পদ্মা সেতু নির্মাণে আর কোনো দুর্নীতি নয়-টেলিফোনে নাগরিক মন্তব্য

দুর্নীতির অভিযোগ এনে বিশ্বব্যাংক গত ২৯ জুন পদ্মা সেতু প্রকল্পের জন্য ঋণ বাতিলের ঘোষণা দেয়। সরকার এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার সম্মুখীন হয়। নানা ঘটনাপ্রবাহের মধ্য দিয়ে শর্তসাপেক্ষে বিশ্বব্যাংক আবার পদ্মা সেতুতে ফিরে এসেছে।


এ বিষয়ে টেলিফোনে মন্তব্য জানিয়েছেন পাঠকরা। গ্রন্থনা : একরামুল হক শামীম ও মাহফুজুর রহমান মানিক

মো. আমজাদ হোসেন
শিক্ষক, সাতক্ষীরা
পূর্বে যে শর্তাবলি দিয়ে বিশ্বব্যাংক ঋণ প্রদান করতে রাজি হয়েছিল, সেই একই শর্ত যদি বহাল থাকে তাহলে দেশের জন্য ভালো। আর যদি কোনো নতুন শর্ত আরোপ করে দেয় সেটা জাতির জন্য অসম্মানজনক।

মাহিদ বিন আবজুন নূর
শিক্ষার্থী, ডোমার, নীলফামারী
পদ্মা সেতু তাহলে হচ্ছে। এমন খবরে খুশি সবাই, আমিও। কিন্তু বাংলাদেশের মাথাব্যথার খবরে যেন বিশ্বব্যাংক মাথাটিই কেটে নিয়ে না যায় সেদিকে সরকারকে সজাগ থাকতে হবে।
পদ্মা সেতু প্রকল্পে আর কোনো দুর্নীতি দেখতে চাই না।

প্রদীপ কুমার বণিক
ব্যবসায়ী, উত্তরা, ঢাকা
বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতুতে ফিরেছে এটা ভালো লক্ষণ। তারা যে শর্ত দিয়েছে সে শর্তগুলো যাতে সরকার পূরণ করে। যেন আবার সেতুর কাজ বন্ধ না হয়। বর্তমান সরকার কাজ চালু করলে আগামী সরকারও এসে যাতে বন্ধ করতে না পারে সে ব্যবস্থা করতে হবে।
নাজিম উদ্দিন শোভা
শিক্ষক, টাঙ্গাইল
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উচিত যারা পদ্মা সেতুর দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত তাদের বিচার করা। পদ্মা সেতুর কাজ দ্রুত শুরু করে দেওয়া হোক, যাতে যারা এর সমালোচনা করেছেন তারা যেন একটা উপযুক্ত জবাব পান।
মো. রফিকুল ইসলাম
ব্যবসায়ী, ফরিদপুর
বিশ্বব্যাংক ফিরে এসেছে এটা ভালো খবর। তবে আমাদের আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে, আদৌ পদ্মা সেতু হবে কিনা। ভবিষ্যতে যে দুর্নীতি হবে না সে নিশ্চয়তা কে দেবে? যদিও আমরা চাই ভালোভাবেই সেতুটা হোক।
দীপক
শিক্ষার্থী, রাজবাড়ী
বিশ্বব্যাংক ফিরে এসেছে, এখন কাজটা যেন সুষ্ঠুভাবে হয়। আর এর দুর্নীতির সঙ্গে যারা জড়িত তাদের বিচার করা উচিত।
মোহাম্মদ ইউনুছ
চাকরিজীবী, ঢাকা
বিশ্বব্যাংকের ফিরে আসা ইতিবাচক। তবে ভবিষ্যতে যাতে দুর্নীতি না হয়।
সোহরাব খান
চাকরিজীবী, তেজগাঁও
পদ্মা সেতু নিয়ে এমন কোনো নেতিবাচক কথা বলা উচিত হবে না, যাতে বিশ্বব্যাংক আবার ফিরে না যায়। এটা যেমন সরকারের মন্ত্রী, কর্তা ব্যক্তিদের জন্য, তেমনি বিরোধী দলের ক্ষেত্রেও। পদ্মা সেতুর কাজ একদিকে চলুক, সঙ্গে দুর্নীতির তদন্তের কাজও যেন চলে।
খোকন আহমেদ
ব্যবসায়ী, নরসিংদী
বিশ্বব্যাংক ফিরে আসায় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ। মসিউর রহমানের ছুটির পরই কিন্তু বিশ্বব্যাংক ফিরল। উচিত হবে তাকে তার পদ থেকে পদত্যাগ করানো।
আবু মো. ইউছুফ
ব্যবসায়ী, হাজীগঞ্জ, চাঁদপুর
