রঙ রঙা রঙ...

সাদাকালো ড্রয়িংটা ছেপে দিয়ে তোমাদের বলেছিলাম তাতে ইচ্ছেমতো রঙ করে দিতে। আরও বলেছিলাম, রঙ করতে করতে যা যা ভাবলে_ তা লিখে জানাতে। তোমরা তো একেকজন আজব আর্টিস্ট। তাই তোমাদের রঙ পেয়ে একেকজনের ছবিটা একেকরকম রঙিন হয়ে উঠেছে। সেখান থেকে পাঁচটা ছেপে দিলাম। যাদেরগুলো ছাপা হলো না, তারা আবার রাগ করো না যেন\\পিকু আর ফিকু\সায়মা মোরিয়ম


\আমাদের বাসায় অনেক টিকটিকি আছে। ওরা দেয়ালে থাকে। দেয়ালে যতো পোকা-মাকড় এসে বসে, সেগুলোকে শিকার করে খায়। এভাবেই টিকটিকিগুলো বেঁচে থাকে।একদিন সন্ধ্যায় আমি পড়তে বসেছিলাম। হঠাৎ আমার হাত থেকে বাংলা বইটা পড়ে গেলো টেবিলের নিচে। আমি বইটা তুলতে গিয়ে দেখি টেবিলের নিচে দুটো ছোট ছোট সাদা কী যেন দেখা যাচ্ছে। এগুলো ছিলো টেবিলের এক কিনারে। তাই ওটা কী তা ভালো করে বোঝা যাচ্ছিলো না। আমি একটু এগিয়ে গিয়ে দেখি ওগুলো দুটো ছোট ছোট ডিম। ডিম দেখে তো আমি অবাক! কিসের ডিম_ তা বুঝতে না পেরে মাকে ডাকলাম। মা ভালো করে দেখে বললেন, ওগুলো টিকটিকির ডিম। তারপর থেকে আমি রোজ একবার করে ডিমগুলো দেখতাম। একদিন টেবিলের নিচ থেকে একটা শব্দ ভেসে এসেছিলো। তারপর আমি সঙ্গে সঙ্গে টেবিলের নিচে তাকিয়ে দেখি ডিমগুলো নড়ছে। বুঝতে পারলাম ডিম ফুটে বাচ্চা বের হওয়ার সময় হয়ে গেছে। তার কিছুক্ষণের মধ্যে ডিম ফুটে দুটো ছোট ছোট টিকটিকির বাচ্চা বের হলো। তারপর ওদের খাবার খেতে দিলাম ও ওদের নাম রাখলাম পিকু ও ফিকু। কিছুদিন পর ওরা শিকার করতে শিখলো। তারপর আস্তে আস্তে ছয় মাস কেটে গেলো। ছয় মাস পর ওরা বেশ বড় হয়ে গেলো এবং আমার খুব ভালো বন্ধু হয়ে গেলো।
[বয়স : ৬+৫ বছর; পঞ্চম শ্রেণী, সাউথ হেরাল্ড ইংলিশ স্কুল]
 

No comments

Powered by Blogger.