দেখা পাচ্ছেন না ওবামা

দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদবিরোধী নেতা নেলসন ম্যান্ডেলার শারীরিক অবস্থা সংকটপূর্ণ থাকায় তাঁর সঙ্গে দেখা হচ্ছে না যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার। সপ্তাহব্যাপী আফ্রিকা সফরের অংশ হিসেবে আগামীকাল শুক্রবার দক্ষিণ আফ্রিকায় পৌঁছার কথা ওবামার।
সরকারি কর্মকর্তারা গত মঙ্গলবার এ কথা জানিয়েছেন। দেখা হলে এটাই হতো উভয় দেশের প্রথম দুই কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্টের প্রথম সাক্ষাৎ।
২০০৫ সালে ম্যান্ডেলার সঙ্গে ওয়াশিংটনে একবার দেখা হয়েছিল ওবামার। তখনও ওবামা প্রেসিডেন্ট হননি। সবে সিনেটর নির্বাচিত হয়েছেন। ওবামা প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন ২০০৮ সালে। অনেক দিন ধরেই তিনি আশা করছিলেন, তাঁর রাজনৈতিক আদর্শের এই নেতার সঙ্গে দেখা করবেন তিনি। কিন্তু এমন সময়ে তিনি দক্ষিণ আফ্রিকা সফর করছেন যখন তাঁর প্রিয় নেতা হাসপাতালের বিছানায় জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে।
দক্ষিণ আফ্রিকার আন্তর্জাতিক বিষয়ক মন্ত্রী মাইতে নকোয়ানা-মাশাবেনা সাংবাদিকদের বলেন, 'মাদিবার সঙ্গে দেখা হলে প্রেসিডেন্ট ওবামার ভালো লাগত, এটা ঠিক। কিন্তু আমাদের সমাজে, আপনার আমার এই বয়সে কেউ অসুস্থ হলে তার সেরে ওঠার জন্য একটু শান্তিতে থাকতে দেওয়ার চেষ্টা করি।'
এর আগে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র বেন রোডস গত শুক্রবার সাংবাদিকদের বলেন, 'আমরা শ্রদ্ধার সঙ্গে ম্যান্ডেলার পরিবারের কাছেই বিষয়টির ভার দিয়েছি। প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তাঁর দেখা হবে কি না সে ব্যাপারে তাদের সিদ্ধান্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা চাইছি তাঁর স্বাস্থ্যের বিষয়টি বিবেচনা করে পরিবারের লোকজনই সিদ্ধান্ত নিক। আমরা এ ব্যাপারে যোগাযোগ রাখছি। ম্যান্ডেলার পরিবারের সদস্যদের সব ধরনের সহযোগিতা দিতে প্রেসিডেন্ট প্রস্তুত আছেন।'
ওবামা জোহানেসবার্গে পৌঁছাবেন শুক্রবার। তিনি শনিবার সোয়েতো সফর করবেন। তিনি রোবেন দ্বীপের কারাগারও পরিদর্শন করবেন। এ কারাগারেই ম্যান্ডেলার বন্দিজীবন কেটেছে। কেপটাউন বিশ্ববিদ্যালয়ে ম্যান্ডেলার সম্মানে আয়োজিত এক সভায় ওবামা বক্তৃতা করবেন।
দক্ষিণ আফ্রিকা ছাড়া ওবামা সেনেগাল ও তাঞ্জানিয়া সফর করবেন। সেনেগাল থেকে তিনি দক্ষিণ আফ্রিকায় যাবেন। সেখান থেকে তাঞ্জানিয়া। গতকাল বুধবার তিনি ওয়াশিংটন ছেড়েছেন।
২০১১ সালের জুনে একবার যুক্তরাষ্ট্রের ফার্স্ট লেডি মিশেল ওবামা তাঁর দুই মেয়েকে নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা সফর করেন। সে সময় ম্যান্ডেলার সঙ্গে তাদের সাক্ষাৎ হয়েছিল। তবে ওই সফরে বারাক ওবামা তাদের সঙ্গে ছিলেন না।
সূত্র : এএফপি।

No comments

Powered by Blogger.