কঙ্গোয় এম২৩ বিদ্রোহীদের তৎপরতা-উগান্ডায় আঞ্চলিক সম্মেলন কাল

গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্রে এম২৩ বিদ্রোহীদের তৎপরতা বন্ধে উগান্ডার রাজধানী কাম্পালায় আগামীকাল শনিবার আলোচনায় বসছেন আঞ্চলিক নেতারা। ১১টি দেশের জোট ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অন দ্য গ্রেট লেকস রিজিয়নের (আইসিজিএলআর) বিশেষ এ সম্মেলনে আফ্রিকান ইউনিয়ন কমিশনের চেয়ারম্যান নকোসাজানা দ্লামিনি-জুমাও অংশ নেবেন।
গত এপ্রিলে সেনাবাহিনীতে সংঘটিত বিদ্রোহের মধ্য দিয়ে আত্মপ্রকাশ এম২৩ গোষ্ঠীর (মার্চ ২৩ আন্দোলন) মঙ্গলবার পূর্বাঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ শহর গোমার দখল নেওয়ার পর এ সম্মেলনের আয়োজন করা হচ্ছে। গোমার নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর রাজধানী কিনসাসাসহ বুকাভু, কিসাঙ্গানি প্রভৃতি শহর অভিমুখে অগ্রসর হওয়ারও ঘোষণা দেয় তারা। পরের দিন বুধবার গোমা থেকে ২৭ কিলোমিটার পশ্চিমের শহর সেকেরও নিয়ন্ত্রণ নেয় তারা। এ অবস্থায় নতুন করে যুদ্ধ বাধার আশঙ্কা করা হচ্ছে। ১৯৯৭ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত স্থায়ী যুদ্ধে কঙ্গোর প্রায় ৫০ লাখ মানুষ মারা যায়।
এপ্রিল থেকে এম২৩ সদস্যদের তৎপরতায় এখন পর্যন্ত প্রায় পাঁচ লাখ মানুষ ভিটেছাড়া হয়েছে। প্রাণহানির ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য না থাকলেও জাতিসংঘ বুধবার দাবি করেছে, বিদ্রোহীরা 'গণহত্যা' চালাচ্ছে। এদিন প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বিদ্রোহীদের মদদ দেওয়ার জন্য রুয়ান্ডা ও উগান্ডাকে অভিযুক্ত করে জাতিসংঘ। যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে এদিন এ প্রতিবেদন প্রকাশের মাসখানেক আগেই এর গুরুত্বপূর্ণ অংশ ফাঁস হয়ে যায়। ফলে কিগালি ও কাম্পালার পক্ষ থেকে আগেই জোরালোভাবে এ অভিযোগ অস্বীকার করা হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রুয়ান্ডার প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেমস কাবারেবে বিদ্রোহীদের হোতা। আর যারাই বিদ্রোহীদের সামনে দাঁড়াচ্ছে, তাদের নির্বিচারে হত্যা করা হচ্ছে।
কঙ্গো পরিস্থিতি নিয়ে বুধবার জরুরি আলোচনায় বসে নিরাপত্তা পরিষদও। আগের দিন পরিষদে একটি প্রস্তাব পাস করা হয়। সে অনুযায়ী, এম২৩কে কারা বাইরে থেকে সহায়তা দিচ্ছে, সে ব্যাপারে শিগগিরই জাতিসংঘের প্রতিবেদন প্রকাশের ওপর জোর দেওয়া হয়। পরদিন জাতিসংঘের প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়। সূত্র : এএফপি, বিবিসি, গার্ডিয়ান।

No comments

Powered by Blogger.