ভারতের প্রথম গরুমন্ত্রী
ভারতে বিভিন্ন বিষয়ে মন্ত্রণালয় রয়েছ। এবার রাজস্থানে ব্যতিক্রমধর্মী একটি মন্ত্রণালয় খোলা হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নিয়েছেন ওটারাম দিভাসি (৪৮)। এরই মধ্যে তিনি নিজেকে আখ্যায়িত করেছেন ভারতের প্রথম ‘গো-পালন মন্ত্রী’ হিসেবে। ওটারাম মন্ত্রী হওয়ার খবরে ‘ভারতের প্রথম গরুমন্ত্রীকে চিনে নিন’ শিরোনামে টাইমস অব ইন্ডিয়া অনলাইনে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। টাইমস অব ইন্ডিয়ার সর্বাধিক পঠিত খবরের তালিকায় শুক্রবার প্রতিবেদনটি সবচেয়ে ওপরে ছিল। রাজস্থানের পশু পালনের ওপর নির্ভরশীল সম্প্রদায় ‘রাবারিস’ কমিউনিটিতে জন্ম ওটারামের। রাবারিসরা ওটারামকে ডাকে ‘ভোপাজ’ বা পুরোহিত নামে। তাকে রাজস্থানের গরুমন্ত্রী নির্বাচিত করার অবশ্য বেশ কারণও রয়েছে। তিনি নিজে সবসময় থাকেনও রাখালের বেশে। তার পরনে থাকে সাদা লম্বা জোব্বা, লাল পাগড়ি। আর কানে থাকে লম্বা দুল। এই পোশাকেই সঙ্গে একটি লাঠি নিয়ে তিনি হেঁটে বেড়ান শহরের সর্বত্র। এমনকি এই পোশাকেই তিনি রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজের অফিসেও তার সঙ্গে দেখা করতে যান। সদাহাস্য, সাদাসিদে মানুষ ওটারাম দিভাসি। গরু তার কাছে ঈশ্বরতুল্য।
মরুময় রাজস্থানের জনপদে তার গরুভক্তির প্রশংসা রয়েছে। নিজের বাড়িতে ২০-২৫টি গরু পালন করেন তিনি। সংখ্যালঘু রাবারি সম্প্রদায়ের মানুষ ওটারাম দিভাসি। এই সম্প্রদায়ের মধ্যে গরুর প্রতি দারুণ ভক্তি রয়েছে। ২০১৩ সালে রাজস্থানের রাজ্যসভার নির্বাচনের সময় বিজেপি এবং দলটির নেতা ও সাবেক মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজে প্রতিশ্র“তি দিয়েছিলেন, তারা সরকার গঠন করতে পারলে এই রাজ্যে একটি গরুবিষয়ক মন্ত্রণালয় সৃষ্টি করা হবে। হয়ও তাই। ওই সালের ডিসেম্বরে সরকার গঠন করে বিজেপি গরুমন্ত্রীর পদ সৃষ্টি করে এবং এর দায়িত্ব পান ওটারাম দিভাসি। সম্ভব বিশ্বে তিনিই প্রথম গরুমন্ত্রী হন। অবশ্য সাংবিধানিক জটিলতায় বেশি টেকেনি গরু মন্ত্রণালয়। পরে তা রূপান্তরিত হয় ‘গো-পালন বিভাগে’। এবার ২০১৪ সালের অক্টোবরে দুগ্ধ খামারবিষয়ক মন্ত্রী হন ওটারাম দিভাসি। এই তিন মাসে তিনি গরুর সুরক্ষায় এবং সংরক্ষণে বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়ে সাড়া ফেলেছেন সারা ভারতে। টাইমস অব ইন্ডিয়াকে ওটারাম দিভাসি জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে তিনি কেন্দ্রীয় গরুমন্ত্রীর পদ সৃষ্টির জন্য আহ্বান জানিয়েছেন। এছাড়া প্রতিটি রাজ্যে গরুমন্ত্রী থাকা উচিত বলে তিনি মনে করেন।
No comments