ধূমপান নিষিদ্ধে গণভোট

সুইজারল্যান্ডে জনসমাগমস্থলে ধূমপান পুরোপুরি নিষিদ্ধ করার সরকারি প্রস্তাবের ওপর গতকাল রবিবার গণভোট হয়েছে। প্রস্তাবে হোটেল-রেস্তোরাঁ ও পানশালায় ধূমপানের 'বিশেষ ব্যবস্থা' না রাখার কথা বলা হয়েছে।সুইজারল্যান্ডে জনসমাগমস্থলে ধূমপানের ওপর দুই বছর আগেই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।


তবে ২৬টি প্রশাসনিক এলাকার মধ্যে জেনেভাসহ আটটি এলাকায় এ নিষেধাজ্ঞা মোটামুটি বাস্তবায়ন করা গেলেও হোটেল-রেস্তোরাঁ ও তামাক কম্পানিগুলোর লবিংয়ের জোরে বাকি ১৮টিতে তা করা যায়নি। হোটেল-রেস্তোরাঁ ও পানশালার মতো জনসমাগমস্থলে ধূমপায়ীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এতে ওইসব স্থানে কর্মরত অধূমপায়ীরা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বড় বড় তামাক কম্পানির বেশির ভাগের সদর দপ্তরই সুইজারল্যান্ডে অবস্থিত।
গতকালের ভোটের আগে গণভোটের ওপর এক মতামত জরিপ করা হয়। এতে ধূমপানের ওপর নিষেধাজ্ঞার প্রস্তাবটিতে তেমন জনসমর্থন না পাওয়ারই আভাস পাওয়া গেছে। পার্লামেন্টের উচ্চ ও নিম্ন উভয় কক্ষের বেশির ভাগ সদস্যই প্রস্তাবটির বিরোধিতা করলেও সমালোচকদের মতে, সুইজারল্যান্ডের ২৬টি প্রশাসনিক এলাকায় কঠোর নিষেধাজ্ঞা জারি করা উচিত। বিরোধিতাকারী সদস্যদের মতে, প্রস্তাবটি দেশের ফেডারেলবাদের সঙ্গে বৈপরীত্য সৃষ্টি করবে। তা ছাড়া হোটেল-রেস্তোরাঁ ব্যবসায় এর প্রভাব পড়তে পারে বলেও আশঙ্কা করেন তাঁরা।
জনসমাগমস্থলে ধূমপান নিষিদ্ধকরণ প্রস্তাব প্রস্তুতকরণ কমিটির সদস্য জ্যাঁ চার্লস রিলে বলেন, যেসব এলাকায় এরই মধ্যে আইনটি কার্যকর আছে, সেসব এলাকায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তির হার ২০ শতাংশ কমেছে।
জেনেভার ক্যাফে মালিকদের সংগঠনের প্রেসিডেন্ট লরেন্ট টারলিনচ্যাম্প বলেন, প্রস্তাবনাটি খুব বেশি রকমের বাড়াবাড়ি।
এ ছাড়া বয়স্কদের কর থেকে অব্যাহতি দেওয়ার ব্যাপারেও গতকাল গণভোট হয়। সূত্র : বিবিসি, সুইস ইনফো।

No comments

Powered by Blogger.