শিক্ষক নির্যাতন-কী জবাব দেবে রাষ্ট্র? by আবু সাঈদ খান

দেশের সামগ্রিক কল্যাণে আজ জনশক্তিকে সম্পদে রূপান্তরিত করতে হবে, তা করার ক্ষেত্রে বুনিয়াদ গড়বেন যে প্রাথমিক শিক্ষকরা_ তাদের অভুক্ত রেখে কি মানবসম্পদের উন্নয়ন সম্ভব? নীতিনির্ধারকদের সেটি মাথায় থাকলে প্রাথমিক শিক্ষকদের প্রতি এমন অন্যায় ও অমর্যাদাকর আচরণ করতে পারতেন না।


সেখানে দু'হাতে পাবলিক মানির অপব্যবহার-অপচয় হচ্ছে, ক্ষমতার বরপুত্রদের ভ্রমণে-আমোদে জনগণের অর্থের শ্রাদ্ধ হচ্ছে, সেখানে প্রাথমিক শিক্ষকদের ন্যায়সঙ্গত দাবি
এভাবে উপেক্ষিত থাকবে, তা কি সমর্থন করা যায়?

জামালপুর থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে মাদারগঞ্জ উপজেলার ঘোষেরবাড়ী গ্রাম। ১৭ মে বুধবার বাদ জোহর রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বীর মুক্তিযোদ্ধা আজিজুর রহমানকে সমাহিত করা হয় সেখানে। জাতীয় পতাকায় ঢাকা আজিজুর রহমানের কফিন সামনে রেখে পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা সামরিক কায়দায় বন্দুক উঁচিয়ে জানায় বিদায়ী সম্ভাষণ। একাত্তরের বীরযোদ্ধার জন্য যথোচিত এ সম্মান। কিন্তু দূর কল্পনাতেও কি আমরা ভাবতে পারি, সমাহিত করার ২৪ ঘণ্টা আগে মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর শাহবাগে একই পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা চড়াও হয়েছিল আজিজুর রহমানসহ হাজার হাজার বেসরকারি স্কুল-শিক্ষকের ওপর। পুলিশের বেধড়ক পিটুনি, জলকামান থেকে ছোড়া গরম পানিতে অন্য অনেকের সঙ্গে আহত হন আজিজুর রহমান। আর পুলিশি এ হামলার পরিণতিতেই মৃত্যু হয় তার। দেশ হারায় একজন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে। তার এই অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুর কী জবাব আছে রাষ্ট্রের কাছে?
আন্দোলনরত বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষকদের অনেকেই ছিলেন আজিজুর রহমানের মতো বয়স্ক। তাদের হাতে ছিল না কোনো লাঠিসোটা। তারা বাসে দিচ্ছিলেন না আগুন, কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্যও দায়ী ছিলেন না তারা। শুধু নিজেদের সামান্য পেশাগত দাবির কথা জানাতে চেয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কাছে। তাকে স্মরণ করিয়ে দিতে চেয়েছিলেন ২০০৮ সালের একটি প্রতিশ্রুতির কথা। তখন আওয়ামী লীগ ঘোষণা করেছিল, সব বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে জাতীয়করণ করা হবে। কিন্তু প্রশাসনের সহ্য হলো না তাদের শান্তিপূর্ণ উপস্থিতিও। বিনা উস্কানিতেই পুলিশ চড়াও হলো তাদের ওপর। শ্রদ্ধেয় শিক্ষকদের বেধড়ক পিটিয়ে আহত করে মৃত্যুর মুখে পাঠিয়েই তারা শান্ত হলো।
মঙ্গলবার রাতে যখন টেলিভিশনের পর্দায় নির্যাতনের সেই দৃশ্য দেখানো হচ্ছিল, তখন শিক্ষকদের মাঝে আমি আমার শৈশবের শিক্ষকদের, আমার বাবার মুখ দেখছিলাম। আমার বাবাও ছিলেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক। শুধু আমি নই; যারাই এ ঘটনাটি দেখেছেন তারাই মনে করেছেন শৈশবের শ্রদ্ধেয় শিক্ষকদের স্মৃতি। প্রত্যেকেরই মনে হয়েছে তার শিক্ষককে রাজধানীর সড়কে নির্মমভাবে পেটাচ্ছে সরকারের পুলিশ। কী দানবীয় ও মর্মান্তিক এ দৃশ্য!
