উদ্ধার অভিযানে ধীরগতি

ইন্দোনেশিয়ার বিধ্বস্ত এয়ার এশিয়া বিমান উদ্ধার অভিযানে ধীরগতি নেমে এসেছে। খারাপ আবহাওয়ার কারণে এমনটি হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তল্লাশির দশম দিনে আরও দুটি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। খারাপ আবহাওয়ায় বিরতির সুযোগে ইন্দোনেশিয়ার কর্মকর্তারা এয়ার এশিয়ার ফ্লাইট ৮৫০১-এর ধ্বংসাবশেষ থেকে আরও মৃতদেহ উদ্ধারের আশায় মঙ্গলবার জাভা সাগরের তলদেশে অনুসন্ধানের জন্য ডুবুরি পাঠিয়েছেন। খবর এএফপির। গত ২৮ ডিসেম্বর ১৬২ যাত্রী নিয়ে ইন্দোনেশিয়ার সুরাবায়া থেকে সিঙ্গাপুরগামী এয়ার এশিয়ার ফ্লাইটটি বিধ্বস্ত হওয়ার পর থেকে খারাপ আবহাওয়ার কারণে এ পর্যন্ত উদ্ধার টিম ৪০টিরও কম মৃতদেহ উদ্ধার করতে পেরেছে। অনুসন্ধান ও উদ্ধার সংস্থার প্রধান সাম্বাং সোয়েলিসটিয়ো সাংবাাদিকদের বলেন, ‘কয়েকজন ডুবুরি সাগরের তলদেশের দিকে যাচ্ছেন।’ উদ্ধার টিম এখনও ফ্লাইটটির ডেটা রেকর্ডার ‘ব্ল্যাকবক্স’ উদ্ধার করতে সক্ষম হয়নি। তবে তারা সাগরের তলদেশে বিধ্বস্ত বিমানটির পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ খুঁজে পেয়েছেন। উদ্ধার অভিযানে মৃতদেহ উদ্ধারকে অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে। মঙ্গলবার পর্যন্ত উদ্ধারকৃত মৃতদেহের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৭-এ। প্রবল সে াতে লাশগুলো দূরে সরে গেছে এমন সম্ভাবনা বিবেচনায় নিয়ে উদ্ধার টিম সম্প্রতি তাদের তল্লাশি এলাকা সম্প্রসারিত করেছে। ইন্দোনেশিয়ার নৌবাহিনীর পক্ষ থেকে সোমবার জানানো হয়েছিল,
তারা একটি বড় বস্তুর সন্ধান পেয়েছে, যা বিমানটির পেছনের অংশ বলে ধারণা করা হচ্ছে। ধারণা সত্য হলে সেখান থেকে ব্ল্যাকবক্সের সন্ধান পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। ব্ল্যাকবক্সটি পাওয়া গেলে বিমানটি বিধ্বস্তের প্রকৃত কারণ জানা যাবে। মঙ্গলবার নতুন করে অনুসন্ধান এলাকা বাড়ানো হয়েছে। মালয়েশিয়াভিত্তিক এয়ার এশিয়ার কিউজেড ৮৫০১ ফ্লাইটের এ৩২০-২০০ এয়ারবাসটি ২৮ ডিসেম্বর স্থানীয় সময় ভোর ৫টা ৩৫ মিনিটে ইন্দোনেশিয়ার সুরাবায়া থেকে সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে রওনা হয়। পথে জাভা সাগর এলাকায় সকাল ৬টা ১৭ মিনিটে বিমানটির সঙ্গে সর্বশেষ যোগাযোগ করা সম্ভব হয়েছিল। ওই দিনই সকাল সাড়ে ৮টায় বিমানটির সিঙ্গাপুরে পৌঁছানোর কথা ছিল। বিমানটিতে ১৫৫ যাত্রী, দুই বিমানচালক ও ৫ কেবিন ক্রুসহ মোট ১৬২ জন আরোহী ছিলেন। এর মধ্যে ১৮টি শিশুও রয়েছে। আরোহীদের বেশিরভাগই ইন্দোনেশিয়ার নাগরিক। মালয়েশিয়াভিত্তিক এয়ার এশিয়ার ৪৯ শতাংশ শেয়ারের মালিক ইন্দোনেশিয়া। এই প্রথম এয়ারলাইন্সটির কোনো বিমান দুর্ঘটনার শিকার হল। ইন্দোনেশিয়ান আবহাওয়া বিভাগের ধারণা, বরফশীতল আবহাওয়া ও ঝড়ের কারণে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে।

No comments

Powered by Blogger.