ইট-বালুর ট্রাক আর পিপার স্প্রে দিয়ে গণতন্ত্র রক্ষা করা যায় না by মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার

বাংলাদেশে সাড়ম্বরে দশম সংসদ নির্বাচনের বর্ষপূর্তি উদ্যাপিত হল। সরকারি দল এ দিবসটিকে গণতন্ত্র রক্ষা দিবস এবং সংসদের বাইরের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি একে গণতন্ত্র হত্যা দিবস হিসেবে উদ্যাপন করল। বিএনপি দশম সংসদ নির্বাচনের পর গত এক বছরে যেসব সভা-সমাবেশ করেছে, সেগুলোতে তেমন কোনো সন্ত্রাস-সহিংসতা হয়নি। অথচ সন্ত্রাস-সহিংসতার অজুহাতে বিএনপিকে ৫ জানুয়ারি রাজধানীতে দলটির পূর্বঘোষিত কালো পতাকা মিছিল এবং সমাবেশ করতে অনুমতি দেয়া হল না। প্রশ্ন হল, বিএনপি যদি ৫ জানুয়ারি রাজধানীতে একটি সমাবেশ করে সরকারের সমালোচনা করত, তাহলে কি সরকারের পতন হয়ে যেত? না, নিঃসন্দেহে তা হতো না। তাহলে বিএনপিকে এর রাজনৈতিক কর্মসূচি করতে দেয়া হল না কেন? বিএনপিকে রাজধানীতে সমাবেশ করার অনুমতি দিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীরা যাতে সন্ত্রাস-সহিংসতা করতে না পারে সেজন্য সরকার তাদের ওপর কড়া নজরদারি রাখতে পারত। কিন্তু সরকার তা করেনি। পরিবর্তে সন্ত্রাস-সহিংসতার অজুহাতে তাদের সমাবেশ করার অনুমতি দেয়া হয়নি। দলটির নেতাকর্মীদের রাস্তায় নামতে বা মিছিল করতে দেয়া হয়নি। বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় অবরুদ্ধ করে সেখানে নেতাকর্মীদের প্রবেশ করতে বাধা দেয়া হয়েছে। বিএনপির চেয়ারপারসনকে দলীয় গুলশান কার্যালয়ে তালা লাগিয়ে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। তাকে কালো পতাকা নিয়ে রাস্তায় বের হতে দেয়া হয়নি। তার সঙ্গে নেতাকর্মীদের দেখা-সাক্ষাৎ করতে দেয়া হয়নি। হাঁটুর ব্যথায় কাতর খালেদা জিয়ার মতো একজন বয়স্ক নেতাকে আটকে রাখার জন্য ইট-বালু ভর্তি ১১টি ট্রাক, একাধিক পুলিশের পিকআপ এবং জলকামান ব্যবহার করা হয়েছে। মোতায়েন করা হয়েছে পোশাকধারী বাহিনীর অসংখ্য সদস্য। শুধু তাই নয়, ৫ জানুয়ারি বিকালে সরকারি বাধায় বাড়ির বাইরে যেতে না পেরে যখন তিনি দলীয় কার্যালয়ের অভ্যন্তরেই সাংবাদিকদের সঙ্গে আন্দোলন কর্মসূচি সম্পর্কে কথা বলছিলেন, তখন পিপার স্প্রে করা হয়েছে। এতে খালেদা জিয়াসহ বেশকিছুসংখ্যক নারী নেতাকর্মী আহত হন, যাদের পরবর্তী সময়ে চিকিৎসা দেয়া হয়। ৫ জানুয়ারির পরও খালেদা জিয়াকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। এমনকি ৭ জানুয়ারি অবরুদ্ধ থাকার কারণে তিনি হাইকোর্টে মামলায় হাজিরা দিতে যেতে পারেননি।
বিএনপিকে ৫ জানুয়ারি রাজধানীতে সমাবেশ করতে দিলে কী হতো? ওই সমাবেশে বিএনপি নেতাকর্মী এবং দলীয় চেয়ারপারসন বক্তব্য রাখতেন। অনেক মানুষ সমাবেশে যোগদান করত। বিএনপি নেতারা তাদের বক্তব্যে ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দশম সংসদ নির্বাচনের সমালোচনা করতেন। বিরোধী দলের প্রতি সরকারের নিপীড়নমূলক ভূমিকার সমালোচনা করতেন। সরকারের মামলা, হামলা, দুর্নীতি বৃদ্ধি এবং দ্রুত আরেকটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দিতে গড়িমসির সমালোচনা করতেন। বিএনপির চেয়ারপারসন হয়তো এসব সমালোচনার সঙ্গে সঙ্গে সরকারকে দ্রুত সংসদ নির্বাচন দিতে আহ্বান জানাতেন। তিনি