এ তাণ্ডবকে পুলিশের স্বতঃপ্রণোদিত উদ্যোগ হিসেবে দেখার উপায় নেই। একথা ঠিক, পেটানোর সময় পুলিশ সদস্যদের হয়তো শৈশবের শিক্ষকদের কথা মনে পড়েনি। কিন্তু সরকার যারা পরিচালনা করেন তাদের নিশ্চয় মনে থাকার কথা শিক্ষকদের স্মৃতি। অন্তত তেমনই আশা করেন এ দেশের জনগণ। তাই কোনো বিবেচনায় সরকার এর দায় এড়াতে পারে না।
আমার জানা মতে, ঘটনার জন্য কোনো পুলিশ সদস্যকে শাস্তি দেওয়া হয়নি, তিরস্কার করা হয়নি। হয়তো তাদের এখন পুরস্কারের জন্য অপেক্ষার পালা!
আজিজুর রহমানের কথায় ফিরে আসি। নির্যাতনের পর তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। কিন্তু পুরোপুরি সুস্থ না হয়ে তিনি হাসপাতাল থেকে চলে এসেছিলেন কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে_ যেখানে অবস্থান নিয়েছিলেন আন্দোলনরত শিক্ষকরা। তার শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করে সহকর্মী বন্ধুরা তাকে বাড়িতে ফিরে যাওয়ার পরামর্শ দেন। সহকর্মীদের চাপের মুখে তিনি বাসে করে রাতে গ্রামের বাড়িতে ফেরেন। বাড়িতে পেঁৗছানোর কিছুক্ষণের মধ্যেই একাত্তরের এই বিজয়ী যোদ্ধা স্বাধীন স্বদেশে নির্যাতনে-ক্ষোভে, অপমানে জীবন থেকে বিদায় নিলেন।
আজিজুরদের ত্যাগের ফসল এই দেশে আমরা যারা বেঁচে আছি_ এটি আমাদের জন্য লজ্জার, ধিক্কারের। স্বাধীন দেশে আজিজুরের মতো মুক্তিযোদ্ধারা, শিক্ষকরা নূ্যনতম অধিকার নিয়ে বাঁচতে পারছেন না, প্রতিবাদ করতে গিয়ে হচ্ছেন নির্মম নির্যাতনের শিকার। কিন্তু কেন? এই শিক্ষকরা কি অন্যায্য কোনো দাবি করেছিলেন, যা বহনের ক্ষমতা সরকারের নেই?
বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষকদের দাবি_ বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষার জাতীয়করণ। তা করা হলে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সমান সুযোগ-সুবিধা পাবেন তারা। এখন সরকারি-বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষকদের অভিন্ন স্কেল থাকলেও বেসরকারি রেজিস্টার্ড স্কুলের শিক্ষকরা অন্যান্য সুযোগ পান না। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা শতকরা ৫০ থেকে ৬৫ ভাগ বাড়ি ভাড়া, ৭০০ টাকা মেডিকেল ভাতা পাচ্ছেন। সেখানে ২০ হাজার ৬১টি বেসরকারি স্কুলের ৮০ হাজারের অধিক শিক্ষককে দেওয়া হচ্ছে ২০০ টাকা বাড়ি ভাড়া এবং ২০০ টাকা মেডিকেল ভাতা। ৩ হাজার ১৬৯টি কমিউনিটি স্কুলের শিক্ষকদের এখন নিবন্ধনকৃত বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অনুরূপ বেতন-ভাতা দেওয়া হচ্ছে। ২ হাজার ৩০৫টি স্বতন্ত্র এবতেদায়ি মাদ্রাসার শিক্ষকদের অবস্থা আরও নাজুক। তাদের মাসিক বেতন সাকুল্যে দেড় হাজার টাকা।
এখানে উল্লেখ্য, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, রেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কমিউনিটি স্কুল ও স্বতন্ত্র এবতেদায়ি মাদ্রাসার শিক্ষকদের শিক্ষাগত যোগ্যতা অভিন্ন। সবাইকে একই কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে অভিন্ন দায়িত্ব পালন করতে হয়। পরীক্ষার ফল বিবেচনা করলে দেখা যাবে, অনেক বেসরকারি বিদ্যালয় আছে_ সেগুলোর প্রাথমিক পাবলিক পরীক্ষার ফল অনেক সরকারি বিদ্যালয়ের চেয়ে ভালো। কোনো বিবেচনায় এসব ক্যাটাগরির প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোকে আলাদা করার সুযোগ নেই। তাই যদি হয়, তবে বেতন-ভাতায় বৈষম্য কেন? ওই বৈষম্য বজায় রাখার মধ্য দিয়ে প্রতিনিয়ত মানবাধিকার হচ্ছে লঙ্ঘিত। মঙ্গলবার রাজধানীর শাহবাগে যে ঘটনা ঘটেছে তা বর্বরোচিত। অতীতে শিক্ষকদের ওপর এমন নির্যাতনের ঘটনা ঘটলে সমগ্র দেশ জ্বলে উঠত। এখন আমাদের অনুভূতি ভোঁতা হয়ে গেছে। তাই ছাত্রসমাজ গর্জে ওঠে না (তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রগতিশীল ছাত্র ঐক্য একটি মিছিল নিয়ে শিক্ষকদের পাশে দাঁড়িয়েছিল, তারপর পুলিশ কিছুটা দমে গিয়েছিল)। রাজনৈতিক দলগুলোও প্রতিবাদ জানায় না। আমরা সাংবাদিক-লেখকরাও আগের মতো সোচ্চার হই না। আমরা ভুলে গেছি, আজ শিক্ষার হার যতটুকু বেড়েছে, জনসচেতনতা যে পর্যায়ে এসেছে, সে ক্ষেত্রে প্রাথমিক শিক্ষকদের অবদানই সবচেয়ে বেশি।
শিক্ষকরা কেবল মানুষ গড়ার কারিগর নন, তারা সমাজ প্রগতির বাহক। পঞ্চাশের দশকে চারদিকে যখন ধর্মীয় গোঁড়াদের জিগির, কথায় কথায় ফতোয়া দেওয়া হতো_ তখন নিজ এলাকায় দেখেছি ধর্মান্ধতা, গোঁড়ামি, সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে যারা কথা বলতেন, তারা গ্রামবাংলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক আর বাউল-লোকশিল্পী। এই দুই মানবব্রতীরা অন্ধকারের বৃন্তে আলোকবর্তিকা জ্বেলেছেন। পাকিস্তানের দুঃশাসন, আইয়ুবের অনুগত বিডি মেম্বারদের জারিজুরি ফাঁস করে দিতেন এই শিক্ষক সমাজ। আর একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে গ্রামবাংলার অনেক তরুণ প্রাথমিক শিক্ষক অস্ত্র হাতে লড়েছেন। প্রবীণ শিক্ষকরা সংগঠক-পরামর্শক_ সহযোগীর ভূমিকা পালন করেছেন। মুক্তিযুদ্ধে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অবদানের অনেক দৃষ্টান্ত দেওয়া যাবে। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে তেমন পেশাভিত্তিক গবেষণা হয়নি। তবে আমার বিবেচনায় মুক্তিযুদ্ধে গ্রামবাংলায় দুই মহৎ পেশাজীবী হচ্ছেন কৃষক আর প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক।
প্রাথমিক শিক্ষকদের জীবনে আনন্দের বন্যা এসেছিল দু'বার। এই ঘটনা দুটির সঙ্গে জড়িত দুই মহান নেতা_ শেরেবাংলা আবুল কাসেম ফজলুল হক এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ১৯৩২-৩৫ সালে শেরেবাংলা আবুল কাসেম ফজলুল হক অবিভক্ত বাংলার প্রথম শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর বঙ্গীয় আইনসভায় প্রাথমিক শিক্ষাকে অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক করার লক্ষ্যে 'প্রাইমারি এডুকেশন বিল' পাস হয়। এর আগে জমিদারদের প্রতিষ্ঠিত স্কুল ছিল। কোনো কোনো স্থানে শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিদের প্রচেষ্টায় স্কুল পরিচালিত হতো। প্রাথমিক শিক্ষা বিল অনুমোদনের পর ওই স্কুলগুলোকে বার্ষিক অনুদান দেওয়া শুরু হয়। আমি আমার পিতামহের কাছে সেই ঐতিহাসিক ঘটনার কথা শুনেছি। হিন্দু জমিদার বাড়ির স্কুলে মুসলমান ও নিম্নবর্ণের হিন্দুদের প্রবেশ ছিল প্রায় নিষিদ্ধ। আমার দাদা বহু অপমান সয়ে জমিদার বাড়ির স্কুলে মাইনর পর্যন্ত পড়েছিলেন। অর্জিত বিদ্যা ছড়িয়ে দিতে বাড়ির কাচারি ঘরে স্কুল খুলেছিলেন তিনি। আমার শৈশবে দেখা এলাকার বৃদ্ধরা ছিলেন তার ছাত্র। সে যাই হোক, আমার দাদা