নতুন বাজার সম্প্রসারণের সম্ভাবনা

ফতানিমুখী তৈরি পোশাকের নতুন বাজার সম্প্রসারণে সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে। পেরুসহ লাতিন আমেরিকার অনেক দেশে শুল্কমুক্ত রফতানি সুবিধার সম্ভাবনাও তৈরি হয়েছে। তৈরি পোশাক খাতের সবচেয়ে বড় প্রদর্শনী বাংলাদেশ অ্যাপারেল অ্যান্ড টেক্সটাইল এক্সপোজিশন (বাটেক্সপো-২০১১) থেকে এবারের প্রাপ্তিবিষয়ক এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানিয়েছে বিজিএমইএ। এবারের বাটেক্সপো থেকে বাংলাদেশি তৈরি পোশাক ফেব্রিক্স এক্সেসরিজ নিয়ে


বিদেশি ক্রেতাদের পক্ষ থেকে ব্যাপক আগ্রহ লক্ষ্য করা গেছে বলে দাবি করা হয়েছে সংগঠনের পক্ষ থেকে। এসব আগ্রহ বিবেচনায় বছরে দু'বার বাটেক্সপো আয়োজন করা হবে বলে জানিয়েছেন সংগঠনের নেতারা। এ ছাড়া পরিসরের অভাবে কাঙ্ক্ষিত মানে বাটেক্সপো আয়োজন করা যাচ্ছে না জানিয়ে বিজিএমইএ বলেছে, আগামীতে আরও বড় স্পটে প্রদর্শনী আয়োজনে সরকার এবং বিরোধী দলের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছেন তারা।
রাজধানীর বিজিএমইএ কার্যালয়ে গতকাল মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সভাপতি সফিউল ইসলাম মহিউদ্দীন, সহ-সভাপতি সিদ্দীকুর রহমান, আবদুল মান্নান কচি, বাটেক্সপোর এবারের আয়োজনের সমন্বয়কারী সৈয়দ নুরুল ইসলামসহ সংগঠনের পরিচালকরা।
তথ্য দিয়ে সফিউল ইসলাম মহিউদ্দীন বলেন, গত বাটেক্সপোর তুলনায় এবার স্পট রফতানি আদেশ বেড়েছে ১৩ লাখ ডলারের কিছু বেশি। গত বছর রফতানি আদেশ ছিল ৬ কোটি ৫০ লাখ ডলার। এবারের পরিমাণ ৬ কোটি ৬৩ লাখ ডলার। এর মধ্যে স্টক লট অর্ডারের পরিমাণ ছিল ১০ লাখ ৫৮ হাজার ডলার। এ হারকে আশানুরূপ নয় মন্তব্য করে মহিউদ্দীন তৈরি পোশাক খাতে সবচেয়ে বড় বাজার ইউরোপ-আমেরিকায় ঋণ বিতর্ক এবং মন্দার আশঙ্কাকে কারণ হিসেবে মনে করেন। তবে বিশ্ববাজারে দেশের তৈরি পোশাকের চাহিদা বেড়েছে বলেও জানান তিনি। সরকারি সমর্থন পেলে এ খাত থেকে তিন বছরে ৩০ বিলিয়ন ডলার আয় সম্ভব বলে জানান তিনি।
প্রদর্শনী চলাকালে পোশাক খাতের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের নিয়ে সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। দক্ষতার সংকট, ইমেজ সংকট, কমপ্লায়েন্স বিষয়ে বিভিন্ন দিক নির্দেশনা উঠে এসেছে এসব সেমিনার থেকে। এ ছাড়া এ খাতে বিশ্বের ১ নম্বর রফতানিকারক দেশ হতে পারার সম্ভাবনার কথাও বলা হয়েছে সেমিনারে।
৩ দিনের এবারের ২২তম পোশাক প্রদর্শনীতে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, ব্রাজিল, কলম্বিয়া, পেরু, জার্মানি, অস্ট্রেলিয়া, স্পেন, রাশিয়া, পোল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, তুরস্ক, ডেনমার্ক, সুইডেন, ইতালি, ফ্রান্স, জাপান, হংকং, ভারত, গ্রিস, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ আফ্রিকা, পর্তুগাল, কোরিয়া, আরব আমিরাত, মিসর, মালয়েশিয়া, শ্রীলঙ্কা, জর্দান, উরুগুয়ে এবং অন্যান্য দেশের ১৭৫ জন ক্রেতা এবং ৩ হাজারের বেশি ক্রেতা প্রতিনিধিসহ প্রায় ১৬ হাজার দর্শনার্থী প্রদর্শনীতে আসেন। বিশেষভাবে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন লাতিন আমেরিকা, জাপান, ভারতসহ বিভিন্ন দেশের ক্রেতারা।

No comments

Powered by Blogger.