আরব বসন্তের গণতান্ত্রিক মডেল তিউনিসিয়া by মুহাম্মদ খায়রুল বাশার

আরব বসন্ত বিপ্লবের সূতিকাগার তিউনিসিয়া। দেশটিতে গত ২৬ অক্টোবর রোববার পার্লামেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়ে গেল। এর মধ্য দিয়ে দেশটি প্রথমবারের মতো গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত একটি পার্লামেন্ট পেয়েছে। এই নির্বাচন ও নতুন পার্লামেন্ট গঠনের মধ্য দিয়ে তিউনিসিয়ায় গত চার বছরের অস্থির রাজনীতি ও ক্রান্তিকালের অবসান ঘটবে বলে আশা করা হচ্ছে। তিউনিসিয়া ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলের একটি গুরুত্বপূর্ণ দেশ। উত্তর আফ্রিকার মধ্যাঞ্চল তথা কেন্দ্রবিন্দুতে অবস্থিত দেশটি একসময় গুরুত্বপূর্ণ শপিং রুটের কাছাকাছি ছিল। সে সময় রোমান, আরব ও ওসমানীয় আমলের তুর্কি ও ফ্রান্স তিউনিসিয়ার কৌশলগত তাৎপর্য উপলব্ধি করতে পেরে সেটাকে ওই অঞ্চল নিয়ন্ত্রণের কেন্দ্রস্থল হিসেবে তৈরি করে নিয়েছিল। ১৯৫৬ সালে সেখানে ফ্রান্সের ঔপনিবেশিক শাসনের অবসান হয়। এরপর দীর্ঘ তিন দশক হাবিব বারগুইবা দেশটি শাসন করেন। সে সময় তিনি ধর্মনিরপেক্ষ আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে সেখানে নারীমুক্তি তথা অবাধ নারী স্বাধীনতার প্রচলন করেন। আরব বিশ্বে তিউনিসিয়ার নারীরাই সর্বাধিক স্বাধীনতা ভোগ করে থাকেন। হাবিব বারগুইবা ইসলামের বিরোধী ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। তিনি তার ক্ষমতা ব্যাপকভাবে বাড়িয়ে স্বৈরাচারী শাসকে পরিণত হন। ১৯৮৭ সালে জয়নুল আবেদিন বেন আলী বারগুইবাকে ক্ষমতাচ্যুত করে নিজেই প্রেসিডেন্ট হন। তিনি ইসলামপন্থীদের দমনের ব্যাপারে তার পূর্বসূরির নীতি অব্যাহত রাখেন। তিনি অবশ্য হাবিব বারগুইবার কাছ থেকে অর্থনৈতিকভাবে স্থিতিশীল একটি দেশ পেয়েছিলেন। বেন আলীর আমলে দেশটিতে সংবাদমাধ্যমকে কিছুটা স্বাধীনতা দেয়া হয় এবং কিছু রাজবন্দীকে মুক্তি দেয়া হয়। কিন্তু সংবিধান পরিবর্তন করে ক্ষমতায় থেকে যাওয়ার উদ্যোগ নেয়ার কারণে তিউনিসিয়ায় তার বিরুদ্ধে অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়ে। ২০০৪ ও ২০০৯ সালে পুনর্নির্বাচনের জন্য সংবিধান সংশোধন করে একনায়কতান্ত্রিক শাসন কট্টরভাবে চালু করার পর বেন আলীর বিরুদ্ধে রাস্তায় ব্যাপকভাবে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।

এই বিক্ষোভের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১১ সালে তিনি পদত্যাগ করে দেশত্যাগে বাধ্য হন। এরপর গোটা আরব বিশ্বে আরব বসন্তের জোয়ার সৃষ্টি হয়। আরব বসন্তের নামে স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রের যে অভিযাত্রা শুরু হয়েছিলÑ তার সূত্রপাত হয়েছিল আরব বিশ্বের ছোট্ট দেশ তিউনিসিয়া থেকে। আরব বসন্তের জোয়ারে ভেসে যাওয়া অন্য দেশগুলোতে হয় বিশৃঙ্খলা না হয় সামরিক শাসন ফিরে এসেছে। বহু আকাক্সিত গণতন্ত্রের স্বাদ ওই সব দেশ ভোগ করতে পারেনি। সিরিয়া বর্তমানে যুদ্ধ ও সঙ্ঘাতে বধ্যভূমিতে পরিণত হয়েছে। জাতিগত ও গোষ্ঠীগত সঙ্ঘাতে লিবিয়া এখন