গেম রিভিউ-ডেড রাইজিং টু by আমিনুর রহমান

অ্যাকশন রোল প্লেয়িং ধাঁচের গেমগুলোর মধ্যে ডেড রাইজিং সিকুয়েল অন্যতম। ডেড রাইজিং সিকুয়েলের সবশেষ পর্ব ডেড রাইজিং ২ বাজারে আসে ২০১০ সালের সেপ্টেম্বরে। ক্যাপকম এবং বল্গু-ক্যাসেলের যৌথভাবে ডেভেলপ করা গেমটি এককভাবে পাবলিশ করে ক্যাপকম। গেমটি একাধারে পিসি, প্লে-স্টেশন ৩ এবং এক্সবক্স ৩৬০-তে খেলার উপযোগী।কাহিনী : ডেড রাইজিং ২ পর্বটি গেমটির আগের পর্বের কাহিনীর সঙ্গে মিল রেখেই বানানো হয়েছে।


মূল চরিত্র মোটোক্রস চ্যাম্পিয়ন চাক গ্রিনি। কাহিনী গড়ে উঠেছে আগের পর্বের সময়কাল থেকে ৫ বছর পরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে। গেমের শুরুতেই দেখা যাবে চাক গ্রিনি ভয়ঙ্কর একটি রিয়েলিটি টিভি শো টেরর ইজ রিয়েলিটি সিরিজে অংশগ্রহণ করে। এখানে প্রতিযোগীদের একটি নির্দিষ্ট এলাকায় জম্বিদের [মৃত মানুষ] মারতে হবে এবং নিজেকে রক্ষা করতে হবে। যে যত জম্বি মারতে পারবে সে তত টাকা ও জনপ্রিয়তা পাবে। ইচ্ছা না থাকা সত্ত্বেও ছোট মেয়েকে বাঁচানোর জন্য অনেক টাকার প্রয়োজন হওয়ায় চাক এই ভয়ঙ্কর গেম শোতে অংশ নিতে বাধ্য হয়। প্রথমদিকে চাকের স্ত্রী জম্বিদের কামড়ে জম্বিতে রূপান্তরিত হয়। কিন্তু মারা যাওয়ার আগে মেয়েকে কামড়ে দেয়। ধীরে ধীরে চাকের মেয়েও জম্বিতে পরিণত হতে শুরু করে। তবে চাকের অক্লান্ত প্রচেষ্টায় তাৎক্ষণিকভাবে জম্বরেক্স প্রতিষেধক দিয়ে মেয়েকে আপাতত সুস্থ করে তোলে। পুরোপুরি সুস্থ করার জন্য প্রয়োজন আরও জম্বরেক্স প্রতিষেধক। যেগুলো বেশ দামি ও দুর্লভ। অনেক টাকার প্রয়োজন হয় সেই ওষুধ কেনার জন্য। গেম শোতে বিজয়ী হয়ে সে বিশাল অঙ্কের টাকা জিতে নেয়। কিন্তু তখনই অজ্ঞাত কারণে এক বিস্ফোরণের ফলে জম্বিরা মুক্ত হয়ে যায় এবং দোষ পড়ে চাকের। গেমারকে এখানে খেলতে হবে চাকের ভূমিকায়। লড়াই করতে হবে জম্বিদের বিরুদ্ধে, উদ্ধার করতে হবে আটকেপড়া মানুষদের এবং নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে হবে। জম্বিদের বিরুদ্ধে ভারী অস্ত্র ও বিস্ফোরকের পাশাপাশি চেয়ার, টেবিল, পাইপ অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। মাল্টি ও সিঙ্গেল প্লেয়ার মোডে খেলা যাবে। যা যা লাগবে :ইন্টেল কোর ২ ডুও ৩.০ গিগাহার্জ প্রসেসর, ৫১২ মেগাবাইট গ্রাফিক্স কার্ড, ১ গিগাবাইট র‌্যাম, ৮ গিগাবাইট হার্ডডিস্ক স্পেস এবং ডাইরেক্ট এক্স-৯সি।

No comments

Powered by Blogger.