হয়তো ৩১ ডিসেম্বর নির্বাচনী স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রেস কনফারেন্স করে তার দেয়া সাত দফা প্রস্তাবের আলোকে দ্রুত সংলাপে বসে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচনকালীন সরকারব্যবস্থা উদ্ভাবনের জন্য বলতেন। বিএনপিকে এসব কাজ করতে দিলে মহাভারত অশুদ্ধ হয়ে যেত না। সরকারের পতন হয়ে যেত না। অথচ সরকার সে পথে না গিয়ে বিএনপির প্রতি দমন-পীড়নমূলক ভূমিকা পালন করল। দলীয় চেয়ারপারসনের ওপর নিষ্ঠুর ভূমিকা নিয়ে তার প্রতি সাধারণ মানুষের সমর্থন ও সহানুভূতি বাড়িয়ে দেয়া হল। রাজনীতির মারপ্যাঁচ না বোঝা সাধারণ মানুষ যখন তিনবারের প্রধানমন্ত্রী এবং একটি বড় দলের প্রধান, যিনি বয়সের ভারে ভালো করে চলাফেরা করতে পারেন না, এমন একজন নেত্রীকে অবরুদ্ধ করে রাখার জন্য ১১টি ইট-বালুর ট্রাক, অসংখ্য পুলিশ এবং জলকামান ব্যবহার করতে দেখেন, তখন স্বাভাবিকভাবেই তার প্রতি তাদের সহানুভূতি গভীর হয়।
দশম সংসদ নির্বাচন যে ভালো হয়েছে সে কথা তো সরকারি দলের মন্ত্রী-নেতারাও বলেন না। ওই নির্বাচনের প্রাক্কালে আওয়ামী লীগের অনেক নেতাই এ নির্বাচনকে নিয়ম রক্ষার নির্বাচন বা সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা রক্ষার নির্বাচন বলে অভিহিত করে ওই নির্বাচনের পর আরেকটি অংশগ্রহণমূলক সংসদ নির্বাচনের কথা বললেও এখন তারা তাদের আগের বক্তব্য থেকে সরে এসেছেন। এখন তারা সংসদীয় গণতন্ত্রের ইতিহাসে অন্যতম ব্যতিক্রমী চরিত্রধারী দশম সংসদ নির্বাচনের ওপর ভর করে পূর্ণ মেয়াদে ক্ষমতায় থাকতে চাইছেন। কারণ, সরকার নিজ জনপ্রিয়তার মাত্রা সম্বন্ধে বুঝতে পেরেছে এবং একটি নির্দলীয়, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অংশগ্রহণমূলক সংসদ নির্বাচন হলে ওই নির্বাচনে তাদের ফলাফল কেমন হবে সে বিষয়টি সম্পর্কেও তারা ধারণা পেয়েছে। এজন্য সরকার হয়তো নতুন নির্বাচন দিতে চাইছে না। কিন্তু যে নির্বাচনে ভোট গ্রহণের আগেই ক্ষমতাসীন দল সরকার গঠনের যোগ্যতা অর্জন করে, এমন একটি নির্বাচনের ওপর ভর করে যদি কোনো দল সরকার গঠন করে ক্ষমতায় থাকতে চায় তাহলে ওই সরকার জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক মহলে গ্রহণযোগ্যতা পায় না।
মহাজোট সরকার তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করে বড় ভুল করে। উল্লেখ্য, যে কোনো নতুন ব্যবস্থা প্রবর্তন করার পর ওই ব্যবস্থার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বা ত্রুটি-বিচ্যুতি দেখা দেয়া স্বাভাবিক। প্রয়োজনীয় সংস্কারের উদ্যোগ নিয়ে ওই ভুল-ত্রুটি শোধরানো সম্ভব। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয়, ১৯৯৬ সালে সাংবিধানিক তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা প্রবর্তনের পর ওই সরকারের যেসব প্রার্শপ্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছিল সেগুলো সমাধানের জন্য আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সরকার কোনো সংস্কার উদ্যোগ গ্রহণ করেনি। ফলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা কিছু জটিলতা সৃষ্টি করেছিল। বিশেষ করে ওই সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নিয়োগে বিচার বিভাগে যেমন রাজনীতিকরণ ঘটেছিল, তেমনি উপদেষ্টা