মৃত্যুদণ্ড বিলোপের বিপক্ষে ভারতের ভোট, তারপর কাসাবের ফাঁসি

রেকর্ড সংখ্যক ভোটে গত সোমবার মৃত্যুদণ্ড বিলোপ-সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব পাস হয়েছে জাতিসংঘে। ওই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছে ১১০টি দেশ। আর বিপক্ষে ভোট দিয়েছে ৩৯টি দেশ। প্রস্তাবের বিপক্ষে থাকা দেশগুলোর মধ্যে ভারত অন্যতম।
এ প্রস্তাব পাসের এক দিন পরই গতকাল বুধবার ২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বরে মুম্বাইয়ে চালানো হামলার একমাত্র জীবিত আসামি মোহাম্মদ আজমল আমির কাসাবের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করল ভারত।
ভারতের মতে, প্রতিটি দেশেরই নিজের আইনি পদ্ধতি নির্ধারণে 'সার্বভৌম ক্ষমতা' রয়েছে। ভারত ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, চীন, ইরান, উত্তর কোরিয়া, সিরিয়া এবং জিম্বাবুয়ে মৃত্যুদণ্ড বিলোপ-সংক্রান্ত প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দেয়।
প্রথা অনুযায়ী প্রতি দুই বছর অন্তর জাতিসংঘে এ বিষয়ে ভোটের আয়োজন করা হয়। সাধারণ পরিষদের 'থার্ড কমিটি' মৃত্যুদণ্ড বিলোপ-সংক্রান্ত খসড়া প্রস্তাবটি গ্রহণ করে। পরদিন এর ওপর ভোটাভুটির আয়োজন করা হয়। এ প্রস্তাবের ভোটদানে বিরত ছিল ৩৬টি দেশ। ২০১০ সালে অনুষ্ঠেয় ভোটে ১০৭টি দেশ মৃত্যুদণ্ড বিলোপ প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছিল।
যুক্তরাষ্ট্র প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দিলেও তাদের ঘনিষ্ঠ মিত্র ইসরায়েল পক্ষে ভোট দিয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্যপদ পাওয়ার লক্ষ্যেই তারা প্রস্তাবে পক্ষে ভোট দেয়। জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত ১৫০টি দেশে সর্বোচ্চ সাজা হিসেবে মৃত্যুদণ্ড প্রথা বাতিল করেছে অথবা বাতিলের প্রক্রিয়া শুরু করেছে।
লন্ডনভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল জানিয়েছে, গত বছর চীন এক হাজারের বেশি বন্দিকে ফাঁসি দিয়েছে। আর ইরান ৬৮০ জনের ফাঁসি কার্যকর করেছে। এ ছাড়া ইরাক ও সৌদি আরবে মৃত্যুদণ্ডের রায় কার্যকর করা হয়েছে। সূত্র : এনডিটিভি।

No comments

Powered by Blogger.