হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি কার্যকর

আট দিনের রক্তক্ষয়ী সহিংসতার পর গতকাল বুধবার মধ্যরাতের পর হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বিবিসি অনলাইন ও বার্তা সংস্থা রয়টার্সে প্রকাশিত খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
যুদ্ধবিরতি চুক্তির শর্ত অনুযায়ী দুই পক্ষই পরস্পরের সব ধরনের লক্ষ্যবস্তুতে হামলা ও হত্যাকাণ্ড বন্ধ করবে।
এদিকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর গাজা থেকে ১২টি রকেট হামলা হয়েছে বলে ইসরায়েলের পুলিশ দাবি করেছে। হামাস এ দাবি নাকচ করেছে। যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর গাজায়ও একটি বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে।
গতকাল মধ্যরাতে মিসরের রাজধানী কায়রোয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ কামাল আমর এক সংবাদ সম্মেলনে হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকরের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এ সময় তাঁর পাশে ছিলেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন।
এ ঘোষণার পর হামাস ও ইসরায়েলকে যুদ্ধবিরতির শর্ত মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। এ ছাড়া গাজায় জরুরি ত্রাণসহায়তা পাঠানোর জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি। যুদ্ধবিরতির ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন।
যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ায় ইসরায়েলের প্রশংসা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালনের জন্য মিসরের প্রেসিডেন্ট মোহম্মদ মুরসিকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি।
যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পর ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সাংবাদিকদের বলেন, তিনি এ চুক্তি মেনে নিতে প্রস্তুত। তবে ইসরায়েল সরকারের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, যুদ্ধবিরতির শর্ত ভঙ্গ করা হলে আত্মরক্ষার্থে আবারও যুদ্ধে নামবে তেল আবিব।
হামাসের মুখপাত্র মুসা আবু মারজুক জানিয়েছেন, চুক্তির শর্ত অনুযায়ী দুই পক্ষকেই সব ধরনের সহিংসতা বন্ধ করতে হবে। সীমান্ত পারাপার বাধামুক্ত ও বিনা বাধায় মানুষ ও পণ্য পরিবহন নিশ্চিত করতে হবে।
যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার আগের দিনও সহিংসতায় দুই পক্ষে হতাহতের ঘটনা ঘটে। টানা আট দিনের সহিংসতায় ১৬২ জন ফিলিস্তিনি ও পাঁচজন ইসরায়েলি নিহত হয়েছে।

No comments

Powered by Blogger.