শমসের আলী খান; যিনি কংগ্রেসের স্থানীয় নেতা ও কৃষক-প্রজা আন্দোলনের সংগঠক ছিলেন। হঠাৎ একদিন খবর পেলেন, তার স্কুলের জন্য হক সাহেব টাকা মঞ্জুর করেছেন। সেটি ছিল প্রাথমিক শিক্ষার ক্ষেত্রে রাষ্ট্রের প্রথম দায়িত্ব গ্রহণ। এরপর থেকে সারাদেশে নতুন নতুন স্কুল গড়ে উঠতে লাগল। ব্রিটিশ শাসন অবসানের পর পাকিস্তান কায়েম হলো। বাড়ল স্কুলের সংখ্যা। কিন্তু শিক্ষকদের ভাগ্যের পরিবর্তন হলো না। প্রাথমিক শিক্ষকরা হয়ে থাকলেন অবহেলিত।
এ অবহেলা-বঞ্চনার বিরুদ্ধে পাকিস্তান আমলে প্রাথমিক শিক্ষকরা সংগ্রাম করেছেন। কিন্তু তাদের ভাগ্যোন্নয়ন হয়নি। স্বাধীন বাংলাদেশে ১৯৭৪ সালে আরেক যুগান্তকারী পদক্ষেপ নেওয়া হয়। তখন যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ হাজারো সমস্যায় জর্জরিত। সেদিন এত সমস্যার মধ্যেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বাধীন সরকার প্রাথমিক শিক্ষা জাতীয়করণ করে। তখন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ছিল ৩৬,১৬৫টি। সব বিদ্যালয়কেই জাতীয়করণের আওতায় আনা হয়।
বিগত ৩৮ বছরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা হয়েছে প্রায় দ্বিগুণ। কিন্তু নতুন করে জাতীয়করণের আওতায় এসেছে মাত্র হাজার দেড়েক প্রাথমিক স্কুল। এর মধ্যে এক হাজার এরশাদ আমলে। জনগণের অর্থে স্বতঃস্ফূর্তভাবে গড়ে ওঠা নিবন্ধনকৃত বেসরকারি ২০ হাজার ৬১টি স্কুল শিক্ষকদের চাকরি এমপিওভুক্ত করা হলেও বাড়ি ভাড়া, মেডিকেলসহ অন্যান্য সুযোগ থেকে তারা বঞ্চিত। প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো এমন বৈষম্যের বেড়াজালে বিভক্ত থাকলে শিক্ষার প্রসার কতটুকু ঘটবে? ২০১৫ সালের মধ্যে কি সবার জন্য শিক্ষা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে?
শিক্ষার প্রসারে শিক্ষকদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধি একমাত্র করণীয় নয়, তবে এটি গুরুত্বপূর্ণ শর্ত। পৃথিবীর উন্নত দেশগুলোতে অন্য সব পেশার তুলনায় শিক্ষকদের বেতন অধিক। ফলে সেখানে মেধাবীরা শিক্ষকতায় আসছেন। ভারত ও শ্রীলংকায় শিক্ষকদের বেতন আমাদের দেশের শিক্ষকদের তুলনায় বেশি। আমাদের এখানে বেতন কম, তা আবার সবার জন্য প্রযোজ্য নয়। এই বৈষম্য প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়নে বড় বাধা। প্রাথমিক শিক্ষা বিস্তার এবং সবার জন্য শিক্ষা নিশ্চিত করতে হলে এই বৈষম্যের অবসান ঘটাতে হবে।
দেশের সামগ্রিক কল্যাণে আজ জনশক্তিকে সম্পদে রূপান্তরিত করতে হবে, তা করার ক্ষেত্রে বুনিয়াদ গড়বেন যে প্রাথমিক শিক্ষকরা_ তাদের অভুক্ত রেখে কি মানবসম্পদের উন্নয়ন সম্ভব? নীতিনির্ধারকদের সেটি মাথায় থাকলে প্রাথমিক শিক্ষকদের প্রতি এমন অন্যায় ও অমর্যাদাকর আচরণ করতে পারতেন না। যেখানে দু'হাতে পাবলিক মানির অপব্যবহার-অপচয় হচ্ছে, ক্ষমতার বরপুত্রদের ভ্রমণে-আমোদে জনগণের অর্থের শ্রাদ্ধ হচ্ছে, সেখানে প্রাথমিক শিক্ষকদের ন্যায়সঙ্গত দাবি এভাবে উপেক্ষিত থাকবে, তা কি সমর্থন করা যায়? বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষকদের এ দাবি নিয়ে কেবল তাদেরই নয়, আমাদের সবারই সোচ্চার হওয়া জাতীয় কর্তব্য।

আবু সাঈদ খান :সাংবাদিক
ask_bangla71@yahoo.com
www.abusayeedkhan.com
 

No comments

Powered by Blogger.