র ঙ বে র ঙ-রহস্যময় সাদা ঘোড়া

মানুষ যে সৃষ্টির সেরা জীব_ এ বিষয়ে কারও কোনো সন্দেহ নেই। ধর্মগ্রন্থগুলোতেও মানুষকে জগতের সব প্রাণীর মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ জীব বলেই উল্লেখ করা হয়েছে। সর্বশ্রেষ্ঠ বলেই বোধ হয় নিজেদের বিবেক-বুদ্ধি আর সৃষ্টিশীল কর্ম দিয়ে জগৎটাকে গড়ে তুলেছে বাসযোগ্য করে। প্রযুক্তির উৎকর্ষে মানুষ পৃথিবী ছেড়ে এখন চন্দ্রপৃষ্ঠে বসবাসের স্বপ্ন দেখার সাহস পাচ্ছে। মানুষের এ স্বপ্ন দেখা কিন্তু সহসাই শুরু হয়নি। বলা যায়, সৃষ্টির প্রথম থেকেই মানুষ স্বপ্ন দেখে।


এদের মধ্যে কারও কারও স্বপ্ন আবার বাস্তবে প্রতিফলিত হয়। ভবিষ্যতের কথা বলা লোকের সংখ্যাও পৃথিবীতে কম জন্ম হয়নি। সবই যেন সৃষ্টিকর্তার লীলাখেলা। মানুষকে তিনি সৃষ্টি করেছিলেন সর্বগুণে গুণান্বিত করে। যা-ই হোক, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মোরমোন নামে এক জাতি ছিল, যারা নারী-পুরুষের বহুবিবাহে বিশ্বাস করত। এ জাতিগোষ্ঠীর প্রধান ব্যক্তি ছিলেন জোসেফ স্মিথ। তিনি ভবিষ্যদ্বক্তা বলেই সবার কাছে পরিচিত ছিলেন। ১৮৪৩ খ্রিস্টাব্দে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণী করেন। জোসেফ স্মিথ একটি সাদা ঘোড়ার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বলেন, পৃথিবীতে এমন এক সময় আসবে, যখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রকি পর্বতমালা থেকে এক সৎ ও মহান ব্যক্তির আবির্ভাব ঘটবে। রহস্যময় সাদা ঘোড়া সম্পর্কে তিনি যে বক্তব্য দিয়েছিলেন, তার সঙ্গে সেন্ট জনের ঈশ্বরলব্ধ দিব্যজ্ঞান সম্পর্কিত বক্তব্যের যথেষ্ট মিলও রয়েছে। যা-ই হোক, জোসেফের মতে, যুক্তরাষ্ট্রের শাসনতন্ত্র এমন এক বিনি সুতার সঙ্গে ঝুলে আছে, যা যে কোনো সময় ছিঁড়ে যেতে পারে। কিন্তু এখনও না ছেঁড়ার কারণ হলো ওই সাদা ঘোড়াটি। প্রাণীটিই রক্ষাকর্তা হিসেবে দেশটির মানুষদের আগলে রেখেছে।
আমেরিকার ভূমিতে এক সময় এমন এক ভীতিকর বিপ্লব সংঘটিত হবে, যা আগে কেউ কখনও দেখেনি। আর সে সময় পাপাচারে নিমজ্জিত হবে পুরো দেশ। কেউ কাউকে মান্য করবে না, শুনবে না কেউ কারও কথা; মা মেয়ের বিরুদ্ধে দাঁড়াবে, মেয়ে দাঁড়াবে মায়ের বিরুদ্ধে। পিতার বিরুদ্ধে পুত্র এবং পুত্রের বিরুদ্ধে পিতা দাঁড়িয়ে যাবে। চারদিকে হত্যা, খুন, জখম, ধর্ষণ বেড়ে যাবে। স্মিথ আরও বিশ্বাস করতেন, আমেরিকার শাসনতন্ত্র স্বয়ং ঈশ্বরের হাতে লেখা। তিনিই মোরমোন জাতির রক্ষাকর্তা। বলা যায়, উনিশ শতকের শেষ দিকে তাকেই আমেরিকার ভবিষদ্বক্তা হিসেবে ধরা হতো। স্মিথের এ ভবিষ্যদ্বাণী আদৌ সত্য হয়ে ফলবে কি-না, তা আগামী প্রজন্ম বলতে পারবে। তবে আমরা এ কথাটুকু বলতে পারি, শুধু আমেরিকা নয়, সারাবিশ্বেই পাপাচার বেড়ে গেছে। হত্যা, খুন, ধর্ষণও বেড়ে গেছে ব্যাধির মতো।
হ ঋতা আলম
 

No comments

Powered by Blogger.