আ.লীগের সমাবেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বাস by মাহবুবুল হক ভূঁইয়া

(ছবি:১-সরকারি তিতুমীর কলেজের একটি বাস ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলার সামনে। এই বাসটিতে করেই আওয়ামী লীগের সমাবেশে এসেছেন কলেজ শাখা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। বাসটি খালেদা জিয়া উপহার দিয়েছিলেন ১৯৯২ সালে। ছবি:২- শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বাস ছিল শাহবাগ থানার সামনে। এই বাসটিতে করেই আওয়ামী লীগের সমাবেশে এসেছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। বাসটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া উপহার। ছবি: প্রথম আলো) শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী আনা-নেওয়ার কাজই করা হয় ওইসব বাসে। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের সমাবেশে আজ সোমবার ওই বাসে চেপে এসেছিলেন ছাত্রলীগের কর্মীরা। এর মধ্যে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে দুটি, তিতুমীর কলেজের তিনটি, ইডেন মহিলা বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের একটি ও ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের দুটি বাস দেখা গেছে।
শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস দুটিতে ছাত্রলীগের কর্মীদের শাহবাগ হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকতে দেখা গেছে বেলা তিনটার দিকে। একই সময় তিতুমীর কলেজের তিনটি বাস দাঁড়িয়ে ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের সামনে। এ সময় একটি বাসের চালকের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তিনি নিরাপত্তার ভয়ে কোনো কথা বলতে রাজি হননি। ইডেন মহিলা কলেজের একটি বাস দাঁড়িয়ে ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দোয়েল চত্বর এলাকায়। আর ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের দুটি বাসে কারওয়ানবাজার এলাকা দিয়ে ছাত্রলীগ কর্মীদেরকে নিয়ে যেতে দেখা গেছে।
ঢাকার বাইরের গাড়ি কম
বিভিন্ন সময়ে ঢাকায় আওয়ামী লীগের জনসভায় নগরের বাইরের যানবাহনের সমাবেশ দেখা যায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মল চত্বর, বাংলা একাডেমির সামনে কিংবা শাহবাগ থেকে মৎস্য ভবন মোড় পর্যন্ত রাস্তায় সাধারণত যানবাহন রাখা হয়। তবে আজ এসব জায়গায় ঢাকার বাইরের (ঢাকার পাঁচটি উপজেলায় আজ ছাত্রদলের হরতাল ছিল) জেলার কোনো বাস দেখা যায়নি। তবে রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে বিপুলসংখ্যক বাস-ট্রাক এসেছে। ঢাকা-১৪ আসনের সাংসদ ইলিয়াস মোল্লাহ মিরপুর থেকে বিআরটিসির ৩০টি বাস নিয়ে এসেছিলেন। এর মধ্যে ২৬টি দোতলা বাস। কত টাকা ভাড়ায় এসেছেন? জিজ্ঞেস করলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন চালক বলেন, ভাড়া কেউ দেবেন কি না, তিনি জানেন না।  এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিতুমীর কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি কাজী মিরাজুল ইসলাম ও শেরে-ই-বাংলা কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল হকের মুঠোফোনে বারবার চেষ্টা করা হলেও তাঁর ফোন ধরেননি।

No comments

Powered by Blogger.