এবার তবে আফজাল গুরু?

মুম্বাইয়ে হামলাকারী আজমল আমির কাসাবের ফাঁসি কার্যকরের পর ভারতজুড়ে এখন নতুন প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। এরপর কার ফাঁসি কার্যকর করা হবে? তালিকায় অনেকের নামই আছে। তবে বেশি উচ্চারিত হচ্ছে মোহাম্মদ আফজাল গুরুর নাম।
২০০১ সালের ডিসেম্বরে ভারতের পার্লামেন্টে হামলার ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত আফজালের ফাঁসি কার্যকরের পক্ষে সরব হয়েছেন সরকারি ও বিরোধী দলের নেতারাও। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুশীল কুমার সিন্দে বলেছেন, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই আফজালের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈয়বা এবং কাশ্মীরভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন জয়শ-ই-মোহাম্মদ সম্মিলিতভাবে ভারতের পার্লামেন্টে হামলা চালায়। হামলায় ১২ জন মারা যান। হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে ২০০৪ সালে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট জয়শ-ই-মোহাম্মদের নেতা আফজালকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন। তবে ২০০৬ সালের অক্টোবরে তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মৃত্যুদণ্ডাদেশ স্থগিত করা হয়। গত বুধবার কাসাবের ফাঁসি কার্যকরের পর আফজালের বিষয়টি নতুন করে আলোচনায় এসেছে। কাশ্মীরের বাসিন্দা আফজাল বর্তমানে নয়াদিলি্লর তিহার জেলে আটক আছে।
তবে আফজালের বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত হবে তা এখনই অনুমান করা যাচ্ছে না। দণ্ড মওকুফের বিষয়ে সাতটি আবেদন ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবন ও সচিবালয়ের (নর্থ ব্লক) মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে। এর মধ্যে আফজালের আবেদনও আছে। আফজালের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে তার আবেদনটি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সিন্দের কাছে পাঠিয়েছেন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি। কাসাবের ফাঁসি কার্যকরের পর সিন্দে বুধবার সাংবাদিকদের বলেন, 'আফজালের ফাইলটি আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ছেড়ে দেব।' যদিও কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে সে বিষয়ে তিনি কোনো ইঙ্গিত দেননি।
প্রধান বিরোধী দল ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) নেতারা আফজালের ফাঁসি দ্রুত কার্যকর করার আহ্বান জানিয়েছেন। তাঁরা বিষয়টি পার্লামেন্টের চলতি অধিবেশনে তুলবেন বলেও জানিয়েছেন। সূত্র : পিটিআই, ইন্ডিয়া টুডে।

No comments

Powered by Blogger.