সময়ের প্রতিবিম্ব-এদ্দিনে হ্যারা জাগছে by এবিএম মূসা

এই প্রতিবেদনটি যখন লিখছি তখন তারেক আর মিশুকের মৃত্যুর প্রায় দুই সপ্তাহ পার হয়ে গেছে। ১৩ আগস্ট শনিবার তাঁরা নিহত হলেন, সরাসরি বলা উচিত, সড়কপথে খুন হয়েছেন। ইতিমধ্যে এই মৃত্যু অথবা হত্যা যা-ই বলি না কেন, তার জের অনেক দূর গড়িয়েছে।


এই মৃত্যুর মর্মান্তিকতা নিয়ে অনেক বিজ্ঞজন পত্রিকায় কলাম লিখেছেন, টেলিভিশনে, টক শোতে আলোচনা করেছেন। মানববন্ধন হয়েছে তাঁদের মৃত্যুর পরদিন। তারও পরের কয়েক দিন সব দৈনিকের প্রথম পাতাজুড়ে ছিল মৃত্যুর পরের শোকাবহ প্রতিক্রিয়ায় বিশিষ্টজনদের বক্তব্য। প্রায় সব টিভি চ্যানেলে ছিল মর্মস্পর্শী আলোচনা। জাতীয় সংসদ আলোচনা-সমালোচনার ঝড়ে উত্তাল হয়েছে। তাঁদের মৃত্যু ঘটনার আদ্যোপান্ত বিশ্লেষণের মূল বিষয় ছিল আমাদের যোগাযোগব্যবস্থা। বহুল আলোচিত হয়েছে সড়ক-জনপথের বেহাল অবস্থা। তিন মন্ত্রী পরস্পরবিরোধী বক্তব্য দিয়েছেন, কিছু সাফাই গেয়েছেন। সাধারণ মানুষের ক্ষোভ ও শোকের ব্যাপক বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। প্রধানমন্ত্রী, বিরোধীদলীয় নেত্রী, রাজনৈতিক নেতা ও মন্ত্রীরা শোকবাণী দিয়েছেন।
কালক্রমে দুই হপ্তা না পেরোতেই সেসব খবর স্তিমিত হয়ে গেছে। পত্রিকার বার্তা সম্পাদক তারেক-মিশুককে নিয়ে গেলেন শেষ পৃষ্ঠায়, অতঃপর ভেতরের পাতায়। তারপর তাঁদের মৃত্যু আর নিত্যদিনের খবর রইল না। টেলিভিশনের টক শোতেও তাঁদের নিয়ে আলোচনা স্তিমিত হয়ে গেছে। কালক্রমে বিস্মরণের আবরণে এই মরণ ঢাকা পড়ে যাবে। তবে এক বছর পর হয়তো, ‘যথাযথ মর্যাদার’ সঙ্গে তাঁদের ‘অকালপ্রয়াণ দিবস’ পালিত হবে। রোববার মধ্যরাতে ‘বাংলাভিশন’-এ সংবাদ পরিক্রমায় নিয়ে আলোচনায় শ্রোতাদের কাছে মার্জনা চেয়ে নিষ্ঠুর সত্যটি এভাবে বলেছি, ‘আবার কোনো তারেক-মাসুদের সমপর্যায়ের অথবা অতীব মর্যাদাসম্পন্ন প্রতিভাকে কোনো সড়কে একটি যন্ত্রদানব চাপা দিয়ে মারবে। তখন আবার শোকের বন্যা বয়ে যাবে। পত্রিকার কোনো সংবাদ প্রতিবেদক টেলিফোনে বা সরাসরি আমার প্রতিক্রিয়া জানতে চাইবেন। প্রশ্ন করবেন, ‘আমরা এক বছর আগে তারেক-মিশুককে হারিয়েছি। যে পরিস্থিতিতে, যে গাফিলতি অথবা দায়িত্ববানদের ব্যর্থতার কারণে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছিল, সেসবের কি কোনো প্রতিকার হয়েছে? কারণগুলোর অবসান ঘটেছে? উত্তরটি জানার জন্য প্রথম আলোর একটি জনমত জরিপের অপেক্ষায় রইলাম।
প্রথম আলোয় স্নেহভাজন আনিসুল হক প্রশ্ন করেছেন, ‘ক্ষুব্ধ মানুষের কথা কি শুনতে পাচ্ছেন?’ আনিসকে সেলফোনে প্রশ্ন করেছি, কাকে কী শুনতে বলেছ অথবা শোনাতে চেয়েছ? কে তারেক-মিশুকের মৃত্যুর জন্য দায়ী তা-ই কি জানতে চেয়েছ? যাঁকে অথবা যাঁদের প্রশ্ন করেছ, তাঁর নাম উল্লেখ করোনি। কিন্তু একটুখানি আভাস রয়েছে তোমার পত্রিকার তৃতীয় পাতায় ‘মন্ত্রিসভার বৈঠকে শোকপ্রস্তাব। প্রধানমন্ত্রী সড়ক দুর্ঘটনা রোধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নির্দেশ দিয়েছেন।’ বাক্যটি পড়ে আমি অবাক হয়ে ভাবছি, স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীকে কেন যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বা মন্ত্রীকে নির্দেশ দিতে হবে?