অনিশ্চয়তার পক্ষে নিমজ্জিত। আর মিসরে প্রথম গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত মুরসি সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে সামরিক স্বৈরাচার ক্ষমতা দখল করে নিয়েছে। তাহরির স্কোয়ারের মুক্তিকামী মানুষের গণতান্ত্রিক চেতনাকে ধ্বংস করে সামরিক স্বৈরাচার ক্ষমতা দখল করে শান্তিকামী জনতাকে তিলে তিলে ধ্বংস করার নোংরা প্রয়াস চালাচ্ছে। অবশ্য মিসরের গণতন্ত্রপ্রিয় মানুষ স্বৈরাচারী সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে তাদের প্রতিবাদ অব্যাহত রেখেছে। নিরপরাধ ও গণতন্ত্রকামী মানুষের রক্তে এখন প্রতিনিয়ত মিসরের রাজপথ রঞ্জিত হচ্ছে। চার পাশে ব্যাপক ঝড়ঝঞ্ঝার মধ্যেও তিউনিসিয়ায় আরব বসন্তের স্বপ্ন বাস্তবায়ন হতে চলেছে। তিউনিসিয়ায় শান্তিপূর্ণভাবে পার্লামেন্ট নির্বাচন সম্পন্ন হওয়া একটা বড় ঘটনা। এই নির্বাচন পর্যন্ত আসা খুব সহজ ছিল না। বিশ্লেষকদের মতে, আগামী দিনগুলোও সহজ হবে না।
তিউনিসিয়ায় বিপ্লব-পরবর্তী প্রথম পার্লামেন্ট নির্বাচন কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে। ২৬ অক্টোবরের ঐতিহাসিক পার্লামেন্ট নির্বাচনে প্রত্যাশার চেয়ে বেশি ভোটার উপস্থিতি ছিল। ২১৭ আসনের পার্লামেন্টের এই নির্বাচনে ভোটার ছিল ৫০ লাখ। কাল শুক্রবার নির্বাচনের ফল আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হবে বলে জানা গেছে। ভোটারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দেশটিতে ৮০ হাজার সৈন্য ও পুলিশ মোতায়েন করা হয়। নির্বাচনে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছে ইসলামপন্থী আন-নাহদা ও সেকুলার দল  নিদা তিউনিসের মধ্যে। উল্লেখযোগ্য অন্য যেসব দল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে, সেগুলো হলো সেকুলার কংগ্রেস ফর লেবার ফর দি রিপাবলিক (সিপিআর) ও ডেমোক্র্যাটিক ফোরাম ফর লেবার অ্যান্ড লিবার্টি (এফডিটিএল)। এ ছাড়া সাবেক স্বৈরশাসক বেন আলী আমলের কর্মকর্তাদের নেতৃত্বাধীন আরো কয়েকটি দল ওই নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট মুনসেফ মারজুকি এই নির্বাচনকে বিপ্লবের সমর্থক ও প্রতিবিপ্লবের সমর্থকদের মধ্যকার প্রতিযোগিতা বলে উল্লেখ করেছেন। আন-নাহদার নেতা রশিদ ঘানুশির মতে, তিউনিসিয়া শিগগিরই আরব বিশ্বের প্রথম পূর্ণাঙ্গ গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে। সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘এ বছরের শেষ নাগাদ তিউনিসিয়া প্রথম আরব গণতান্ত্রিক দেশে পরিণত হবে; এ বিষয়ে আমরা নিশ্চয়তা দিতে পারি।’ তিউনিসিয়ায় জনসংখ্যার আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বের ভিত্তিতে পার্লামেন্টের আসনসংখ্যা নির্ধারিত হয়ে থাকে। বিভিন্ন দল ও জোট থেকে এবং স্বতন্ত্রভাবে প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে থাকেন। হাই অথরিটি ফর ইলেকশনস (আইএসআইই) এসব প্রার্র্থীকে অনুমোদন দিয়ে থাকে। নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য বয়স কমপক্ষে ২৩ বছর এবং কমপক্ষে ১০ বছর দেশটির নাগরিকত্ব থাকতে হবে। আইএসআইই-এর মতে, দেশটির নতুন তালিকাভুক্ত ভোটারের মধ্যে ৪৯ শতাংশ হচ্ছেন নারী।
