অল্প স্বল্প গল্প

প্রতারিত জ্যাকসন! র‌্যানডল সুলিভান নামের এক লেখক বোমা ফাটিয়েছেন। বোমা এত জোরে বিস্ফোরিত হয়েছে যে, চমকে গেছেন অনেকেই। সুলিভান যে তাঁর নতুন বইয়ে মারলন ব্র্যান্ডো, এলিজাবেথ টেলরের মতো হলিউড তারকাদের ‘আসল’ চেহারা উন্মোচিত করেছেন।
যেখানে দাবি করা হয়েছে, তাঁরা নাকি ছিলেন মাইকেল জ্যাকসনের বন্ধু নামের কলঙ্ক। জ্যাকসনের বিপদে-আপদে তাঁরা পাশে দাঁড়িয়েছেন ঠিকই কিন্তু বিনিময়ে হাতিয়ে নিয়েছেন বিশাল পরিমাণ অর্থ। আনটাচেবল: দ্য স্ট্রেঞ্জ লাইফ অ্যান্ড ট্র্যাজিক ডেথ অব মাইকেল জ্যাকসন নামে সদ্য প্রকাশিত সেই বইয়ে দাবি করা হয়েছে, জ্যাকসনের ক্যারিয়ারের ৩০ বছর পূর্তি উপলক্ষে নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত এক কনসার্টে ১০ মিনিটের একটি ভিডিও ভাষণের জন্য ব্র্যান্ডো ছয় লাখ ডলার দাবি করেছিলেন। আর শিশু নির্যাতন মামলায় জ্যাকসন ফেঁসে যাওয়ার পর তাঁর পাশে দাঁড়ানোর বিনিময়ে মোটা অঙ্কের টাকা চেয়েছিলেন টেলর। পরে টাকার বদলে জ্যাকসন তাঁকে ‘উপহার’ দেন চার লাখ পাউন্ড মূল্যের একটি দামি নেকলেস! এই বইয়ে জ্যাকসনের পরিবারের সদস্যরা কীভাবে এই শিল্পীকে শোষণ করেছেন, তারও বৃত্তান্ত আছে। অভিযুক্ত ব্যক্তিরা অবশ্য সব দাবিই অস্বীকার করেছেন।

কারদাশিয়ানকে মৃত্যু-হুমকি
প্রতিদিন কত কত মৃত্যুর ছবি ভেসে আসছে ফিলিস্তিন থেকে। ইসরায়েল আবার চড়াও হয়েছে। বৃষ্টির মতো মিসাইল ছুড়ছে প্রতিদিন। হামাসের ছোড়া রকেটের আঘাতে ইসরায়েলের সাধারণ মানুষেরও রক্ত ঝরেছে। কিন্তু পাল্টা জবাব হিসেবে ইসরায়েলের সেনারা যা করছেন, তার তুলনায় হামাসের অপরাধ তুচ্ছ। এ-ই যখন পরিস্থিতি, সারা বিশ্বের বিবেকবান মানুষ যখন ইসরায়েলকে ধিক্কার জানাচ্ছেন, সেই সময় কিম কারদাশিয়ান করে বসলেন অদ্ভুত এক কাণ্ড! তিনি টুইট করলেন, ‘ইসরায়েলের জন্য প্রার্থনা করছি!’ আর্মেনিয়ান বংশোদ্ভূত হিসেবে অসহায় মুসলমানদের প্রতিই তাঁর সহানুভূতি থাকা উচিত ছিল। তা না করে ইসরায়েল! সঙ্গে সঙ্গে কারদাশিয়ানের এক কোটি ৭০ লাখ টুইটার অনুসারীর মধ্য থেকে গর্জে উঠল প্রতিবাদ। তাঁর প্রতি ঘৃণার মিসাইল বর্ষণ হতে থাকল। কেউ কেউ দিয়ে বসলেন মৃত্যু-হুমকিও। অবস্থা বেগতিক দেখে কারদাশিয়ান প্রথম টুইট মুছে ফেলে দ্বিতীয় টুইট করেন, ‘ফিলিস্তিনিদের জন্যও প্রার্থনা করছি, প্রার্থনা করছি সারা বিশ্বের জন্য।’ তাতেও ক্ষোভ সামাল দেওয়া যায়নি দেখে দুটো টুইটই মুছে ফেলেন কারদাশিয়ান। পরে তাঁর ব্যক্তিগত ওয়েবসাইটে ক্ষমা প্রার্থনা করে বলেন, ফিলিস্তিন-ইসরায়েলসহ সারা বিশ্বে অসংখ্য নিরীহ মানুষের রক্ত ঝরছে। ধর্ম বা রাজনৈতিক বিশ্বাসের ঊর্ধ্বে উঠে তিনি শুধু এসব মানুষের জন্য সহানুভূতি জানাতে চেয়েছিলেন।

ড্যামনের চাওয়া
অভিনয় থেকেই তাঁর যাবতীয় অর্জন। জীবনের সবটুকু পাওয়া। তবে ম্যাট ড্যামন চান না বড় হয়ে তাঁর চার মেয়ে অভিনেত্রী হোক! ১৪ বছর বয়সী অ্যালেক্সিয়া, ছয় বছর বয়সী ইসাবেলা, চার বছর বয়সী গিয়া আর দুই বছর বয়সী স্টেলার বাবা ড্যামন চান, মেয়েরা যেন জীবিকা হিসেবে বেছে নেয় অন্য কিছু। কিন্তু কেন? অভিনয়ের প্রতি কিসের এত বীতরাগ ড্যামনের? আসলে অভিনয় নয়, তিনি মনে করেন, হলিউডের জগৎটা নারীদের জন্য খুবই বিদ্বেষপূর্ণ। ‘আমি চেষ্টা করব, আমার মেয়েরা যেন অভিনয় থেকে দূরে থাকে। আমরা অভিনেতারা যেটা পাই, তার তুলনায় এখানে নারীদের অন্যভাবে বিবেচনা করা হয়। এটা নারীদের জন্য সত্যিই নৃশংস একটা পৃথিবী।’ হলিউডের ঝলমলে জগতের আড়ালে থাকা চেহারাটাই যেন তুলে ধরতে চাইলেন ড্যামন।  রা. হা. তথ্য: রয়টার্স, এএনআই, আইএএনএস

No comments

Powered by Blogger.