বিজ্ঞান সংবাদ-চাঁদে চলাফেরায় স্কি শেখা জরুরি!

৯৬৯ সালের ২১ জুলাই চন্দ্রে প্রথম মানুষের অবতরণ। এ যেন বিজ্ঞানীদের এক বিপ্লব_ মহাকাশ জয়ের ক্ষেত্রে। তারপর মঙ্গলগ্রহ, প্লুটো, কত কি ! আর এ অনুসন্ধান প্রক্রিয়াকে সহজ ও সাবলীল করায় বিজ্ঞানীরা পিছিয়ে নেই। ১৯৭২ সালে চন্দ্রে ভ্রমণকারী এমনই একজন নভোচারী 'হ্যারিসন সামিট', যিনি অ্যাপোলো-১৭-এর ক্রু ছিলেন। তিনি বলেন, চন্দ্রে কোনো নভোচারী যাওয়ার আগে তাকে অবশ্যই স্কি (চাকাবিশিষ্ট জুতা বা স্কেট) করার কলা-কৌশলগুলো


শিখে নেওয়া উচিত। সম্প্রতি সানফ্রানসিসকোতে বিজ্ঞানীদের এক সম্মেলনে তিনি একথা বলেন। তিনি আরও বলেন, তার স্কিং করার দক্ষতা ছিল বিধায় চন্দ্রের বুকে অনায়াসে চলাফেরা করতে পেরেছেন এমনকি পাথর, টিলা ধূলিকাময় বালুর ওপর দিয়েও। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্পেস এজেন্সি নাসা-২০২০ সালের মধ্যে চন্দ্রে মানুষ পাঠাবে বলে ঘোষণা দিয়েছে, এ লক্ষ্যেই সামিট বিজ্ঞানীদের উদ্দেশে বলেন, 'যখন আপনি চন্দ্রের বুকে স্কেট ব্যবহারের মাধ্যমে চলাফেরা করবেন তখন আপনি এ চলার মধ্যে আলাদা এক ধরনের ছন্দ খুঁজে পাবেন। আর এটা ছাড়া আপনাকে সেখানে পা টিপে টিপে চলাফেরা করতে হবে, যা আপনার জন্য কষ্টকর।'
আমেরিকান অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য অ্যাডভান্সমেন্ট অব সায়েন্সের বার্ষিক সম্মেলনে ড. সামিট তার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে বলেন, 'চাঁদে অভিকর্ষ পৃথিবীর ৬ ভাগের এক ভাগ, চাঁদের বুকে বালু বা কোনো ধ্বংসাবশেষের স্তূপ রয়েছে সেগুলো খুবই নরম। আপনি সেগুলো আপনার পায়ের গোড়ালি দিয়েই খনন করতে পারবেন। বিশেষ কোনো যন্ত্রপাতি লাগবে না। আপনারা শুনে বিস্মিত হয়ে যাবেন যে, কত দ্রুত আমি সেখানে চলাফেরা করেছি।' ভূতত্ত্ববিদরা গণনা করে দেখেছেন, সামিট ঘণ্টায় ১০ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে চলেছেন। তিনি মনে করেন, এ দ্রুততাই তাকে চাঁদের বুকে সবচেয়ে দ্রুততম মানব হিসেবে পরিণত করেছে।

No comments

Powered by Blogger.