ইসলামি রীতিতেই দাফন করা হয়ওসামাকে

আল-কায়েদার নেতা ওসামা বিন লাদেনের মরদেহ ইসলামি রীতি মেনে দাফন করা হয়েছিল কি না, তা নিয়ে অনেক দিন ধরে সন্দেহ-সংশয় ছিল। এবার মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় কয়েকজন সেনা কর্মকর্তার গোপন ই-মেইল প্রকাশ করে সেই সন্দেহ দূর করার চেষ্টা করেছে।
ওই সব ই-মেইল বার্তার ভাষ্য হচ্ছে, ইসলামি রীতি পালনের পরই বিন লাদেনের মরদেহ সাগরে সমাহিত করা হয়েছে।
তবে হাতে গোনা কয়েকজন কর্মকর্তা ছাড়া কোনো মার্কিন নৌসেনার পক্ষে বিন লাদেনের দাফন অনুষ্ঠান দেখার সুযোগ হয়নি। বিন লাদেন হত্যার ঘটনাটি খুবই সংবেদনশীল হওয়ায় শীর্ষ মহলের নির্দেশেই এই গোপনীয়তা রক্ষা করা হয়েছে।
মার্কিন সেনা কর্মকর্তাদের বিভিন্ন ই-মেইলথেকে এসব তথ্য জানা গেছে। মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় গত বুধবার প্রথমবারের মতো লাদেন হত্যাসংক্রান্ত এসব ই-মেইল জনসমক্ষে প্রকাশ করে।
২০১১ সালের ১ মে পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদে মার্কিন কমান্ডোদের বিশেষ অভিযানে নিহত হন বিন লাদেন। ২ মে লেখা এক মার্কিন নৌসেনার গোপন ই-মেইলে বিন লাদেনের দাফন সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্যছিল। সেখানে বলা হয়, ‘ইসলামি সব প্রথা অনুসরণ করেই’ লাদেনের দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
রিয়ার অ্যাডমিরাল চার্লস গাউট্টি তাঁর ওই ই-মেইলে লেখেন, ‘গোসলের পর মরদেহ সাদা কাপড়ে মোড়ানো হয়। এরপর একটি ভারী ব্যাগে মরদেহ রাখা হয়। একজন সেনা কর্মকর্তা আরবি ভাষায় দোয়া-দরুদ পাঠ করেন। বাক্যগুলো আরবিভাষি একজন আগেই প্রস্তুত করে রেখেছিলেন। বাক্য (দোয়া) পাঠ শেষে একটি তক্তার ওপর মরদেহটি রেখে সাগরে ভাসিয়ে দেওয়া হয়।’
ইউএসএস কার্ল ভিনসন যুদ্ধজাহাজের জনসংযোগ বিভাগের কর্মকর্তার আরেকটি ই-মেইলে বলা হয়, কার্ল ভিনসনের মাত্র কয়েকজন সেনা কর্মকর্তা ছাড়া লাদেনের দাফন সম্পর্কে আর কেউই জানতেন না।
ওবামা প্রশাসন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে স্বচ্ছ ও জবাবদিহি থাকার অঙ্গীকার করলেও ওসামা বিন লাদেনের বিষয়ে তারা সব সময় কঠোর গোপনীয়তা রক্ষা করে চলছে। এপি।

No comments

Powered by Blogger.