নিয়োগেও রাজনৈতিক দলগুলো প্রধান উপদেষ্টার কাছে নিজ পছন্দনীয় ব্যক্তিত্বদের তালিকা পেশ করত এবং প্রধান উপদেষ্টা ওই সব তালিকাকে আমলে নিয়ে ভুল করতেন। তাছাড়া বিচারপতি সাহাবুদ্দীন ও বিচারপতি হাবিবুর রহমান তত্ত্বাবধায়ক সরকারদ্বয় যথাক্রমে শিক্ষা সংস্কার কমিটি গঠন করে এবং হাইস্কুলের নবম ও দশম শ্রেণীতে ধর্ম বিষয় পড়ানো হবে কিনা সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত দিয়ে সংবিধানে প্রদত্ত ক্ষমতার সীমা লংঘন করেছিল। এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে নির্বাচিত আওয়ামী লীগ বা বিএনপি সরকার সংস্কার উদ্যোগ নিয়ে তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থাকে ত্রুটিমুক্ত করে তুলতে পারত। কিন্তু তারা তার পরিবর্তে রাজনৈতিক অংক করে নিজ পছন্দের বিচারপতিকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা করে এবং উপদেষ্টা হিসেবেও পছন্দের ব্যক্তিত্বদের নিয়োগ দিয়ে সংসদ নির্বাচনে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আনুকূল্য লাভের চেষ্টা করেছে। এজন্য বিএনপি ও আওয়ামী লীগ সরকারকে একইভাবে দায়ী করা যায়।
দেশের উন্নয়ন, শান্তি, সমৃদ্ধি এবং স্বচ্ছ সংসদ নির্বাচন সুনিশ্চিত করতে চাইলে দশম সংসদ নির্বাচনের বর্ষপূর্তিতে সরকারের উচিত ছিল ৩১ ডিসেম্বর খালেদা জিয়া উপস্থাপিত সাত দফাকে গুরুত্ব দিয়ে বড় দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের ঘোষণা দেয়া। সরকারের বিরুদ্ধে বিএনপি এক বছর গঠনমূলক আন্দোলন ও সভা-সমাবেশ করেছে। এক বছর পর দলটি স্বচ্ছ সংসদ নির্বাচন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে সাত দফা দাবি উত্থাপন করে সরকারকে সংলাপে আহ্বান জানিয়েছে। সরকারের উচিত ছিল ওই আহ্বানে সাড়া দিয়ে নির্বাচনী ব্যবস্থা সংস্কারের লক্ষ্যে সংলাপের উদ্যোগ গ্রহণ করা। কারণ, পঞ্চদশ সংশোধনী-উত্তর সংবিধানের অধীনে সংসদ কার্যকর রেখে, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী, এমপিদের ক্ষমতায় রেখে, নতজানু নির্বাচন কমিশনের তত্ত্বাবধানে যে ত্রুটিমুক্ত সংসদ নির্বাচন করা যাবে না, তা সবাই বুঝতে পেরেছেন। বিগত দশম সংসদ ও চতুর্থ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিষয়টি অধিকতর সুনিশ্চিত হয়েছে। দলীয় সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত এ দুটি নির্বাচনে নির্বাচন কমিশন, প্রশাসন এবং পোশাকধারী বাহিনী নিরপেক্ষতা ও পেশাদারিত্বের পরিচয় দিতে পারেনি। ফলে এ দুটি নির্বাচনে স্বচ্ছতা প্রতিষ্ঠিত করা যায়নি।
খালেদা জিয়ার সাত দফায় তেমন আপত্তিকর কিছু বলা হয়েছে কি? সাত দফায় নির্দলীয় সরকারের অধীনে সংসদ নির্বাচন দাবি করে আরপিও সংস্কারের লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের কথা বলা হয়েছে। নির্বাচনের শিডিউল ঘোষণার পর সংসদ ও মন্ত্রিসভা বিলুপ্ত করার কথা বলা হয়েছে। সুষ্ঠু নির্বাচনী পরিবেশের জন্য ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দিয়ে সেনাবাহিনী মোতায়েনের কথা বলা হয়েছে। বলা হয়েছে সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের কথা। প্রশাসন এবং আইনশৃংখলা বাহিনীর বিতর্কিত সদস্যদের প্রত্যাহার অথবা কর্তব্য পালন থেকে বিরত রাখার কথা বলা হয়েছে। এছাড়া রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তি ও বন্ধ করা সংবাদপত্র ও স্যাটেলাইট টিভি খুলে দিতে বলা হয়েছে। নির্বাচনী স্বচ্ছতা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে খালেদা জিয়ার এ সাত দফাকে তো নিরপেক্ষ বিচারে মন্দ বলা যায় না।