তিউনিসিয়ার নির্বাচনপ্রক্রিয়ায় মনে হয় কোনো দলই সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে জয়লাভ করতে পারবে না। তবে আন-নাহদা সেকুলারদের থেকে ভালো করবে বলে সবাই মনে করে। ২০১১ সালের নির্বাচনে আন-নাহদা ২১৭ আসনের মধ্যে ৮৯ আসনে জয় লাভ করে সিপিআর ও এফডিটিএলকে নিয়ে একটি কোয়ালিশন সরকার গঠন করেছিল। নিদা তিউনিস নামক দলটি জাতীয়তাবাদী ও উদারপন্থী সমর্থকদের নিয়ে গঠিত। এই দলটি আন-নাহদার সাথে কোনো জোট করতে রাজি নয়। সাবেক অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী ইসিবসি দলটির প্রধান। কংগ্রেস ফর দি রিপাবলিক (সিপিআর) অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট মারজুকির নেতৃত্বে ২০১১ সালের নির্বাচনে ২৯টি আসনে জয়ী হয়েছিল। আর ডেমোক্র্যাটিক ফোরাম ফর লেবার অ্যান্ড লিবারটি নামক দলটি ১৯৯৪ সালে সাবেক স্পিকার মোস্তফা বেনের নেতৃত্বে গঠিত হয়। ২০১১ সালের নির্বাচনে এ দলটি ২০টি আসন পেয়েছিল। উল্লেখ্য, নানা ষড়যন্ত্র ও রাস্তায় একশ্রেণীর লোকের বিক্ষোভের পরিপ্রেক্ষিতে আন-নাহদা গত জানুয়ারিতে কেয়ারটেকার সরকারের কাছে ক্ষমতা ছেড়ে দিয়েছিল। আন-নাহদা ২০১১ সালের সাংবিধানিক পরিষদের নির্বাচনে জয়ী হয়ে জাতীয় ঐক্যের সরকার গঠন করে মধ্যপন্থী ধর্মনিরপেক্ষ দলগুলোর সাথে ক্ষমতা ভাগাভাগি করে নেয়।
মিসরে সামরিক অভ্যুত্থানের সময় তিউনিসিয়ায় বিরোধী দলের একজন সদস্য আততায়ীর হাতে নিহত হলে দেশে সঙ্কট শুরু হয়। আন-নাহদা তাদের দলীয় স্বার্থ ত্যাগ করে দেশের অন্তর্বর্তী গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার প্রতি অধিকতর গুরুত্বারোপ করে। অত্যন্ত বাস্তমধর্মী পদক্ষেপ নিয়ে তারা পরবর্তী নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য কেয়ারটেকার সরকারের হাতে দায়িত্ব দিয়ে ক্ষমতা ছেড়ে দেয়। তাদের প্রজ্ঞা ও ধৈর্যের কারণে দেশ রক্তক্ষয়ী সঙ্ঘাত থেকে রক্ষা পায়। এরপর ২৬ অক্টোবরের এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলো।
সর্বশেষ গত ২৭ অক্টোবর প্রকাশিত বেসরকারি প্রাথমিক ফলাফলে সেকুলারপন্থী নিদা তিউনিস দল এগিয়ে রয়েছে। বেজি চেইদ ইসেবসির নেতৃত্বাধীন দলটি ৮৩ আসনে জয়লাভ করেছে। আর আন-নাহদা জয়ী হয়েছে ৬৮ আসনে। আনুপাতিক ভোটে সেকুলার দলটি ৩৮ শতাংশ এবং ইসলামপন্থী দলটি ৩১ শতাংশ ভোট পেয়েছে। অন্য দলের মধ্যে ফ্রি প্যাট্রিওটিক ইউনিয়ন ১৭ আসন (৭ শতাংশ ভোট) এবং পপুলার ফ্রন্ট ১২টি আসন (৫ শতাংশ ভোট) পেয়েছে। আন-নাহদার দলের প্রধান রশিদ ঘানুশি বলেন, সরকারিভাবে ফলাফলের আগে তিনি ফলাফল সম্পর্কে কিছু বলবেন না। তিনি সমঝোতা ও ঐকমত্যের সরকারের ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করেন। তিনি হান্নিবল টেলিভিশনকে বলেন, তিউনিসিয়ায় একটি জাতীয় ঐক্যের সরকার প্রয়োজনÑ এ জন্য একটি রাজনৈতিক সমঝোতা প্রয়োজন।