বিশ্বব্যাংকের ফিরে আসায় আমরা আনন্দিত। সেতুটি হলে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের অর্থনীতির আমূল পরিবর্তন ঘটবে এবং বর্তমান সরকারের নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়ন হবে। পদ্মা সেতুর কাজে যে দুর্নীতি হয়েছে তা তদন্ত করা দরকার। বিরোধী দল যেন সরকারকে সহযোগিতা করে।
মোস্তফা কামাল
সমাজকর্মী, কুমিল্লা
ঋণচুক্তি বাতিলের দীর্ঘদিন পর বিশ্বব্যাংকের ফিরে আসা শুভ লক্ষণ। সরকার নিরলসভাবে চেষ্টা করেছে বলেই এটা সম্ভব হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের কাজে সহযোগিতা করা উচিত। ক্রয় সংক্রান্ত বিষয়ে দাতাদের যুক্ত থাকা উচিত_ এতে দুর্নীতি কমবে।
মো. আক্কাস শেখ
ব্যবসায়ী, গোপালগঞ্জ
পদ্মা সেতু হচ্ছে জেনে আমরা আনন্দিত। প্রকল্পে যাতে দুর্নীতি ঢুকতে না পারে, সে ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীকে সতর্ক থাকতে হবে।
মো. আনিছুর রহমান
চাকরিজীবী, ময়মনসিংহ
এটা বর্তমান সরকারের জন্য ইতিবাচক। আগামী নির্বাচনে এর প্রভাব পড়বে। তবে দেরি হওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী নিজেই দায়ী। তিনি চাইলে আরও আগেই তাদের রাজি করাতে পারতেন।
কুমারেশ চন্দ্র বিশ্বাস
বাস শ্রমিক, ঝিনাইদহ
পদ্মা সেতুতে বিশ্বব্যাংকের ফিরে আসা দেশের জনগণ ও সরকারের জন্য পরম পাওয়া। এটি হলে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের যাতায়াত ব্যবস্থায় পরিবর্তন আসবে, যেটা অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ। তবে ভবিষ্যতে দুর্নীতির দায়ে এটি যাতে ভেস্তে না যায়।
মো. সেলিম
ব্যবসায়ী, শরীয়তপুর
যদি এ সরকার পদ্মা সেতু করতে পারে তারা আগামী নির্বাচনে আবার ক্ষমতায় আসবে। তবে আমাদের মন্ত্রীরা যেন বেশি কথা না বলেন। তারা একেকজন একেক কথা বলে জনগণকে বিভ্রান্ত করেন।
বাবুল ভট্টাচার্য
ব্যবসায়ী, কুমিল্লা
পদ্মা সেতুতে ফিরে এসেছে বলে বিশ্বব্যাংককে ধন্যবাদ। প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ, তিনি বিশ্বব্যাংককে ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছেন।
ফারুক হোসেন
সাংবাদিক, রাজশাহী
বিশ্বব্যাংক ফিরে এসেছে, এতে জনগণ সান্ত্বনা পেয়েছে। এটা সরকারের ঐকান্তিক ইচ্ছায় সম্ভব হয়েছে। যদিও বিরোধী দল এটা বন্ধ করতে চেয়েছে। আমাদের দাবি, এ আমলেই যেন পদ্মা সেতুর অবকাঠামোগত কাজ শুরু হয়।
মো. শেখ মালিক
ডেকোরেশন মিস্ত্রি, ফরিদপুর
পদ্মা সেতুতে বিশ্বব্যাংক ফিরে এলেও মনে হয় না এ আমলে সেতু হবে। বিশ্বব্যাংক চিঠি চালাচালি করতেই এ আমল পার করবে। আমার তো মনে হয় বরং দেশের জনগণের টাকায় পদ্মা সেতু হলে ভালো হতো।
মো. মহসীন জমাদ্দার
শিক্ষার্থী, ঝালকাঠি
সরকারকে ধন্যবাদ। আমাদের দক্ষিণাঞ্চল এমনিতেই বঞ্চিত, সেতু হলে আমাদের জন্য খুব ভালো হবে। ভবিষ্যতে দুর্নীতিমুক্তভাবে দ্রুত যেন কাজটা হয়।
সৈয়দ রাজু আহমেদ
চাকরিজীবী, টাঙ্গাইল
পদ্মা সেতুতে ফেরা দেশের জন্য আসলে অশনিসংকেত। তারা অর্থ দেওয়ার নাম করে খবরদারিই করবে। তাদের শর্তগুলো ঠিকভাবে পূরণ না হলে যে তারা আবার ফিরে যাবে না এর নিশ্চয়তা কে দেবে। সরকারকে ভেবেই সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত।
