রাজশাহীতে প্রতিমা বিসর্জন যাত্রায় হামলা আহত ১০, আটক ৩

রাজশাহীতে প্রতিমা বিসর্জন দিতে যাওয়ার সময় দুর্বৃত্তদের ধারাল অস্ত্রের আঘাতে অন্তত ১০ যুবক আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে আটজনকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তারা হলো_নগরীর কুমারপাড়ার সুজয় (১৮), বিশ্বজিৎ (১৫), অশুতোষ কুমার ঘোষ (২৫), নিলয় ঘোষ (১৮), অমিতুল কুমার (১৯), উত্তম কুমার (২১), অমল ঘোষ (২০) ও শান্ত কুমার (১৮)। তাদের মধ্যে কুমারপাড়া এলাকার সত্যন দাসের ছেলে আশুতোষ ও বিশ্বজিতের অবস্থা আশঙ্কজনক।

আশুতোষের পেটের নিচে ও বিশ্বজিতের পেটে ধারাল ব্লেডের আঘাতে মারাত্মক জখমের সৃষ্টি হয়েছে। শত্রুতার জের ধরে গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে নগরীর ঘোড়ামারা মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে। হামলায় জড়িত সন্দেহ বোয়ালিয়া মডেল থানা পুলিশ রাতেই অভিযান চালিয়ে তিনজনকে আটক করেছে। তারা হলো_নগরীর আলুপট্টি মোড় এলাকার বিধান শর্মা (৩৫), সাগরপাড়া এলাকার তূর্য (২৮) ও উজ্জ্বল (৩০)।
বোয়ালিয়া থানার ওসি শাহাদাত হোসেন জানান, শত্রুতার জের ধরে ঘটনাটি ঘটেছে। তবে শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত এ নিয়ে কোনো অভিযোগ না পাওয়ায় থানায় কোনো মামলা দায়ের হয়নি।
হাসপাতাল, পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র মতে, গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে রাজশাহী নগরীর কুমারপাড়া পদ্মা সার্বজনীন পূজামণ্ডপ থেকে পদ্ম নদীতে প্রতিমা বির্সজন দিতে প্রতিমা নিয়ে যাচ্ছিল কয়েক শ হিন্দু সমপ্রদায়ের লোকজন। এ সময় পেছন থেকে কয়েকজন দুর্বৃত্ত শোভাযাত্রায় অংশ নেওয়া আশুতোষ নামের এক যুবককে ধরে ধারাল চাকু ও ব্লেড দিয়ে আঘাত করতে থাকে। বিষয়টি টের পেয়ে আশুতোষের বন্ধুরা তাকে উদ্ধার করতে গেলে দুর্বৃত্তরা তাদেরকেও ধারাল চাকু ও ব্লেড দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করে। পরে শোভাযাত্রায় অংশ নেওয়া লোকজন ছুটে এলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। পরে চাকু ও ব্লেডের আঘাতে আহত আটজনকে রামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাদের মধ্যে ছয়জন চিকিৎসা শেষে গতকাল শুক্রবার সকালে রামেক হাসপাতাল ছেড়ে বাড়ি চলে গেছে। আহত দুই ভাই আশুতোষ ও বিশ্বনাথ হাসপাতালের ৫ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে ওয়ার্ডের একজন ইন্টার্নি ডাক্তার নাম প্রকাশ না করার শর্তে কালের কণ্ঠকে জানিয়েছেন।
আশুতোষ ও বিশ্বজিতের মা দেবী রানী ঘোষ জানান, ওই ঘটনার পর থেকেই তাঁর দুই ছেলে গতকাল শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত কোনো কথা বলতে পারছিল না। ফলে কেন ঘটনাটি ঘটেছে তা তিনি জানতে পারেননি।

No comments

Powered by Blogger.