ঢাকা টেস্টে বদলের আভাস

কোনো বদ্যি ডেকেও কাজ হচ্ছে না। পথ্য বেটে খাইয়েও ফল মিলছে না। ডিসেম্বরে পাকিস্তান সিরিজটা এখন গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে টিম ম্যানেজমেন্টের কাছে। এত কাঁচা একটি দল নিয়ে আর যাই হোক পাকিস্তানের মতো পরিণত দলের বিপক্ষে লড়াই করা যায় না। টি২০ থেকে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ হয়ে চট্টলা টেস্ট_ প্রতিটি ম্যাচেই মুশফিকদের পারফরম্যান্স দিনকে দিন তলানিতে ঠেকছে। ওয়ানডে স্কোয়াডের পাঁচ ক্রিকেটার বদলে টেস্টে নেমেও


কাজ হয়নি। জরুরি অবস্থা জারি করে আশরাফুলকে টেস্টে ফিরিয়েও ব্যর্থতার বৃত্ত থেকে বেরোতে পারেনি দল। যিনি প্রথম ইনিংসে ১ করার পর দ্বিতীয় ইনিংসে শূন্য করে দলে আসা নতুনদের কাছ থেকেও সহানুভূতি পেয়েছেন। ১৭ ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া দ্বিতীয় টেস্টে তার থাকা না থাকাটা ঝুলছে টিম ম্যানেজমেন্টের ম্যানেজের ওপর। তবে পরে কথা উঠতে পারে তাই এই সিরিজের শেষ ম্যাচটিও আশরাফুলের জন্য শেষ সুযোগ হয়ে ধরা দিতে পারে।
টপ অর্ডারের আরেক অভিজ্ঞজন শাহরিয়ার নাফীসকে নিয়েও রীতিমতো ধন্দে আছে দল। শুরুটা ভালো করেও সুইপের মতো আত্মঘাতী শট খেলে উইকেট বিসর্জন দিচ্ছেন। চট্টলা টেস্টে ০ আর ২৮ রান নিয়ে ঢাকা টেস্টের নিশ্চয়তা পাচ্ছেন না। এরই মধ্যে ঢাকায় ফিজিওথেরাপি নিয়ে অনেকটাই ফিট হয়ে গেছেন ইমরুল কায়েস। টিম ম্যানেজমেন্টের আভাস, ঢাকা টেস্টে ইমরুলকে ওপেন করতে দেখা যেতে পারে তামিমের সঙ্গে। আশরাফুলের জায়গাতেও ১৪ জনের স্কোয়াডের বাইরে থেকে কাউকে আনার কথা উঠেছে। কিন্তু এখনো এ ব্যাপারে চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত পেঁৗছতে পারেননি নির্বাচক প্রধান আকরাম খান। 'কাল ( আজ ) আমরা এ ব্যাপারটি নিয়ে বসব। প্র্যাকটিসের পর কোচ এবং অধিনায়ক কী বলে সেটাও গুরুত্ব দেওয়া হবে। তখনই বলা যাবে স্কোয়াডের বাইরে থেকে কাউকে ডাকা হবে কি-না।'
ব্যাটিং অর্ডারের মতোই বোলিংয়েও পরিবর্তন আসছে দলে। গতকালই রুবেল হোসেনের কাঁধে স্ক্যান করা হয়েছে। আজ তার রিপোর্ট পাওয়া যাবে। তবে বিসিবির চিকিৎসক দেবাশিষ চৌধুরী মনে করছেন, এ মুহূর্তে রুবেল বোলিং করার মতো অবস্থায় নেই। যার অর্থ, ঢাকা টেস্টে রুবেলের পরিবর্তে বোলিং করতে নামবেন রবিউল ইসলাম শিবলু। তবে শাহাদাতও এ টেস্ট খেলার গ্যারান্টি পাচ্ছেন না। চট্টগ্রাম টেস্টে শাহাদাতের লাইন এবং লেংথ দেখে মোটেও খুশি হননি কোচ স্টুয়ার্ট ল। ঢাকা টেস্টে তার বদলে নাজমুলকে দেখা গেলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।
অভিষেকেই বাজিমাত করা নাজিমউদ্দিন, নাসির কিংবা সানি একটা ব্যাপারে কোচের নজর কেড়েছেন। নতুনদের মধ্যে আত্মবিশ্বাসটা প্রচণ্ড জোরালো। কারণ তাদের খারাপ সময়ের মুখোমুখি হতে হয়নি। সেখানে সিনিয়রদের মনে পাকিস্তান সিরিজ ঘিরে একটা মনস্তাত্তি্বক বাধা দেখা দিয়েছে।' কোচের নতুনদের তত্ত্ব মেনে নিলে হয়তো 'এ' দলের বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যান মমিনুল হক সৌরভকে ডাকা হতে পারে। তবে ২১ বছর বয়সী মমিনুল মাত্র ১৪টি প্রথম শ্রেণীর ম্যাচ খেলেছেন। কেউ কেউ জাতীয় লীগের পারফরমারদের মধ্যে থেকেই কাউকে ঢাকা টেস্টে বেছে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। এ মুহূর্তে জাতীয় লীগে সবচেয়ে বেশি রান করা ব্যাটসম্যানের নাম আসিফ আহমেদ। ৮ ম্যাচে ৬১৩ রান করেছেন তিনি। এর পরই দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান ধীমান ঘোষের, ৭ ম্যাচে ৫৭১। সদ্যই বগুড়ার মাঠে চট্টগ্রামের বিপক্ষে রংপুরের হয়ে চট্টগ্রামের বিপক্ষে ১৮৩ রানের লম্বা ইনিংস খেলেছেন ৫ নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে।

No comments

Powered by Blogger.