নাজমুল মোরশেদ শিমুল
শিক্ষার্থী, টাঙ্গাইল
এটা ইতিবাচক দিক। এতে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের আশার প্রতিফলন ঘটবে। আগামী নির্বাচনে এর প্রভাব পড়বে। প্রধানমন্ত্রী যেন দুর্নীতিমুক্তভাবে দ্রুত কাজটি করেন।
মনির আহমেদ
এনজিও কর্মী, বাগেরহাট
বর্তমান সরকারের আমলে বিশ্বব্যাংক কখনোই ফিরবে না। এটা সরকারের প্রচারণা। সরকার আগামী নির্বাচনী বৈতরণী পার হওয়ার জন্য পদ্মা সেতুকে ব্যবহার করছে।
মোহাম্মদ আলী
চাকরিজীবী, হাজারীবাগ রোড, ঢাকা
বিশ্বব্যাংককে স্বাগত জানাই। সরকারকেও ধন্যবাদ। এ স্বপ্নের সেতুটি যেন দুর্নীতিমুক্তভাবে দ্রুত হয়। সেতুটি হলে আমাদের ভালো হবে।
হরিদাস সূত্রধর
চাকরিজীবী, কুমিল্লা
পদ্মা সেতুতে বিশ্বব্যাংকের ফেরা ইতিবাচক। এটি দেশের জন্য মঙ্গলজনক।
মো. ওমর ফারুক
চাকরিজীবী, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা
বিশ্বব্যাংককে সাধুবাদ জানাই। সরকারকে সতর্ক থাকতে হবে যেন আবার দুর্নীতির কারণে কিছু না হয়। বিশ্বব্যাংকের শর্তগুলো ঠিকভাবে পালন করুক। যারা পেছানোর জন্য দায়ী তাদের বের করা দরকার।
লিটন সূত্রধর
পল্লী চিকিৎসক, কিশোরগঞ্জ
এটা সরকারের কূটনৈতিক সফলতা। সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশের পথে সহায়ক।
সৈয়দ আশরাফ উদ্দিন মামুন
সাংবাদিক, সিলেট
দীর্ঘদিন পর হলেও বিশ্বব্যাংক ফিরে আসায় আমরা আনন্দিত। কোনো জটিলতা ছাড়াই যেন সেতুর কাজ দ্রুত শুরু হয়।
ইমদাদুল হক
অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, পাবনা
পদ্মা সেতুর বিষয়ে মালয়েশিয়ার প্রস্তাবকে ফিরিয়ে দেওয়া ঠিক হবে না। বিশ্বব্যাংক যদিও ফিরে এসেছে আসলে তারা কাজ ধরতে অনেক দেরি করবে। সে ক্ষেত্রে নিজেদের অর্থায়ন কিংবা মালয়েশিয়ার অর্থায়নেই সেতু হতে পারে।
মো. আবদুল কাদের
ব্যবসায়ী, পাহাড়তলী, চট্টগ্রাম
যারা পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতি করেছে তাদের যেন কঠোর শাস্তি দেওয়া হয়।
নির্মলেন্দু দেব জাদু
ব্যবসায়ী, শ্রীমঙ্গল
পদ্মা সেতুতে বিশ্বব্যাংকের ফেরা সরকারের সফলতা। এ জন্য সরকারকে ধন্যবাদ। তবে সেতু নিয়ে যে কেলেঙ্কারি হয়েছে তার হোতাদের বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।
কামরুল হাসান
চাকরিজীবী, মতিঝিল, ঢাকা
বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতুতে ফিরল, কিন্তু কবে নাগাদ সেতুর কাজ শুরু হবে তা নিয়ে সরকারের দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা বিভিন্ন রকম কথা বলছেন। কবে নাগাদ পদ্মা সেতুর কাজ শুরু হবে সে বিষয়ে আমরা পূর্ণাঙ্গ বিবৃতি চাই।
এনএন সাহা
অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা, কিশোরগঞ্জ
মাননীয় অর্থমন্ত্রীর সফল পদক্ষেপের কারণেই পদ্মা সেতুতে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়ন সংক্রান্ত সফলতা এসেছে বলে আমি মনে করি।