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নটি হচ্ছে, তারেক-মিশুকের মৃত্যু না হলে সড়ক-জনপথের বেহাল অবস্থার এই চিত্র কি পত্রিকার পাতায় ও টেলিভিশনের ক্যামেরার মাধ্যমে দেখতাম! প্রধানমন্ত্রী সড়ক-জনপথের এই বেহাল অবস্থা জানতে পারতেন? মন্ত্রীকে ডেকে পাঠাতেন? অথচ প্রথম আলোর মূল খবরেই তো আছে, ‘এক যুগে ১৯৯৯ থেকে ২০১০ পর্যন্ত সারা দেশে দুর্ঘটনায় মারা গেছে ৩৮ হাজার লোক, আহত হয়েছে ৩৫ হাজার। সরকারের একটুখানি টনক নড়েছিল মিরসরাইয়ে অদক্ষ চালকের কারণে ৩৯ ছাত্রের মৃত্যুর পর। আবার ক্ষুব্ধ জনতা কিছুক্ষণের জন্য তারা সড়ক অবরোধ করলে কিঞ্চি ৎ সংকটের সৃষ্টি হয়। ব্যস, ওইটুকুই, দুর্ঘটনার অথবা কখনো-সখনো চালকের হত্যার শিকার সেসব দুর্ভাগা স্বজনের আহাজারি কালক্রমে চাপা পড়ে যায়। এখন মন্ত্রীরা সড়ক-জনপথের বেহাল অবস্থার কেন সেই কৈফিয়ত দিয়েছেন শুধু তারেক-মিশুক নিহত হওয়ার পর। এসব খবর পড়ে আমার এক পাঠক টেলিফোনে জানতে চেয়েছেন, আর কত তারেক-মিশুকের প্রাণ ঘাতক যন্ত্রদানবের চালক খুন করলে ‘দুর্ঘটনা রোধে’ অথবা নিরাপদ সড়ক গড়ে তুলতে প্রধানমন্ত্রীকে নির্দেশ দিতে হবে?
বস্তুত তারেক-মিশুকের হত্যাকাণ্ডের পরের শোকবিহ্বল অবস্থা কাটিয়ে উঠে, আবেগের অবসান ঘটিয়ে সড়ক দুর্ঘটনার সামগ্রিকভাবে সরকার আর ব্যক্তিগত পর্যায়ে কতিপয় মন্ত্রীর দায়ভার নিয়েই আলোচনা করতে হবে। কতিপয় মন্ত্রীর অদ্ভুত আর অমানবিক আচরণজনিত বাক্যালাপ শুনলাম, পত্রিকার পাতায় পড়লাম। এ বলেন উনি দায়ী, ইনি বলেন তেনাকে জিগান। যোগাযোগমন্ত্রী বলেন অর্থমন্ত্রী টাকা ছাড় দেননি। দেশের ভেতর রাস্তাঘাটের বেহাল অবস্থা দূর করতে, মরণফাঁদ রাস্তার মাঝের মৃত্যুকূপ বন্ধ করতে মাত্র কয়েক শ কোটি টাকা পাওয়া যায়নি। এদ্দিন এ টাকাপয়সার ব্যাপারটা জানা যায়নি। গত এক বছর তো খবরের পাতা দখল করেছিল পদ্মা সেতুর জন্য হাজারো কোটি টাকা জোগাড় করতে সরকারের আন্তরিক সব প্রচেষ্টার খবর। তবে বৃহদাকারের সেতু পরিকল্পনায় বিদেশিরা টাকা দেবে। অর্থমন্ত্রী অভ্যন্তরীণ অর্থ জোগাড়ব্যবস্থা করবেন। এবার মহাসড়কের গর্ত পোরানোর আর বাঁক সোজা করার এবং রাস্তা দুই ভাগ করার ডিভাইডারের জন্য অর্থমন্ত্রী তা ৎ ক্ষণিকভাবে অর্থ ছাড় দেবেন। কারণ, প্রধানমন্ত্রী ‘নির্দেশ দিয়েছেন’ তারেক-মিশুকের মৃত্যু যোগাযোগমন্ত্রীকে ত ৎ পর করেছে। অন্যদিকে আমাদের নৌপরিবহনমন্ত্রী যন্ত্রদানবের নিচে পিষ্ট করে মানুষ মারার লাইসেন্স দেওয়ার সুপারিশ করেছেন। তিনি বলেছেন, চালক মানুষ ও গরু-ছাগল চিনলেই হলো। কী নিষ্ঠুর রসিকতা! প্রসঙ্গান্তরে আলোচনা করা যেতে পারে তাঁর নৌপরিবহনের মালিক আর চালকেরা গরু-ছাগলের মতো গাদাগাদি করে লঞ্চ-ইস্টিমারে যাত্রী পরিবহন করেন। তিনি গরু-ছাগল চেনাতে চান, সারেংদের ডুবোচর চেনানোর ব্যবস্থা করতে পারেন না।
