পদ্মা সেতু প্রকল্প- আবুল হোসেনসহ ১৫ জনকে আবার তলব করেছে দুদক

পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতির বিষয়ে সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন ও সেতু বিভাগের সাবেক সচিব মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়াসহ ১৫ ব্যক্তিকে আবার তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে যাঁদের নোটিশ পাঠানো হয়েছে, তাঁরা হলেন: সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন, সেতু বিভাগের সাবেক সচিব মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া, প্রকল্প পরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের পরিচালক মোহাম্মদ আবদুল কাদির, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. দলিল উদ্দিন, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মো. আবু সিদ্দিক ও অধ্যাপক ইশতিয়াক আহমেদ, এলজিইডির তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. আজিজুল হক, নির্বাহী প্রকৌশলী কাজী মো. ফেরদৌস, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী তরুণ তপন দেওয়ান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো. মকবুল হোসেন, সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরী, নিক্সন চৌধুরী, বাংলাদেশে এসএনসি-লাভালিনের স্থানীয় পরামর্শক প্রতিষ্ঠান হিসেবে দায়িত্ব পালন করা লালমাটিয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড প্ল্যানিং কনসালট্যান্ট কোম্পানি লিমিটেডের (ইপিসি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক জিয়াউল হক এবং তাঁর ভাতিজা ও প্রতিষ্ঠানের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. গোলাম মোস্তফা।
তলব করা ওই ১৫ জনকে ২৭, ২৮ ও ২৯ নভেম্বর পর্যায়ক্রমে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন বিশেষ অনুসন্ধান ও তদন্ত বিভাগের সূত্র।
এ বিষয়ে দুদক চেয়ারম্যান গোলাম রহমান বলেন, ডিসেম্বরে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়ার আগে তাঁদের আবার জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন বলে মনে করেছেন দুদকের তদন্ত কর্মকর্তারা।
পদ্মা সেতু প্রকল্পে কানাডীয় প্রতিষ্ঠান এসএনসি-লাভালিনকে পরামর্শক হিসেবে কাজ পাইয়ে দেওয়ার বিনিময়ে যাদের ঘুষ দিতে হবে, এমন কিছু ব্যক্তির নামের তালিকা গত জুলাই দুদককে পাঠায় বিশ্বব্যাংক। অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে তালিকায় উল্লেখ থাকা ব্যক্তিদের ইতিমধ্যে একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুদক।

No comments

Powered by Blogger.