লালন শেখ
শিক্ষার্থী, কোটালীপাড়া, গোপালগঞ্জ
দ্রুত কাজ শুরু করা দরকার।
মো. শাহেদ
ব্যবসায়ী, দাগনভূঞা, ফেনী
বিশ্বব্যাংক যে অর্থায়ন করতে পুনরায় রাজি হয়েছে তা খুশির সংবাদ। কিন্তু এই অর্থায়নে কোনো রকম দুর্নীতি হবে না তা নিশ্চিত করতে হবে সরকারকে। তবেই পদ্মা সেতু হবে।
মো. আবদুল কাদের বেপারী
ব্যবসায়ী, বরিশাল
পদ্মা সেতুতে বিশ্বব্যাংকের ফিরে আসায় আমরা খুব আনন্দিত। এই সেতু হলে দক্ষিণবঙ্গের লোকজনের চলাফেরায় সুবিধা হবে।
জহিরউদ্দিন লস্কর
শিক্ষার্থী, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়
অনেক জল্পনা-কল্পনার পর অবশেষে জনগণের চাওয়া পূর্ণ হতে যাচ্ছে। বিশ্বব্যাংককে ধন্যবাদ। সরকারের কাছে দাবি, সততার সঙ্গে যেন দ্রুত সেতু নির্মাণ শুরু হয়। এ কাজে যেন কোনো দুর্নীতি না হয়।
মো. আরমান খান
ব্যবসায়ী, মুরাদপুর, চট্টগ্রাম
বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতুতে ফিরে আসায় ভালো লাগছে। আশা করছি এখন সেতুর কাজ শুরু হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রীকে ধন্যবাদ।
পীযূষ কান্তি হালদার
উপাধ্যক্ষ, নাজিউর রহমান কলেজ, ভোলা
বিশ্বব্যাংকের পদ্মা সেতুতে ফেরা
সরকারের জন্য ইতিবাচক, পাশাপাশি সরকারের জন্য চরম শিক্ষা। আমরা বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ বিশ্বব্যাংকের ফিরে আসাকে সাধুবাদ জানাই।
সবুজ আহমেদ জয়
চাকরিজীবী, মাগুরা
অনেকেই বিষয়টিকে আওয়ামী লীগের বড় জয় হিসেবে দেখছেন। কিন্তু দুর্নীতির ঘটনার পর এ ব্যাপারটিকে আমার কাছে বড় ধরনের সাফল্য বলে মনে হয় না।
মো. জুয়েল
গাড়িচালক, গেণ্ডারিয়া, ঢাকা
পদ্মা সেতু হলে জনগণের জন্য ভালো হবে।
কামরুল ইসলাম
শিক্ষক, ফৌজদারহাট, চট্টগ্রাম
দুর্নীতির সব দায়দায়িত্ব স্বীকার করে নিয়ে বিশ্বব্যাংকের কর্মকর্তাদের হাতে-পায়ে ধরে ঋণ আদায় করতে পারলেও এই সরকারের বাকি মেয়াদে বিশ্বব্যাংক টাকা ছাড় দেবে বলে আমার মনে হয় না।
মো. আনোয়ার হোসেন
চাকরিজীবী, সিরাজগঞ্জ
প্রবাসীদের টাকা সঙ্গে নিলে ভালো হবে।
শেখ মিলন
শিক্ষার্থী, ঝালকাঠি
বাংলাদেশের জন্য ইতিবাচক দিক। এর জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ। ভবিষ্যতে যাতে দুর্নীতি না হয়।
খোরশেদ আলম
চিকিৎসক, লোহাগাড়া, চট্টগ্রাম
দুর্নীতিবাজদের সরিয়ে দিয়ে বিশ্বব্যাংককে পদ্মা সেতুতে ফিরিয়ে আনা সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু সম্ভব নয় প্রমাণ করেছে।
শেখ আবদুল কাদের
ব্যবসায়ী, ডেমরা, ঢাকা
বিশ্বব্যাংককে আমরা সাধুবাদ জানাই। সে সঙ্গে সাধুবাদ জানাই প্রধানমন্ত্রীকেও।
শেখ হাবিবুর রহমান
চাকরিজীবী, কুমিল্লা
মন্ত্রীদের কাছে অনুরোধ, তারা আবোল-তাবোল কথা যেন না বলেন এবং সুশীল সমাজের কাছে অনুরোধ, যেন টেলিভিশনের সামনে বসে এমন টক শো না করেন, যাতে আবার পদ্মা সেতু অন্ধকারে হারিয়ে না যায়।
গোলাম মোরশেদ
ব্যবসায়ী, গুলশান, ঢাকা
আমরা চাই পদ্মা সেতু হোক। আমরা পরের সাহায্যেই সবকিছু করছি; কিন্তু আমরা কবে নিজের অর্থে নিজেরা কিছু করতে পারব?
