তারেকের বক্তব্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞা

বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান যতদিন আইনের দৃষ্টিতে পলাতক থাকবেন, ততদিন তার বক্তব্য-বিবৃতি সংবাদ মাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার ও প্রকাশ নিষিদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। তথ্য সচিবকে এ অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞা দিতে তথ্য সচিবের প্রতি কেন নির্দেশ দেয়া হবে না- তা জানতে চেয়ে রুলও জারি করা হয়েছে। একটি রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি গ্রহণ করে বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ গতকাল এ আদেশ দেয়। সরকার ও সংশ্লিষ্টদের তিন সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচার-প্রকাশে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে নাসরিন সিদ্দিকী লিনার দায়ের করা এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি গ্রহণ করে হাইকোর্ট এ আদেশ দেয়। আবেদনে বলা হয়, ফেরারি আসামি তারেক রহমান সংবিধান লঙ্ঘন করে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সম্পর্কে নানা ‘অপরাধমূলক’ কথা বলছেন, যা দ-বিধি অনুসারেও অপরাধ। এর মাধ্যমে তিনি বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষের অনুভূতিতে আঘাত দিচ্ছেন, যা তথ্য প্রযুুক্তি আইন অনুসারে অপরাধ। এর মাধ্যমে তিনি শান্তিভঙ্গ ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাচ্ছেন। পলাতক এই আসামির বক্তব্য গণমাধ্যমে প্রচার হওয়ায় পুনরাবৃত্তিতে উৎসাহ দেয়া হচ্ছে। গণমাধ্যম পুনঃউৎপাদন না করলে এর পুনরাবৃত্তির সুযোগ থাকবে না। রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, সাহারা খাতুন, শ.ম রেজাউল করিম, সানজীদা খানম প্রমুখ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ রায়। সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমান ছয় বছর ধরে যুক্তরাজ্যে অবস্থান করছেন। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমালোচনা করে তার দেয়া বক্তব্যে সরকারে তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি করে। ওইসব বক্তব্য সংবাদ মাধ্যমে প্রচার-প্রকাশ নিয়েও সরকারের মন্ত্রীরা উষ্মা প্রকাশ করে আসছিলেন।

No comments

Powered by Blogger.