অবৈধ ব্যাংকিংয়ের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকার আহ্বান

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আতিউর রহমান বলেছেন, ব্যাংক না হয়েও যেসব প্রতিষ্ঠান ব্যাংকের মতো কার্যক্রম চালাচ্ছে, তাদের ব্যাপারে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকও ব্যবস্থা নেবে। রাজধানীর অদূরে সাভারের বিরুলিয়ার খাগাইনে ব্র্যাক সেন্টারে আয়োজিত ব্যাংকার্স সামিট ২০১২ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে আতিউর রহমান


এসব কথা বলেন। ডেসটিনির অবৈধ ব্যাংকিং নিয়ে সাংবাদিকেরা প্রশ্ন করলে তিনি এ কথা বলেন। সাবেক গভর্নর সালেহউদ্দিন আহমেদ এ সময় বলেন, শুধু সমবায় অধিদপ্তর থেকে অনুমতি নিয়ে কোনো প্রতিষ্ঠান ব্যাংকের আদলে কার্যক্রম চালাতে পারে না। জনগণের স্বার্থ রক্ষায় এমএলএম কোম্পানিগুলোকে আইনের আওতায় আনতে হবে। প্রয়োজনে যুবকের মতো অবৈধ আমানত সংগ্রহকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সম্পদ জব্দ করার পদক্ষেপ নিতে হবে।
গতকালের এই অনুষ্ঠানের মূল বিষয়বস্তু ছিল ‘বাংলাদেশে ব্যাংকিংয়ের ৫০ বছর-ভিশন ২০২১ সাল’।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আতিউর রহমান বলেন, ব্যাংকিং খাতের দুর্বলতা কাটিয়ে ব্যাংকগুলোকে আয়ের পর্যায়ে নিয়ে যেতে হবে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংক অভিভাবকের দায়িত্ব পালন করবে। গভর্নর বলেন, বর্তমানে সরকার এমন কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে, যা আগামী দিনে মধ্যম আয়ের লোকজনের জন্য সুফল বয়ে আনবে। বর্তমান অর্থনৈতিক মন্দার কারণে যে তারতম্যের সৃষ্টি হয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের হস্তক্ষেপের কারণে তার উন্নতি হবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক স্বাধীনতার পর থেকে সম্পূর্ণ এককভাবে স্বনির্ভরতার সঙ্গে ব্যাংকিং খাতকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে এবং অর্থনৈতিক গতিকে ত্বরান্বিত করছে। তিনি গ্রাহকদের দ্রুততার সঙ্গে সেবা দেওয়ার জন্য ব্যাংকগুলোর প্রতি আহ্বান জানান। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে ব্যাংক খাতের বর্তমান অবস্থা, সমস্যা, সম্ভাবনা ও ভবিষ্যৎ লক্ষ্য নিয়ে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা আকবর আলি খান, মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর মোহামঞ্চদ ফরাসউদ্দিন, ব্যাংকার মো. নুরুল আমিন, নূরে আলম চৌধুরী, মামুন রশীদ প্রমুখ।
সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আইএমএফের কাছ থেকে সরকারের ঋণ গ্রহণ করার ব্যাপারে আর্থিক স্বার্থ সুরক্ষায় দাতাগোষ্ঠীর সঙ্গে আরও সমঝোতার প্রতি লক্ষ রাখতে হবে। নতুন ব্যাংকগুলোকে চাহিদা পূরণের ব্যাপারে আরও বেশি কৌশলী ও দক্ষ ভূমিকা রাখতে হবে।

No comments

Powered by Blogger.