মো. ছালামত প্রধান
চাকরিজীবী, দাউদকান্দি, কুমিল্লা
পদ্মা সেতু নিয়ে দেশ-বিদেশে অনেক ষড়যন্ত্র হচ্ছে। এই সরকারের আমলে পদ্মা সেতু যাতে না হয় একটি মহল বেশ সোচ্চার ছিল। বিশ্বব্যাংক এ ব্যাপারে অহেতুক অভিযোগ তুলে পিছু হটেছিল। বিশ্বব্যাংক ফিরে আসায় বাংলাদেশের মানুষের মৃত্যুপ্রায় স্বপ্নটি আবার প্রাণ ফিরে পেল। আমরা চাই, বাংলাদেশের এই স্বপ্নের সেতুটির কাজ এই সরকারের আমলে শুরু হয়।
তাপস হালদার
শিক্ষার্থী, উত্তরা, ঢাকা
বহুল আলোচিত পদ্মা সেতু প্রকল্প বাতিল করা ঋণচুক্তি পুনর্বহাল করেছে বিশ্বব্যাংক। পদ্মা সেতু নিজস্ব অর্থায়নে হবে, নাকি বিশ্বব্যাংক ঋণ দেবে? এ নিয়ে আবার ধূম্রজাল সৃষ্টি হয়েছিল। অবশেষে আমরা নতুন বার্তা পেলাম, এটা আমাদের জন্য ইতিবাচক দিক। কারণ সমীক্ষা নকশা প্রণয়ন অর্থ জোগানোর বন্দোবস্তসহ নানা ধাপ পার হওয়ার পর গত বছর দরপত্র প্রক্রিয়ায় দুর্নীতির অভিযোগ আনে বিশ্বব্যাংক। বেশ কিছু দিন স্থগিত থাকার পর গত জুনে অর্থায়ন বাতিল করে বিশ্বব্যাংক। এ জন্য মন্ত্রী-উপদেষ্টাকে পদত্যাগ করতে হয়েছে। এখন একটাই শুধু স্বপ্ন, পদ্মা সেতু হতে হবে।
ফখরুজ্জামান
ব্যবসায়ী, টঙ্গী, ঢাকা
বিশ্বব্যাংক ফিরে আসায় আমরা আনন্দিত। তবে বিশ্বব্যাংক টাকা ছাড়বে বলে মনে হয় না। আসলে এই দুর্নীতিবাজ সরকারের সময় পদ্মা সেতু হবে না।
আবদুল মোমিন
ব্যবসায়ী, পাহাড়তলী, চট্টগ্রাম
বিশ্বব্যাংক ফিরে আসায় ধন্যবাদ। তবে যাদের জন্য ১০ মাস দেরি হলো তাদের শাস্তি দিতে হবে। আমি আশা করি সরকার এ প্রকল্পের দুর্নীতির ব্যাপারে সতর্ক থাকবে।
মেহেদী হাসান বাবুল
ব্যবসায়ী, ময়মনসিংহ
বিশ্বব্যাংককে ধন্যবাদ। আমাদের দেশের সেতু হলে অর্থনীতির জন্য ভালো হবে।
 

No comments

Powered by Blogger.