দেশের সার্বভৌমত্ব ক্রমান্বয়ে দুর্বল হয়ে পড়ছে: খালেদা

আধিপত্যবাদী শক্তির পৃষ্ঠপোষকতায় দেশের সার্বভৌমত্ব ক্রমান্বয়ে দুর্বল হয়ে পড়ছে। ভোটারবিহীন সরকারের নতজানু নীতির কারণেই আবহমানকালের কৃষ্টি, ঐতিহ্য, ভাষা ও সংস্কৃতির ওপর বাধাহীন আগ্রাসন চলছে। ৭ নভেম্বর ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ উপলক্ষে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বাণীতে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এসব কথা বলেন। 'জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসে' দেশবাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান খালেদা জিয়া।

সরকার জবরদস্তি করে ক্ষমতা দখল করে ‘গণতন্ত্রের পক্ষে’ লড়াকু নেতা-কর্মীদেরকে বিভৎস নির্মমতায় দমন করছে বলে অভিযোগ করে খালেদা জিয়া বলেন, বিরোধী দলের গণতান্ত্রিক অধিকারগুলোকে নির্দয় ফ্যাসিবাদী শাসনের জাঁতাকলে পৈশাচিকভাবে পিষ্ট করছে। তিনি বলেন, স্বাধীনতাত্তোর রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলা, তৎকালীন ক্ষমতাসীন মহলের নিজেদের স্বার্থের অনুকূলে দেশের স্বাধীনতা বিকিয়ে দেয়ার অপচেষ্টা করা হয়েছে। ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করার জন্য মানুষের বাকশক্তি ও মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে গলাটিপে হত্যা করে একদলীয় বাকশাল কায়েম করা হয়।
৭ নভেম্বরের চেতনায় জাতীয়তাবাদী শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, আধিপত্যবাদী আগ্রাসন প্রতিরোধ করে জাতীয় স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা এই মূহুর্তে অত্যন্ত জরুরি। তিনি বলেন, আধিপত্যবাদী শক্তি ও তাদের এদেশীয় অনুচররা উদ্দেশ্য সাধনের পথে কাঁটা মনে করে ১৯৮১ সালে রাষ্ট্রপতি জিয়াকে হত্যা করে। জিয়া শাহাদাত বরণ করলেও তার আদর্শে বলীয়ান মানুষ দেশের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র রক্ষায় এখনও দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ।
৭ নভেম্বরের প্রেক্ষাপট বর্ণনা করতে গিয়ে বাণীতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ দিন জাতীয় জীবনের এক ঐতিহাসিক দিন। ১৯৭৫ সালের এই দিনে জাতীয় স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র রক্ষার দৃঢ় প্রত্যয় বুকে নিয়ে সৈনিক-জনতা রাজপথে নেমে এসেছিলো। তাই ৭ নভেম্বরের ঐতিহাসিক বিপ্লব অত্যন্ত তাৎপর্যমন্ডিত।

No comments

Powered by Blogger.