লোপেজ-ডিয়াজের মামা-ড্রামা

মাতৃত্বের স্বাদ সব নারীই চান। জেনিফার লোপেজও ব্যতিক্রম নন। কিন্তু কিছুতেই মা হতে পারছেন না। শেষে বাধ্য হয়ে দুটো সন্তান দত্তক নিয়েছেন। তাতেও যে আশ মেটে না! অবশেষে ঈশ্বর সত্যি সত্যি মুখ তুলে চাইলেন। মাতৃত্বের সাধ আর স্বাদ দুটোই মিটছে লোপেজের।


এই পর্যন্ত পড়ে জেলোর ভক্তরা বিভ্রান্ত হতে পারেন। লোপেজ আবার মা হতে চলেছেন নাকি? লোপেজ মা হতে পারছেন না এই খবর তো জানা ছিল না! চার বছর আগেই তো মার্কিন তারকা মা হয়েছেন, তাও যমজ সন্তানের। একটি ছেলে—ম্যাক্সিমিলিয়ান ডেভিড, একই সময় জন্ম নেওয়া অন্য সন্তানটি মেয়ে—এমে মারিবেল। তাহলে?
আসলে লোপেজের মাতৃত্বের সংকট সত্যিকারের নয়, রুপালি পর্দায়। দুই বছর আগে মুক্তি পাওয়া তাঁর সর্বশেষ ছবি দ্য ব্যাক-আপ প্ল্যান-এ সন্তানসম্ভবা মায়ের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন। ছবিটি বক্স অফিসে ঠিকমতো টেকঅফ করতে পারেনি। তবে দুই বছর পর লোপেজ আবারও যখন রুপালি পর্দায়, এবারও চরিত্রটি সন্তানসম্ভবা মায়েরই। হোয়াট টু এক্সপেক্ট হোয়েন ইউ আর এক্সপেক্টিং নামের রোমান্টিক কমেডি ধাঁচের ছবিটি মুক্তি পাচ্ছে আগামীকাল।
পরিচালক কার্ক জোন্সের এই ছবিতে আসলে আছেন ক্যামেরন ডিয়াজ, ব্রুকলিন ডেকার, ম্যাথু মরিসন, এলিজাবেথ ব্যাংকস, চেস ক্রফোর্ড, বেন ফ্যালকনসহ একঝাঁক তারকা। এমনকি আরও গুটিকয় তারকাকে স্বনামে-বেনামে ক্যামিও চরিত্রের জন্য হলেও হাজির করেছেন পরিচালক। যাঁদের মধ্যে আছেন গার্লস অ্যালাউড দলের সদস্য শেরিল কোল, ব্ল্যাক আইড পিসের ট্যাবু, দ্য হিলস তারকা হুইটনি পোর্টও।
ছবির নামটি মার্কিন দম্পতিদের জন্য খুবই পরিচিত। বিশেষ করে প্রথমবারের মতো মা-বাবা হয়েছেন বা হতে চলেছেন যাঁরা। সেসব দম্পতির জন্য পরামর্শ বই হিসেবে এই নামের একটি পুস্তক আমেরিকায় খুবই প্রচলিত। মূলত সেই বই থেকে ‘অনুপ্রেরণা’ নিয়ে বানানো হয়েছে এই ছবি। ছবির গল্পে প্রথমবারের মতো বাবা কিংবা মা হতে চলেছেন এমন পাঁচ জোড়া দম্পতিকে হাজির করা হয়েছে। এই দম্পতিরা যেসব অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হবেন, তা নিয়েই এগোবে ছবিটি। মূলত হাস্যরস। তাতে রোমান্টিক ছোঁয়া আছে, আবেগ আছে।
আগামীকাল যেসব ছবি মুক্তি পাচ্ছে তাদের মধ্যে তারকার ওজনে এই ছবিটাই সবচেয়ে ভারী। যদিও এরই মধ্যে ছবিটি নিয়ে নেতিবাচক রিভিউ করেছে হলিউডের নামকরা ওয়েবসাইটগুলো। এদের মধ্যে হলিউড রিপোর্টারের ভাষ্য, এই ছবির গল্প খুবই গতানুগতিক, অনুমেয়। হাস্যরস যাওবা আছে, সেটিও শুকনো খড়খড়ে। যে সাসপেন্সের রহস্য করার চেষ্টা হয়েছে, তা মোটেও দানা বাঁধেনি।
তবে নিন্দুকদের এসব সমালোচনায় কান না দিতে অনুরোধ করেছেন লোপেজ। বেচারার ছবিভাগ্য সুবিধার যাচ্ছে না। গান গেয়ে যে সুনাম কুড়িয়েছেন, তার কানাকড়িও মেলেনি রুপালি পর্দায়। এই ছবিটাও সেই ফাঁদে পড়ছে বলেই যখন পূর্বাভাস, সেই সময় লোপেজ বলছেন, ছবিটায় দর্শক পুরোনো অভিজ্ঞতাগুলোই নতুন করে ঝালাই করে নিতে পারবে, অভিনয় করতে গিয়ে তিনি নিজে যেমন নিয়েছেন।
‘আমার কাছে ব্যাপারটা অনেক কৌতূহলোদ্দীপক মনে হয়েছে। যেমন ধরুন, ছবিটি করার আগে দত্তক নেওয়ার ব্যাপারে আমার মনোভাব ছিল একেবারেই নেতিবাচক। সব সময় আমি নিজের গর্ভের সন্তানই চেয়েছি। নিজের সন্তানদের পেতে আমাকে অপেক্ষাও করতে হয়েছে। কিন্তু ছবিটা করার সময় আমি ইথিওপিয়ার একজোড়া যমজ শিশুকে পেলাম। সঙ্গে সঙ্গেই তাদের প্রতি গভীর ভালোবাসা জন্মাল’—বলেছেন জেলো।
ছবিটার গল্পও দর্শকদের ভালোবাসা কুড়ালেই হয়!
 রাজীব হাসান
তথ্য: বার্তা সংস্থা

No comments

Powered by Blogger.