অন্য অনেকের মতো আমি মন্ত্রীদের ব্যর্থতার জন্য পদত্যাগ দাবি করি না। কারণ, প্রধানমন্ত্রী যাঁদের স্থলাভিষিক্ত করবেন, তাঁরাও হয়তো কোনো ‘নির্দেশের’ অপেক্ষায় থাকবেন, অর্থ মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দের জন্য চিঠি চালাচালি করবেন। বিদায়ী মন্ত্রী তবু গরু-ছাগল চেনাচ্ছেন, নতুন মন্ত্রী কুকুর-বিড়াল চেনাবেন। এরই মাঝে দুর্ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা ৩৮ হাজার ছাড়িয়ে লাখে পৌঁছাবে। অনেক মায়ের সন্তান, পুত্রের পিতা, স্বামী বা স্ত্রী শুধু হিসাবের সংখ্যা বাড়াবেন। ব্যতিক্রম ঘটবে শুধু তারেক-মিশুকের মতো কারও সড়কে অপঘাতে মৃত্যু হলে পৃষ্ঠাব্যাপী আবার খবর ছাপা হওয়ার পর?
তারেক-মিশুক সংবাদপত্রের পুরো পৃষ্ঠাজুড়ে খবর হওয়া তাই বলে একেবারে বৃথা যায়নি। তাঁদের মৃত্যু হয়েছে বলেই রাস্তা সংস্কার নিয়ে এত ক্ষোভ, সমালোচনা আর ধিক্কার। তড়িঘড়ি করে রাস্তা মেরামত হচ্ছে। মন্ত্রী তথা ইউনিয়ন নেতা শাজাহান খানের গরু-ছাগল চিনতে পারা চালকেরা ভাঙা রাস্তায় আবার গাড়ি চালাচ্ছেন। আরও ব্যতিক্রমী ঘটনার উদ্ভব ঘটিয়েছে তারেক-মিশুকের বলিদান। সংসদে প্রায় নির্বাক সরকারি দলের সদস্যরা সবাক হয়ে ক্রুদ্ধ প্রতিক্রিয়ার তুফান বইয়ে দিয়েছেন। নিজ দলের মন্ত্রীদের অযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন, পদত্যাগ দাবি করেছেন। প্রসঙ্গত, আমাদের যে একটি বিরোধী দল আছে, তাদের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা বাদ যাবে কেন? ব্যাখ্যা করে বলছি, তাদের অস্তিত্ব বোঝা যায় শুধু মাঝেমধ্যে অর্থহীন অকেজো হরতালে আর গণমাধ্যমে বিবৃতি পড়ে-শুনে অথবা নিজের কর্মীদের আয়োজিত আলোচনা সভায় আর পল্টনের প্রধান কার্যালয়ের সামনে তর্জন-গর্জনের মাধ্যমে। তারা যদি সেদিন সংসদে থাকতেন তারেক-মিশুকের মৃত্যু আর মন্ত্রীদের দায়িত্বজ্ঞানের অভাব অথবা অকর্মণ্যতা নিয়ে আরও তুমুল বিতর্ক হতে পারত, এমনকি সংসদকক্ষের দু-চারটি ফাইল ছোড়াছুড়ি হতো। তাঁরা উপস্থিত থাকলে হয়তো একটি অবাক করা দৃশ্য দেখতাম বিটিভিতে সরাসরি সম্প্রচারকৃত দৃশ্যে। সেই বিরল দৃশ্যটি হতো সরকারি আর বিরোধী দলের সংসদ সদস্যদের একসুরে ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ। জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণ করে ঐকমত্যের রাজনীতির বিরল একটি দৃষ্টান্ত স্থাপিত হতো।
এবার তারেক-মিশুকের মৃত্যুর পরবর্তী কয়েকটি ঘটনার উদ্ভবের ধারাবাহিকতা নিয়ে একেক করে আলোচনা করব। এক. সাংস্কৃতিক জগতের দুই প্রিয় ব্যক্তিত্বের মৃত্যুর কারণে শুধু যোগাযোগমন্ত্রীর দায়-দায়িত্ব নয়, অর্থ ও নৌপরিবহনমন্ত্রীও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এসেছেন। নৌমন্ত্রীর ঔদ্ধত্যপূর্ণ সব মন্তব্য, গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার আর ঘাতক চালকদের অযোগ্যতার পক্ষে অনন্য সাফাইও সর্বত্র আলোচিত হয়েছে। আগেই বলেছি, তাঁর