ভুলে গেলে হবে না, গণতন্ত্রের প্রাণভোমরা হল নির্বাচন। জনপ্রতিনিধিরা যদি স্বচ্ছ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে নির্বাচিত না হন, তাহলে যতই উন্নয়নের চেষ্টা করা হোক না কেন গণতন্ত্র প্রাতিষ্ঠানিকতা পায় না। অস্বচ্ছ নির্বাচন সরকারবিরোধী আন্দোলন সৃষ্টি করে দেশকে দীর্ঘমেয়াদি অস্থিতিশীলতায় নিমজ্জিত করে। এ অবস্থা থেকে দেশকে বের করতে হলে অংশগ্রহণমূলক ও স্বচ্ছ সংসদ নির্বাচনের ব্যবস্থা সুনিশ্চিত করা প্রয়োজন। এ লক্ষ্যে দেশের বাস্তবতায় নির্দলীয় সরকারব্যবস্থা এবং শক্তিশালী নির্বাচন কমিশনের অধীনে সংসদ নির্বাচন হওয়া বাঞ্ছনীয়। গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে হলে স্বচ্ছ নির্বাচনের পাশাপাশি শক্তিশালী বিরোধী দলের প্রয়োজন রয়েছে। বিরোধী দল না থাকলে, অথবা বিরোধী দল দুর্বল হলে সরকারের স্বৈরাচারী হয়ে ওঠার প্রবণতা বৃদ্ধি পায়। শক্তিশালী বিরোধী দল গঠনমূলক ভূমিকা পালনের মধ্য দিয়ে সরকারকে গণতান্ত্রিকভাবে দেশ পরিচালনায় বাধ্য করে। তবে সেই বিরোধী দলের চরিত্র বর্তমান বাংলাদেশের দশম সংসদের বিরোধী দলের মতো সরকারে শরিক বিচিত্র বিরোধী দল হলে হবে না। গণতন্ত্রের সফলতার জন্য সরকারি ও বিরোধী দলের মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সমঝোতার সম্পর্ক থাকা জরুরি। কিন্তু তার পরিবর্তে যদি এদের মধ্যে শত্রুতার সম্পর্ক বা পরস্পরকে সুযোগ পেলে দেখে নেব মনোভাব কাজ করে, তাহলে গণতন্ত্র অসুস্থ হয়ে পড়ে। দুঃখজনক হলেও সত্য, এখন বাংলাদেশে সরকারি ও বিরোধী দলের মধ্যে মোটেও সম্প্রীতির সম্পর্ক নেই। ফলে রাজনীতিতে অস্থিতিশীলতা এবং অস্থিরতা বৃদ্ধি পেয়েছে। অতি সম্প্রতি দশম সংসদ নির্বাচনের বর্ষপূর্তিতে সরকারি দল ও সংসদের বাইরের প্রধান বিরোধী দলের মধ্যে যে সম্পর্ক দেখা গেছে, তা গণতন্ত্রকে আরও পেছনে নিয়ে গেছে এবং গণতান্ত্রিক বিশ্বের কাছে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর ভাবমূর্তি ভূলুণ্ঠিত করেছে। সরকারের মনে রাখা দরকার, বিরোধী দলকে সুযোগ পেয়ে মামলা-হামলায় কাবু করার মধ্যে সংকটের সমাধান নেই। খালেদা জিয়ার মতো একজন বর্ষীয়ান, তিনবারের প্রধানমন্ত্রীকে বালুর ট্রাক, জলকামান আর শত শত পুলিশ দিয়ে অবরুদ্ধ করে তার ওপর পিপার স্প্রে করে সরকার বিএনপি নয়, নিজ দলেরই ক্ষতি করেছে। এতে খালেদা জিয়ার প্রতি সাধারণ মানুষের সহানুভূতি বৃদ্ধি পেয়েছে। সরকারি দলকে মনে রাখতে হবে, সমঝোতা ও সহমর্মিতার মধ্যেই গণতন্ত্রের সৌন্দর্য। যতই গণতন্ত্র রক্ষা দিবস পালন করা হোক না কেন, বিরোধী দলকে মামলা, পুলিশ, জলকামান, ইট-বালুর ট্রাক আর পিপার স্প্রে দিয়ে নাজেহাল করলে গণতন্ত্র যেমন শক্তিশালী হবে না, তেমনি বাড়বে না নিজেদের গ্রহণযোগ্যতা ও জনপ্রিয়তা।
ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার : অধ্যাপক, রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

No comments

Powered by Blogger.