আকবর আলি খান-নোবেলের সম্মান দেয় বিশ্ব, তা কেউ ক্ষুণ্ন করতে পারে না

সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা আকবর আলি খান বলেছেন, নোবেলের সম্মান দেয় বিশ্ব। এ সম্মান কেউ ক্ষুণ্ন করতে পারে না। জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে গতকাল শুক্রবার কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের স্বেচ্ছা রক্তদাতা সম্মাননা অনুষ্ঠানে বক্তব্যদান শেষে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নোবেল জয় সম্পর্কে একাধিক


মন্ত্রীর মন্তব্যের বিষয়ে সাংবাদিকেরা প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে আকবর আলি খান এ কথা বলেন। তিনি বলেন, জামানতবিহীন ঋণ বিতরণের মধ্য দিয়ে ক্ষুদ্রঋণের নতুন ধারণার সূচনা হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে অর্থনীতিতে নারীদের সম্পৃক্ততা বেড়েছে। দারিদ্র্য নিরসনে ক্ষুদ্রঋণ বড় ভূমিকা রেখেছে। ক্ষুদ্রঋণে কোনো লাভ হয়নি বলে যাঁরা প্রচার করেন, তাঁরা এর সঠিক চিত্র জানেন না। ঋণ নিয়ে কেউ হয়তো কম লাভবান হয়েছেন, কেউ বেশি লাভবান হয়েছেন। ক্ষুদ্রঋণের মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচনে সফলতার জন্যই বাংলাদেশে নোবেল পুরস্কার এসেছে। ইতিহাসে যাঁর যাঁর অবদান অনুযায়ী স্বীকৃতি পাবেন। একে খাটো করে দেখা যাবে না।
আকবর আলি খান বলেন, ‘রাজনৈতিক কারণে আজ কারও বিরুদ্ধে কথা বলা হয়, কাল আবার তাঁর পক্ষেই কথা বলা হয়। রাজনীতিতে শেষ কথা বলে কিছু নেই। আমাদের রাজনীতির দুর্বলতা সম্পর্কে সবাই জানে। এ রাজনীতি নিয়ে কেউ তৃপ্ত হয়েছে বলে আমার জানা নেই।’
ওই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আকবর আলি খান বলেন, ‘রক্তদান কর্মসূচির মাধ্যমে অসংখ্য মানুষকে বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব হয়। এ উদ্যোগ আমাদের মনে করিয়ে দেয়, আমরা এখনো একে অপরের ওপর নির্ভরশীল। এ নির্ভরশীলতার ওপর ভর করেই অংশীদারি জোরদার করতে হবে।’ তিনি বলেন, বাণিজ্যিকীকরণের ফলে রক্তদান কর্মসূচির মূল লক্ষ্য বাস্তবায়িত হয় না। বাণিজ্যিকীকরণমুক্ত করে একে পুরোপুরি সেবায় পরিণত করতে হবে।
বিশেষ অতিথি কামাল লোহানী বলেন, ‘রক্ত না দিলে একটি স্বাধীন দেশ পেতাম না। বাংলা ভাষা পেতাম না। আমরা বাঁচতে পারতাম না। বিদেশিরা যেভাবে আমাদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ছে, তাতে মনে হয়, আবারও বুঝি রক্ত দিতে হবে। রক্ত দিয়েই বাঁচাতে হবে, বাঁচতে হবে।’
কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের স্বেচ্ছা রক্তদান কার্যক্রমের প্রধান সমন্বয়ক মাদাম নাহার আল বোখারীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন এম এইচ শমরিতা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ এম ইউ কবীর চৌধুরী, স্বেচ্ছা রক্তদান কার্যক্রমের অনারারি পরিচালক ডা. এ কে ইউনুস, রক্তদাতা আফরোজা বেগম, নিয়মিত রক্তগ্রহীতা সালমা আকতার প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে ২৫ বার রক্তদানের জন্য ১৭ জনকে ‘গোল্ডেন রক্তদাতা’ এবং ১০ বার রক্তদানের জন্য ২০০ জনকে ‘সিলভার রক্তদাতা’ সম্মাননা দেওয়া হয়।

No comments

Powered by Blogger.