আন্দোলন চূড়ান্ত লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে -জামায়াত, রাজধানীতে ৬ বাসে আগুন, ‘জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে আন্দোলন কোনপথে নেবে’

জুলুম-নির্যাতন করে সরকার জনগণ থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। যে আন্দোলন শুরু হয়েছে তা আগামীতে আরও বেগমান হবে। সরকারের দুঃশাসনের বিরুদ্ধে দেশের জনগণের ক্ষোভ বাড়ছে এবং আন্দোলন চূড়ান্ত লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। আজ সংবাদ মাধ্যমে পাঠনো এক বিবৃতিতে দলটির ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারী জেনারেল ডা. শফিকুর রহমান এসব কথা বলেন। ডা. শফিক বলেন, এ সরকারের বিরুদ্ধে রাজপথে আন্দোলন চলছে আন্দোলন চলবে। ২০ দলীয় জোটের ঘোষিত অবরোধ কর্মসূচি চলাকালে আজ সারাদেশে আওয়ামী লীগের হামলা এবং আইনÑশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ব্যাপক গণ গ্রেপ্তার চালিয়েছে। জনগণের আন্দোলন দমন করার জন্য সরকারের জুলুম-নির্যাতনের মাত্রা ক্রমেই বেড়ে যাচ্ছে। জনগণের সমস্যা সমাধানে ব্যর্থ সরকার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অপব্যবহার করে অত্যাচার-নির্যাতনের আশ্রয় দিয়ে স্বৈরশাসন টিকিয়ে রাখার ষড়যন্ত্র করছে। আজ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সিলেট মহানগরী জামায়াতে সেক্রেটারী সোহেল আহমাদসহ ঢাকা মহানগরী, সিলেট, বগুড়া, পাবনা, ফেনী, চাঁদপুর, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, পঞ্চগড়, সাতক্ষীরা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, পটুয়াখালী, জয়পুরহাট, নড়াইলসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে জামায়াত ও ছাত্রশিবিরের প্রায় তিন শতাধিক নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে। অবিলম্বে এসকল নেতা-কর্মীদের মু্িক্ত দাবি করেন তিনি।
রাজধানীতে ৬ বাসে আগুন
বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০দলীয়  জোটের ডাকা লাগাতার অবরোধের তৃতীয় দিনে রাজধানীতে ৬ বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এসব ঘটনায় কোন হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। ফায়ার সার্ভিস কন্ট্রোল রুম সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটার দিকে মৌচাক এলাকার ডাক্তার সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে  দাঁড়ানো অবস্থায় একটি বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। একই সময় নিউমার্কেট এলাকার নীলক্ষেত মোড়ে নিউ সুপার সার্ভিস নামে আরেকটি বাসে আগুন দেয়া হয়। মতিঝিল থানার গলিতে দুপুর পৌনে ২টার দিকে একটি বাসে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। বেলা পৌনে ১২টার দিকে রাজধানীর বনশ্রীতে একটি বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রবরব পরিবহনের চলন্ত বাসটি থামিয়ে ৪ থেকে ৫ জন পিকেটার বাসটিতে আগুন দিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন আগুন নিভিয়ে ফেলে। এ ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি এবং কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ। এর আগে সকালে মতিঝিলে রাস্তায় দাড়ানো অবস্থায় দিবানিশি পরিবহনের একটি ফাঁকা বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। বাসের হেলপার ও স্থানীয় লোকজন এসে আগুন নিভিয়ে ফেলে। এছাড়া লালবাগে একটি গাড়িতে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা।
‘জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে আন্দোলন কোনপথে নেবে’
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া গণতান্ত্রিক আন্দোলন এগিয়ে নেয়ার ভার দেশের জনগণের ওপর দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন বিএনপির সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক গাজী মাজহারুল আনোয়ার। তিনি বলেন, বিএপি চেয়ারপারসন বলেছেনÑ  আমরা সন্ত্রাসী ও জঙ্গি নই। আমরা মানুষের অধিকার ও ভোটের অধিকারের জন্য সংগ্রাম করছি। জনগণের পাশে এগিয়ে এসেছি কিন্তু আমাদের এই গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে ব্যাহত করার জন্যই আমাকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। দেশের জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে আগামীতে গণতান্ত্রিক এই আন্দোলন কোনপথে এগিয়ে নেবে। আজ বিকালে গুলশান কার্যালয়ে অবরুদ্ধ খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। মাজাহারুল আনোয়ার বলেন, সাক্ষাতে ম্যাডাম দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন। তিনি ভালোভাবে কথা বলতেও পারছেন না। তার গলায় ব্যথা। তবে ম্যাডাম জানিয়েছেন, দেশে গণতন্ত্র রক্ষার সংগ্রাম চলছে। এই সংগ্রামে যাতে তিনি  দেশবাসীর সঙ্গে থাকতে পারেন, এ জন্য সবার কাছে দ্রুত সুস্থ হওয়ার দোয়া চেয়েছেন।  এসময় তার সঙ্গে ছিলেন, চিত্রনায়ক কাজী আশরাফ উদ্দিন আহমেদ উজ্জ্বল ও নির্মাতা আমজাদ হোসেন।

No comments

Powered by Blogger.