আন-নাহদা নিজ দেশে দীর্ঘ দুই দশকের জুলুম-নির্যাতন মোকাবেলা করে এবং পাশের দেশ আলজেরিয়া ও মিসরে গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা ব্যর্থ হওয়া থেকে মনে হয় শিক্ষা নিয়েছে। তাদের নেতৃবৃন্দ দীর্ঘ কয়েক বছর ইউরোপে প্রবাসজীবন কাটানোর পর জটিল রাজনৈতিক অঙ্ক বুঝতে সক্ষম হন। তাই এ দলটি আলাপ-আলোচনা এবং প্রয়োজনীয় ছাড় দিয়ে কোয়ালিশন এবং জোট পরিবর্তন করেছে। তারা মনে হয় সমঝোতা এবং ঐকমত্যের রাজনীতি রপ্ত করেছে। সেটাই আজকে তিউনিসিয়ার রাজনৈতিক মডেল হয়ে উঠেছে। তিউনিসিয়ার রাজনীতির পথ এখনো সহজ নয়Ñ কণ্টকাকীর্ণ। দেশটির গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া এখনো তীব্র চাপের মধ্যে আছে।
ভূরাজনীতি দলটির অনুকূলে নয়। দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় সীমান্তে রয়েছে লিবিয়া। সেখানে এখন যুদ্ধ ও সঙ্ঘাত চলছে। অস্ত্রের বিস্তার ও সঙ্ঘাত রোধ করা যাচ্ছে না। সাব-সাহারা মরু অঞ্চলের মালিতে সন্ত্রাসবাদ বিস্তার লাভ করেছে এবং আরবের অন্যান্য দেশে অস্থিতিশীলতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। নিরাপত্তা সঙ্কটের পাশাপাশি তিউনিসিয়ার মানুষ এখন অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের মুখে। ঐকমত্যের চেতনাকে ধন্যবাদ জানাই। তিউনিসিয়ার মানুষ তাদের গণতন্ত্রের জন্য প্রাতিষ্ঠানিক ও আইনগত ভিত্তি স্থাপন করেছে। দীর্ঘস্থায়ী কাঠামোগত সমস্যা, রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা এবং ব্যাপক সামাজিক প্রতিবাদ অর্থনৈতিক ফ্রন্টের অগ্রগতিকে থামিয়ে দিয়েছে। জেসমিন বিপ্লবের প্রথম দাবি ছিল একটি গণতান্ত্রিক সংবিধান এবং অবাধ ও স্বচ্ছ নির্বাচন। অবশ্যই মর্যাদার সাথে এসব ব্যবস্থা সম্পন্ন করতে হবে। এর পরবর্তী পদক্ষেপ হলো উন্নয়ন, সমানভাবে সম্পদের বণ্টন এবং জনগণের কল্যাণ সাধন করা।
বিপ্লবের মাধ্যমে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সাথে সফলভাবে এগিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন বাস্তবে রূপ পেতে যাচ্ছে। সেটা আরব দুনিয়া এখনো অর্জন করতে পারেনি। ঘড়ির কাঁটাকে আর পেছনে ঘোরানো যাবে না। স্বাধীনতার মূল্যে স্থিতিশীতাকে কেনা যাবে না। সত্যিকারের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই কেবল সত্যিকারের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনা যাবে এবং এর মাধ্যমেই জনগণের ইচ্ছার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা সম্ভব হবে। এর বিকল্প হচ্ছেÑ বিশৃঙ্খলা, পরাধীনতা ও অস্থিতিশীলতা। পর্যবেক্ষক মহল মনে করে, সফল এই নির্বাচন ও গণতান্ত্রিক অভিযাত্রার মাধ্যমে তিউনিসিয়ায় প্রথম পূর্ণ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে। এর মাধ্যমে শুধু দেশটির এক কোটি ১০ লাখ মানুষের দীর্ঘ প্রতীক্ষিত আকাক্সাই পূরণ হবে নাÑ বরং গোটা আরব বিশ্বের জন্য তিউনিসিয়া সামরিক স্বৈরতন্ত্র ও রাজতন্ত্রের পরিবর্তে একটি গণতান্ত্রিক দেশের মডেল হয়ে থাকবে।
khairulbashar407@gmail.com

No comments

Powered by Blogger.