তালেবানরা কৌশলে আফগান বাহিনীতে ঢুকছে

আফগানিস্তানে তালেবান সদস্যরা সুকৌশলে নিরাপত্তা বাহিনীতে অনুপ্রবেশ করছে। তাই নিরাপত্তা বাহিনীতে কাউকে নিয়োগের ক্ষেত্রে তাঁর সব তথ্য পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পরীক্ষা করতে হবে। আজ শনিবার আফগান সেনাবাহিনীর শীর্ষ পর্যায়ের একজন জেনারেল এ মন্তব্য করেন।
আফগানিস্তানে গত মাসে ন্যাটো বাহিনীর ঘাঁটিতে পবিত্র কোরআন পোড়ানোর ঘটনার পর আফগান নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের গুলিতে দুই মার্কিন সেনা নিহত হন। এর পরই তালেবান অনুপ্রবেশের বিষয়টি সামনে চলে আসে। এ ছাড়া সম্প্রতি মার্কিন বাহিনীর ওপর বেশ কয়েকটি হামলার ঘটনা ঘটে। এসব হামলার সঙ্গেও আফগান বাহিনীর সদস্যরা জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে।
আফগানিস্তানের দক্ষিণাঞ্চলের শীর্ষ আফগান কমান্ডার জেনারেল আবদুল হামেদ বলেন, ‘শত্রুপক্ষ সুপরিকল্পিতভাবে দুর্বৃত্তদের নিরাপত্তা বাহিনীতে অনুপ্রবেশ ঘটাচ্ছে। তালেবান তাদের বিশেষ প্রশিক্ষণ দিচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘নিয়োগপ্রক্রিয়ার সময় গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহের সময় আমাদের অবশ্যই আরও কঠোর হতে হবে। তাদের মুঠোফোনে নজরদারি করতে হবে। আমাদের অবশ্যই খুঁজে বের করতে হবে, সেনাবাহিনীতে থাকা কারা বাইরের সঙ্গে যোগাযোগ রাখে।’ হামেদ বলেন, নতুন নিয়োগের ক্ষেত্রে জন্মসনদ ও অন্য কাগজপত্র ভালো করে খতিয়ে দেখতে হবে।
পশ্চিমা ও আফগান কর্মকর্তারা ধারণা করছেন, গত বৃহস্পতিবার গুলিতে দুই মার্কিন সেনা নিহত হওয়ার সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর অন্তত একজন সদস্য জড়িত।
আফগানিস্তানে ২০০৭ সালের মে থেকে চলতি বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত ৪২টি ‘অভ্যন্তরীণ হামলার’ ঘটনা ঘটে। এ হামলায় ন্যাটোর নেতৃত্বাধীন অন্তত ৭০ জন নিহত হয়। এসব ঘটনায় আফগান নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য এবং নিরাপত্তা বাহিনীতে অনুপ্রবেশকারী তালেবান সদস্যরা জড়িত। নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা পবিত্র কোরআন পোড়ানোর প্রতিক্রিয়ায় বা ব্যক্তিগত দুর্দশায় ক্ষুব্ধ হয়ে ন্যাটো বাহিনীর ওপর হামলা চালান। জেনারেল হামেদ জানান, অভ্যন্তরীণ হামলার ঘটনায় আফগান নিরাপত্তা বাহিনীর সন্দেহভাজন বেশ কয়েকজন সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
কান্দাহারে আফগান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মার্কিন দুই কর্মকর্তা নিহত হওয়ার ঘটনায় বিস্মিত ন্যাটো। এই হামলার দায় স্বীকার করেছে তালেবান। তবে নিরপেক্ষ কোনো সূত্র থেকে এ বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়নি। রয়টার্স।

No comments

Powered by Blogger.