সংসদে প্রশ্নোত্তর প্রবাসীদের প্রবাসে থেকে ভোট দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী

সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়েছেন, প্রবাসী বাংলাদেশিরা বর্তমানে নির্বাচনের সময় দেশে এসে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রবাসী ভোটাররা যাতে প্রবাসে থেকে ভোট দিতে পারেন, সে লক্ষ্যে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২-এর প্রয়োজনীয় সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
জাতীয় সংসদে গতকাল বুধবার টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তরে সরকারি দলের নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এ কথা জানান। প্রশ্নটি ছিল, প্রবাসী এবং নির্বাচনে নিয়োজিত ব্যক্তিদের ডিজিটাল পদ্ধতির মাধ্যমে ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে কি না?
জবাবে শেখ হাসিনা আরও বলেন, নির্বাচনের কাজে নিয়োজিত সব ব্যক্তি এবং প্রবাসী বাংলাদেশি ভোটারদের ডিজিটাল পদ্ধতির মাধ্যমে ভোটাধিকার প্রয়োগের আওতায় আনার কোনো পরিকল্পনা এ মুহূর্তে নির্বাচন কমিশনের নেই।
সরকারি দলের মুহিবুর রহমানের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কওমি মাদ্রাসাগুলো সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন নয়। সরকার কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা কমিশন গঠন করেছে। ওই কমিশন কওমি শিক্ষানীতি, ২০১২-এর খসড়া প্রণয়ন করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে দাখিল করেছে, যা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণের বিষয়টি সরকারের বিবেচনাধীন। এন এন মাহফুজা খাতুনের (বেবী মওদুদ) প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সমুদ্রপথে জাহাজের মাধ্যমে ভ্রমণ অথবা যাত্রী চলাচলের বিষয়ে আর্থিক, বাণিজ্যিক ও আবহাওয়াগত বৈশিষ্ট্যের আঙ্গিকে বিচার-বিশ্লেষণের জন্য সম্ভাব্যতা যাচাই করা হচ্ছে। সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের পর ফলাফল আকর্ষণীয় হলে সরকারি বা বেসরকারিভাবে সমুদ্রপথে যাতায়াতব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আওয়ামী লীগের মনোরঞ্জন শীল গোপালের প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, ‘পেট্রোবাংলা মিয়ানমারের কোনো আপত্তি ছাড়াই বঙ্গোপসাগরে ১২টি ব্লকে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের জন্য আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করেছে। শুধু তা-ই নয়, বাংলাদেশ নৌবাহিনী এবং কোস্টগার্ডের জাহাজগুলো মিয়ানমারের কোনো বাধা ছাড়াই নতুন সমুদ্রসীমা এলাকায় সফলভাবে টহল দিতে পারছে। বাংলাদেশের মাছ ধরার ট্রলারগুলোও কোনো অনভিপ্রেত বাধার সম্মুখীন হচ্ছে না।
বিএনপির এ এম মাহবুব উদ্দিনের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘উন্নত দেশগুলোসহ বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশগুলোর শিল্পাঞ্চলে শ্রম অসন্তোষ নতুন কোনো ঘটনা নয়। বর্তমানে বাংলাদেশে নিরাপত্তার অভাবে পোশাক কারখানাগুলো স্থায়ীভাবে বন্ধ হওয়ার মতো কোনো পরিবেশ বা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি।

No comments

Powered by Blogger.