হয়েছিল, ২০১০-১২ সালে ৩০ বিলিয়ন ডলারের ফার্স্ট স্টার্ট ফান্ড হবে। সেটার আড়াই বিলিয়ন ডলার ইতিমধ্যেই ছাড় হয়েছে। বাকি অর্থও দ্রুত ছাড় হবে। ডারবানে বিশেষ করে আলোচনা হয়েছে গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ড নিয়ে। এটি কানকুনে চূড়ান্ত হয়েছিল। বলা হয়েছিল, ২০১৩ থেকে ২০২০ সালে গিয়ে বছরে ১০০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হবে। ডারবানে আলোচনায় গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ড ট্রানজিশনাল কমিটি গঠিত হয়েছে। গভর্নেন্স ইনস্ট্রুমেন্ট হয়েছে। কমিটির ৫০ শতাংশ উন্নত বিশ্ব এবং ৫০ শতাংশ উন্নয়নশীল বিশ্ব থেকে প্রতিনিধিত্ব করবে। এর সেক্রেটারিয়েট হিসেবে হোস্ট কান্ট্রি বা ইনস্টিটিউশন কে হবে, সে ব্যাপারে ওপেন বিডিং হবে।
সমকাল :প্রযুক্তি হস্তান্তরের বিষয়টি কত দূর অগ্রসর হয়েছে?
কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ :এবারের সম্মেলনে টেকনোলজি ট্রান্সফার বিষয়ক কমিটি, মেকানিজম হয়েছে। এখানেও সেক্রেটারিয়েটের জন্য একটি হোস্ট ঠিক করা হবে। সেক্রেটারিয়েটকে ঘিরে নেটওয়ার্ক গঠিত হবে। সেক্রেটারিয়েটের কাজ হবে প্রযুক্তি হস্তান্তরের ক্ষেত্রে উৎস ও চাহিদার মধ্যে সমন্বয় করা। এর পলিসি কমিটি ঠিক করে দেবে। অর্থের প্রশ্নটি এখানেও গুরুত্বপূর্ণ। আগামী বছরের মধ্যে তা ঠিক করতে হবে।
সমকাল :আর কী কী উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে ডারবানে?
কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ :সে ক্ষেত্রে প্রথমেই বলতে হবে এডাপ্টেশনের কথা। কানকুনে এডাপ্টেশন ফ্রেমওয়ার্ক হয়েছিল, ডারবানে সেটার গ্গ্নোবাল কমিটি হয়েছে। ১৬ জনের কোঅর্ডিনেশন কমিটিতে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে একজন এবং ক্ষুদ্র উন্নয়নশীল দ্বীপরাষ্ট্র থেকে একজন প্রতিনিধি থাকবে। উন্নয়নশীল দেশগুলো ন্যাশনাল এডাপ্টেশন প্লান করবে।
সমকাল :বাংলাদেশ তো ইতিমধ্যে নাপা (ন্যাশনাল এডাপ্টেশন প্রোগ্রাম অব অ্যাকশন) এবং ক্লাইমেট চেঞ্জ স্ট্র্যাটেজি অ্যান্ড অ্যাকশন প্লান করেছে।
কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ : এখন এডাপ্টেশন প্লান করতে হবে। এটা করতে গিয়ে আবার যেন নাপা বা ক্লাইমেট চেঞ্জ স্ট্র্যাটেজি অ্যান্ড অ্যাকশন প্লান ব্যাহত না হয়, সেদিকে নজর রাখতে হবে। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ডারবানে ক্লাইমেট চেঞ্জ লস অ্যান্ড ড্যামেজের বিষয়টি বিশেষভাবে তুলে ধরা হয়েছে। ডারবানে সবাই একমত হয়েছে যে, এই দুর্যোগের কারণে যারা সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, তাদের প্রতি বিশেষ নজর দেওয়া হবে।
সমকাল :ডারবান সম্মেলনে বাংলাদেশ কেমন ভূমিকা রেখেছে?
কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ :আমি মনে করি, ডারবান জলবায়ু সম্মেলনে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল খুবই কার্যকর এবং দৃশ্যমান ভূমিকা রেখেছে। টিমের সব সদস্যের দায়িত্ব নির্ধারণ করা ছিল। তারা সেটা পালনে সচেষ্ট ছিলেন এবং সাফল্যের সঙ্গে সম্পন্ন করেছেন। বাংলাদেশ সেখানে দু'ভাবে তৎপর ছিল_ কারিগরিভাবে এবং রাজনৈতিকভাবে। রাজনৈতিক পর্যায়ে আমাদের পরিবেশ ও বনমন্ত্রী যথেষ্ট দক্ষতার সঙ্গে কাজ করেছেন। তিনি সম্ভাব্য সব দেশের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বসেছেন, স্বল্পোন্নত, অতিদরিদ্র, উন্নত দেশগুলোর সঙ্গে বৈঠক করেছেন, কাজ করেছেন। বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের পক্ষে ডারবান সম্মেলনের সাইডলাইনে দুটি সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। সম্মেলন শুরুর কয়েক দিন আগে ঢাকায় অনুষ্ঠিত সিভিএফ (ক্লাইমেট চেঞ্জ ভালনারেবল ফোরাম) সম্মেলনের সুপারিশ সেখানে তুলে ধরেছে। কারণ বাংলাদেশ এখন এর প্রধান। লস অ্যান্ড ড্যামেজ ইস্যুতে যে বাংলাদেশ জোরালো ভূমিকা রেখেছে, তা তো আগেই বলেছি।
সমকাল :আমরা জানি, জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুতে বাংলাদেশ তো আগে থেকেই কাজ করছে। ডারবান সম্মেলনে যেসব সিদ্ধান্ত হয়েছে, তার প্রভাব বিদ্যমান কর্মসূচিতে কতটা পড়বে।
কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ : আমার মনে হয় না, নাটকীয় কোনো পরিবর্তনের সুযোগ রয়েছে। ন্যাশনাল এডাপ্টেশন প্লান করতে হবে, সেটা আগেই বলেছি। ক্যাপাসিটি বিল্ডিংয়ের কাজ করে যেতে হবে। আর ডারবার সম্মেলনের সিদ্ধান্তগুলো নিয়ে বাংলাদেশকে কাজ করতে হবে মূলত আন্তর্জাতিক পর্যায়ে। গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ডে আমাদের মতো দেশগুলোর স্বার্থ যাতে রক্ষা হয়, তা নিয়ে সোচ্চার থাকতে হবে। সিভিএফ চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্বও এখন আগের চেয়ে বেড়ে গেছে।
সমকাল :জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত বৈশ্বিক সম্মেলনগুলোতে আমরা দেখি ভারত, চীন, দক্ষিণ আফ্রিকা বা ব্রাজিলের মতো দেশগুলো এক জোট হয়ে তাদের স্বার্থে কথা বলে থাকে। বাংলাদেশের জোট হচ্ছে এলডিসি বা সিভিএফের মতো জোটের সঙ্গে। আবার দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুতে এক সঙ্গে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করছে। এটা কীভাবে সম্ভব?
কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ : হ্যাঁ, ডারবান সম্মেলনের আগে থিম্পুতে দক্ষিণ এশীয় দেশগুলোর সম্মেলন হয়েছে। এর আগে হয়েছে জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে ঢাকা ঘোষণা, ভুটান ডিক্লারেশন অন ক্লাইমেট চেঞ্জ, থিম্পু স্টেটমেন্ট_ সবখানেই বলা হয়েছে যে যেখানে যেখানে সম্ভব আমরা একসঙ্গে কাজ করব। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবেলায় পানি ব্যবস্থাপনা, খাদ্য নিরাপত্তা, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ, জ্বালানি ব্যবস্থাপনা খাতে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো একত্রে কাজ করবে। এগুলো নিঃসন্দেহে দূরদর্শী রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। কিন্তু আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে তা আটকে যাচ্ছে।
সমকাল : কিন্তু জলবায়ু বিষয়ক কোপ বা কনফারেন্স অব পার্টিতে কীভাবে একত্রে কাজ করা সম্ভব? দুই দেশ তো দুই জোটে থাকে।
কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ : কিয়োটো প্রটোকল, গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ড প্রভৃতি ইস্যুতে উন্নত বিশ্বের সঙ্গে চীন কিংবা ভারতের যে দ্বিমত, তাতে বাংলাদেশ কোনো পার্টি নয়। চীন ও ভারতের মতো দেশগুলো বলছে, গ্রিনহাউস গ্যাস উদ্গিরণ নিয়ন্ত্রণে তাদের এখনই উন্নত বিশ্বের মতো চাপ দেওয়া যাবে না। কারণ, তাদের দেশে দরিদ্র মানুষের সংখ্যা বেশি। এখনই গ্রিনহাউস গ্যাস কমাতে গেলে প্রবৃদ্ধি কমে যাবে। তারা উন্নত বিশ্ব থেকে আরও পিছিয়ে পড়বে।
সমকাল :আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তহবিল গঠন ও বিতরণের বিষয়টি যদিও এখনও কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে নয়, আমরা জানি, অভ্যন্তরীণ তহবিল গঠনে বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে রয়েছে। আবার এই তহবিল বিতরণ ও ব্যবস্থাপনা নিয়ে কিছু প্রশ্নও উঠেছে।
কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ :আমার মনে হয় না এখানে বিতর্কের অবকাশ রয়েছে। ফাস্ট স্টার্ট ফান্ড বা বিসিসিআরএফ (বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ রেজিলিয়েন্স ফান্ড) থেকে বাংলাদেশ ইতিমধ্যে যে ১২৫ মিলিয়ন ডলার পেয়েছে, তা আন্তর্জাতিকভাবে নজরদারির মধ্যে রয়েছে। বিশ্বব্যাংক, দাতা সংস্থা, নাগরিক সমাজ তাতে নজরদারি করছে। ওই অর্থে ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র তৈরির মতো কিছু প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে। আবার অভ্যন্তরীণ যে ট্রাস্ট ফান্ড সেটা নিয়েও বিতর্কের সুযোগ নেই। এর অধীনে এ পর্যন্ত যেসব প্রকল্প নেওয়া হয়েছে, তার সবই সরকারি পর্যায়ে। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের অধীনে। কিছু অর্থ দিয়ে এনজিওদের মাধ্যমে প্রকল্প বাস্তবায়নের নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। প্রকল্প বাছাই করা হয়েছে। এখন সেগুলো বাস্তবায়নকারী এনজিও ঠিক আছে কি-না খতিয়ে দেখা হবে। আমি মনে করি, সবকিছুই নিয়মমাফিক ও স্বচ্ছতার সঙ্গে পরিচালিত হচ্ছে।
সমকাল :আমাদের সময় দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।
কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ : সমকালের জন্য শুভেচ্ছা।

No comments

Powered by Blogger.