নিয়োগবাণিজ্য! চট্টগ্রামে কোন্দলে জড়িয়ে পড়েছেন রেলশ্রমিক লীগের নেতারা by ওমর ফারুক

রেল শ্রমিকলীগের নিয়োগবাণিজ্য ওপেন সিক্রেট হয়ে পড়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে রেলেও বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে নিয়োগে রেল শ্রমিকলীগের ৯৮১ নিয়োগপ্রাপ্ত হওয়ার খবর বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। এ নিয়োগবাণিজ্যে রেল শ্রমিকলীগের একাংশের নেতারা জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে। এ অভিযোগসহ বিভিন্ন জেরে অভ্যন্তরীণ কোন্দলে জড়িয়ে পড়ছেন রেল শ্রমিকলীগের একাংশ ও রেলওয়ে শ্রমিক কর্মচারী সংগ্রাম পরিষদের নেতারা। এ নিয়ে মারামারি, হাতাহাতির মতো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটছে প্রতিদিন।
শ্রমিকলীগের সভাপতি হুমায়ুন কবিরের ভাই ও গুডসের কার্ক সুমনের নেতৃত্বে সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক মোখলেছুর রহমানের ওপর হামলার ঘটনায় রেলের বিভিন্ন শাখায় চলছে মিছিল-সমাবেশ। সংগ্রাম পরিষদের বিভিন্ন দাবির মধ্যে সুমনসহ দোষীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নিলে কঠোর কর্মসূচির হুমকিও দিয়েছেন নেতারা। তবে এ বিষয়ে জিএম (পূর্ব) বরাবরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে কর্মচারী সংগ্রাম পরিষদ। এর আগে শ্রমিকলীগ নেতারা নিয়োগে সুযোগ-সুবিধা দিতে রেলভবনের সামনে মন্ত্রীর বিরুদ্ধেও সেøাগান দিয়েছেন। প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে নিয়োগের অনেক নামের তালিকাও।
রানিং স্টাফ ও শ্রমিক কর্মচারী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী বলেন, অন্যায়ভাবে সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ককে মারধর ও হামলাকারীদের শাস্তির দাবিতে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছি। এতে শ্রমিকলীগ নেতা হুমায়ুনের ভাই সুমনসহ দোষীদের শাস্তির দাবি করছি।
এ বিষয়ে জানতে রেলওয়ে শ্রমিকলীগের সভাপতি অবসরপ্রাপ্ত হুমায়ুন কবিরকে ফোনে যোগোযোগ করার চেষ্টা করলে তিনি মিটিংয়ে ব্যস্ত আছেন বলে ফোন কেটে দেন। তবে নিয়োগবাণিজ্যের সাথে জড়িত নন দাবি করে সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান আখন্দ বলেন, রেলের বর্তমান নিয়োগপ্রক্রিয়া স্বচ্ছ রেখে দ্রুত নিয়োগ চূড়ান্তের দাবি জানান।
রেলওয়ে সূত্রে জানা যায়, গত ১৮ অক্টোবর রেল শ্রমিক লীগের সভাপতি মো: হুমায়ুন কবিরের ভাই পার্শেল কার্ক সুমনের নেতৃত্বে সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক মোখলেছুর রহমানকে লাঞ্ছিত করা হয়। রেলওয়েকে গতিশীল করতে অব্যাহতভাবে স্বচ্ছতার ভিত্তিতে নতুন নিয়োগ চলমান রাখতে সংগ্রাম পরিষদ দাবি করে আসছে।
এতে প্রধানমন্ত্রীর রেলওয়েতে আগমনকে স্বাগত জানানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং একজন শ্রমিক নেতার শোকসভায় উপস্থিত হতে সংগ্রাম পরিষদ নেতারা ওই দিন সকাল ৮টায় ঢাকা কমলাপুর রেলওয়ে রিটায়ারিং রুমের ৫ নম্বর কে অবস্থান করছিলেন। এতে পার্শেল কার্ক সুমনসহ ১০-১২ জন লোকসহ সশস্ত্র সন্ত্রাসী কায়দায় মোখলেছুর রহমানকে তুলে নিয়ে স্টেশনের ১ নম্বর প্ল্যাটফরমের পার্শেল অফিসসংলগ্ন স্থানে জীবননাশের হুমকিসহ চরমভাবে লাঞ্ছিত করা হয়। এরপর রাত ১০টায় অজ্ঞাত স্থানে ছেড়ে দিলে পথচারীদের সহায়তায় চট্টগ্রাম ফিরে আসেন। এরপর থেকেই চলছে রেলওয়ে শ্রমিক সংগঠনগুলোর মধ্যে দ্বন্দ্ব ও সঙ্ঘাত।

No comments

Powered by Blogger.