নিয়ন্ত্রণাধীন মন্ত্রণালয়ে প্রতিবছর নদীপথে হাজারো নারী-পুরুষ-শিশু ডুবে মরে, কিন্তু এমন প্রতিবাদের উত্তাল ঝড় বয়ে যায়নি। দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের একটু-আধটু ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটে মাত্র। দুই. এত দিন ধরে যাঁরা তোতা পাখির মতো শুধু ‘ইয়েস নেত্রী’ বলে সংসদে বর্তমান সরকারের সব ব্যর্থতা চাপা দিয়েছেন, সাফাই গেয়ে সব দায় অতীত সরকারের ওপর চাপিয়ে দিয়েছেন, তাঁরা সত্যিকারের জনপ্রতিনিধির পরিচয়ে সোচ্চার হয়ে উঠেছেন। তাঁরা গত আড়াই বছরের ‘সবই ভালো, সবকুচ কবজা মে হায়’-জাতীয় বক্তব্যের মূল ধারা থেকে সরে এসে প্রত্যক্ষভাবে মন্ত্রীদের প্রকারান্তরে সরকারের ওপরই দোষ চাপিয়েছেন। ভালো লাগল, যা নিয়ে আমরা এত দিন আফসোস করেছি বহু বছর পরে আমরা ‘টেলিভিশনে’ সেই কার্যকর সংসদের একটি চেহারা অন্তত একদিন দেখলাম। নতুন করে উপলব্ধি করলাম পল্টনভিত্তিক মিছিল করে আর গণমাধ্যমে বিবৃতি দিয়ে অস্তিত্ব জানান দেওয়া জাতীয়তাবাদী দলের সদস্যদের সংসদ বর্জনই আমাদের সংসদীয় গণতন্ত্রের অকার্যকারিতার জন্য দায়ী।
সরকারি দলের সাংসদেরা এত দিন পর জনগণের জন্য তাঁদের দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন হয়েছেন। তবে তাঁদের বলছি, সচেতনতা তাঁরা কিন্তু সঠিকভাবে পরিপূর্ণ আকারে প্রকাশ করতে পারেননি। আমাদের সংবিধানের ৫৫ অনুচ্ছেদে (২) উপঅনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘মন্ত্রিসভা যৌথভাবে সংসদের নিকট দায়ী থাকিবেন।’ মন্ত্রিসভা বলতে কী বোঝানো হয়েছে! অনুচ্ছেদ ৫৫ উপঅনুচ্ছেদ (১), দ্বিতীয় পরিচ্ছেদের শুরুতেই বলা হয়েছে, ‘প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি মন্ত্রিসভা থাকিবে। প্রধানমন্ত্রী ও সময়ে সময়ে তিনি যেরূপ স্থির করিবেন সেইরূপ অন্যান্য মন্ত্রী লইয়া এই “মন্ত্রিসভা” গঠিত হইবে।’ সারকথা হলো, সেসব মন্ত্রীকে দায়ভার থেকে মুক্ত হতে প্রধানমন্ত্রীকে শুধু মন্ত্রীদের ডেকে পাঠালে হবে না, তাঁদের কাজের নিয়মিত কৈফিয়ত নিতে হবে। একজন ব্যক্তি-মন্ত্রীর ব্যর্থতার জন্য জনগণ সামগ্রিকভাবে সরকারের ও প্রধানমন্ত্রীরই সমালোচনা করে।
বরিশাল থেকে আমার এক সমঝদার পাঠক টেলিফোনে একটি মোক্ষম কথা বললেন, দেখার জন্য ‘তারেক-মিশুকের জনগণের জন্য মরণোত্তর অবদান হচ্ছে, ‘এদ্দিনে হ্যারা Zাগছে (জাগছে)। অন্তত যোগাযোগব্যবস্থার এই হালহকিকতের জন্য যাঁরা দায়ী অন্তত হ্যারা জাগছে।’ তাঁর পুরো মন্তব্য ছিল, বিদ্যুতের বেহাল অবস্থা, পানির জন্য হাহাকার, ডাল-চিনি-তেলের আকাশছোঁয়া দামের কারণে সাধারণ মানুষের অশ্রাব্য মন্তব্য তাঁদের যতখানি জাগাতে পারেনি, তারেক-মিশুকের মর্মান্তিক মৃত্যু তার চেয়ে বেশি জাগিয়েছে। এখন অপেক্ষা করব, কত দিন তাঁরা জেগে থাকবেন তা দেখার জন্য।
এবিএম মূসা: সাংবাদিক ও কলাম লেখক।

No comments

Powered by Blogger.