বেক্সিমকো ফার্মা প্ল্যান্ট পরিদর্শনে ড্যান মজিনা

বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত ড্যান ডব্লিউ মজিনা মঙ্গলবার বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের (বিপিএল) টঙ্গীস্থ কারখানা পরিদর্শন করেছেন। এ সময় তাকে কারখানার বিশ্বমানের উৎপাদন সুবিধা ঘুরিয়ে দেখানো হয়। বেক্সিমকো ফার্মার কারখানায় মজিনাকে স্বাগত জানান বিপিএল’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল হাসান এমপি এবং বিপিএল’র প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা রাব্বুর রেজা। পরিদর্শনের সময় মজিনার সঙ্গে মার্কিন দূতাবাসের ইকোনমিক কমার্শিয়াল অফিসার ড্যানিয়েল কিংসহ অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশ শিগগিরই দক্ষিণ এশিয়ার অর্থনৈতিক বাঘে পরিণত হচ্ছে এবং ওষুধ শিল্প এতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে। এ সময় বাংলাদেশ থেকে ওষুধ আমদানির জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ীদের মনোযোগ আকর্ষণের উদ্যোগও নেবেন বলে জানান তিনি। মজিনাকে কোম্পানির কার্যক্রম, বর্তমান অবস্থা এবং বাংলাদেশে ওষুধ শিল্পের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে অবহিত করেন নাজমুল হাসান এমপি। বাংলাদেশের ওষুধ শিল্প খাতে সবচেয়ে বেশি বৈশ্বিক অনুমোদন রয়েছে বেক্সিমকো ফার্মার এবং বাংলাদেশ এ অঞ্চলে গ্লোবাল জেনেরিক ড্রাগ হাবে পরিণত হচ্ছে বলেও মজিনাকে জানানো হয়।
উল্লেখ্য, বেক্সিমকো ফার্মা দেশের নেতৃস্থানীয় ওষুধ উৎপাদন ও রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান এবং এর বিশ্বমানের উৎপাদন সুবিধা টিজিএ (অস্ট্রেলিয়া), এজিইএস (ইউরোপীয় ইউনিয়ন) এনভিসা (ব্রাজিল), জিসিসি (গাল্‌ফ মেম্বার দেশসমূহ) এবং টিএফডিএ (তাইওয়ান)সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান কর্তৃক স্বীকৃত।
বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস সম্পর্কে: ১৯৭৬ সালে প্রতিষ্ঠিত এবং ঢাকা ভিত্তিক বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড (বিপিএল) ফার্মাসিউটিক্যাল ফর্মুলেশন পণ্য ও অ্যাকটিভ ফার্মাসিউকিট্যাল ইনগ্রিডিয়েন্টস উৎপাদন ও বাজারজাত করে থাকে। এ ছাড়া কোম্পানিটি নিজস্ব ব্র্যান্ডের প্রায় সব রোগের জেনেরিক উৎপাদন করে। কোম্পানিটি বিশ্বের খ্যাতনামা বহুজাতিক কোম্পানির সঙ্গে চুক্তিভিত্তিক উৎপাদনও করে। এই কোম্পানির পণ্য খুচরা বাজার, মেডিকেল ইনস্টিটিউশন এবং বাংলাদেশের বিভিন্ন ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্য বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠান ছাড়াও এই অঞ্চলের শ্রীলঙ্কা, মিয়ানমার, নেপাল, ভুটান, কম্বোডিয়া, কেনিয়া এবং সিঙ্গাপুরসহ বিভিন্ন দেশে বিক্রয় হয়।

No comments

Powered by Blogger.